সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ১৪টি শৃঙ্গ জয় করে বিশ্ব রেকর্ড

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বয়স সবে আঠারো। এর মধ্যেই সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে রেকর্ড ভেঙেছেন বিশ্বের ৮ হাজার মিটার উঁচু ১৪টি পর্বতশৃঙ্গের চূড়ায় আরোহণ করে। নেপালি এই তরুণের নাম নিমা রিনজি শেরপা। গতকাল বুধবার (৯ অক্টোবর) তিনি এ রেকর্ড ভাঙেন। তার দল এ খবর জানিয়েছে। 

এর আগে রেকর্ডটি ছিল আরেক নেপালি পর্বতারোহী মিংমা গ্যাবু 'ডেভিড' শেরপার। তিনি ২০১৯ সালে ৩০ বছর বয়সে এটি অর্জন করেছিলেন।

বিজ্ঞাপন

কাঠমান্ডু থেকে এএফপি জানায়, নেপানি তরুণ নিমা রিনজি শেরপা বুধবার সকালে তিব্বতের ৮০২৭ মিটার উঁচু শিশা পাংমার চূড়ায় পৌঁছে বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গে দাঁড়ানোর মিশন সম্পূর্ণ করেছেন।

রিনজির বাবা তাশি শেরপা এএফপিকে বলেন, 'সে আজ সকালে শিখরে পৌঁছেছে। সে ভালো প্রশিক্ষণ নিয়েছে এবং আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে সে এটা করবে।'

বিজ্ঞাপন

সকল শেরপার জন্যই ১৪টি "আট-হাজার" মিটার পর্বতারোহণের উচ্চাকাঙ্ক্ষার শিখর হিসাবে বিবেচিত হয়। এ অভি্যানে পর্বতারোহীদের দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের জীবন টিকিয়ে রাখার জন্য বাতাসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন নেই এমন 'মৃত্যু অঞ্চলে' কাটাতে হয়। 

শেরপা এক বিবৃতিতে বলেন, 'এই শীর্ষ শৃঙ্গটি শুধু আমার ব্যক্তিগত যাত্রার সমাপ্তি নয়, বরং প্রত্যেক শেরপার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, যারা আমাদের জন্য নির্ধারিত প্রথাগত সীমা ছাড়িয়ে স্বপ্ন দেখার সাহস করেন।'

তিনি বলেন, 'পরতারোহণ শ্রমের চেয়েও বেশি কিছু, এটি আমাদের শক্তি, স্থৈর্য তা ও আবেগের অভিজ্ঞান।'

শেরপা পাহাড়ে পরিচিত মুখ। রেকর্ডধারী পর্বতারোহীদের পরিবারে তার জন্ম। তার পরিবার এখন নেপালের বৃহত্তম পর্বতারোহণ অভিযান সংস্থাও পরিচালনা করে।

এর আগে নিমা রিনজি শেরপা ২০২০ সালের আগস্ট মাসে মানাসলু পর্বতে আরোহণের মাধ্যমে মাত্র ১৬ বছর বয়সে পর্বত আরোহণ শুরু করেন।

চলতি বছরের জুনের মধ্যে, তিনি তার ১৩তম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘা আরোহণ করেন। এটি বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।

নেপাল মাউন্টেনিয়ারিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নিমা নুরু শেরপা এএফপিকে বলেন, 'এটি আমাদের দেশের জন্য একটি গর্বের মুহূর্ত।'

তিনি বলেন, 'নিমা সমস্ত স্টেরিওটাইপ ভেঙেছে, এবং তার সাফল্য একটি বার্তা দিয়েছে যে দৃঢ় সংকল্প থাকলে কিছুই অসম্ভব নয়।'

নেপালি পর্বতারোহীরা সাধারণত এভারেস্টের চারপাশের উপত্যকা থেকে আসা জাতিগত শেরপা। এদের হিমালয় আরোহণ শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।