নেপালে ভয়াবহ বন্যা-ভূমিধস: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৩ জনে পৌঁছেছে। এছাড়া এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩১ জন।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে সৃষ্ট বন্যার পানি কমতে শুরু করায় অনুসন্ধানে নেমেছে উদ্ধারকারী দলগুলো। ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘরে খোঁজ মিলছে একের পর এক মৃতদেহ। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ৩১ জন।
গত শুক্রবার রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টিতে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর নীচু এলাকাগুলোতে বন্যা দেখা দেয়। ভারী বর্ষণে তলিয়ে যায় বিভিন্ন এলাকা। এতে নিখোঁজ হন শত শত মানুষ।
কাঠমান্ডু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের পর কাঠমান্ডুর পুরো এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। ভূমিধসের কারণে মহাসড়কগুলো বন্ধ হয়ে রাজধানীর সাথে সাময়িকভাবে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল ভবনগুলো মেরামতের প্রয়োজন হওয়ায় শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র ঋষি রাম তিওয়ারি বলেছেন, ‘আমরা এখন অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের কাজ করছি। যারা নিখোঁজ রায়েছেন তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।’
নেপালের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হেলিকপ্টার, মোটরবোট ও র্যাফট ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত চার হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লক্ষ্মী ভট্টরাই বলেছেন, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার স্কুলগুলো তিন দিনের জন্য বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়েছে, রোববার সকালে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হয়েছে, অনেক জায়গায় বৃষ্টি কমে গেছে। আগামী দিনগুলোতে হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে, তবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
এদিকে কাঠমান্ডু থেকে স্থানীয় ফ্লাইটগুলো আবারও চালু হয়েছে। এর আগে বৈরী আবহাওয়ার কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় ১৫০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়।
চলতি বছর নেপালে বৃষ্টি সংশ্লিষ্ট দুর্যোগে অন্তত ৩০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে।