পর্তুগালের জাতীয় নির্বাচন: ক্ষমতাসীনরা পেতে পারেন একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা



নাঈম হাসান, লিসবন, পর্তুগাল থেকে
পর্তুগালের রাজনৈতিক দলের নেতারা, ছবি: সংগৃহীত

পর্তুগালের রাজনৈতিক দলের নেতারা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আটলান্টিকের দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। আগামী ৬ অক্টোবর জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচারণায় রাজনৈতিক দলগুলো।

পর্তুগালের জনগণ প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে থাকেন। আর বিভিন্ন জেলা থেকে ২৩০ আসনে এমপিরা নির্বাচনে অংশ নেন। মেয়াদ ৪ বছরের। পর্তুগালের সংসদের নাম এসাম্বলিয়া দ্যা রিপাবলিকা। সংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর চূড়ান্ত হয় প্রধানমন্ত্রী। দীর্ঘ বিপ্লবী ইতিহাসের সাক্ষী পর্তুগিজদের সংসদ ইউরোপের অন্যতম আলোচিত সংসদ।

১৯৭৪ সালের গণতান্ত্রিক বিজয়ের পর এবারের ১৬তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পর্তুগালে। এবারের নির্বাচনে পিএস সম্পাদক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিও কস্তা ও প্রধান বিরোধী দল পিএইচডির রুই রিয়োর দলের মাঝে চলছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা।

মাসব্যাপী বিভিন্ন ডিবেটে অংশ নিয়ে ইতোমধ্যেই নির্বাচনী আমেজকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন সব রাজনৈতিক দলের প্রধানরা। ইতোমধ্যেই ৪ অক্টোবর শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সব জনমত জরিপে এগিয়ে আছে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল সোশ্যালিস্ট পার্টি। বিগত চার বছরে অর্থনৈতিক ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এই সরকারের আমলে। এছাড়াও শহরগুলোতে এসেছে অবকাঠামোগত ব্যাপক পরিবর্তন। পুরনো ঐতিহ্যের বহু স্থাপনা সংস্কারের মাধ্যমে পর্যটন স্পটগুলোয় উন্নয়ন হয়েছে। তবে অতিরিক্ত পর্যটকদের চাপে লিসবনসহ পর্তুগালের বড় শহরগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র আবাসন সংকট। স্থানীয় অনেক নাগরিকদের ছাড়তে হয়েছে নিজেদের আবাসন। তাই এবারের নির্বাচনে শহরকেন্দ্রিক আবাসন একটি বড় ইস্যু সব বড় দলের জন্য।

পর্তুগাল শান্তিপ্রিয় দেশ। এখানে ইউরোপের অন্য দেশগুলোর মতো কট্টরপন্থি কোনো এজেন্ডা নিয়ে আসেন না কোনো দল। পর্তুগিজরা জাতিগতভাবে কট্টরপন্থি সমর্থন করেন না। তবে কনজারভেটিভ পর্তুগিজ পিপলস পার্টি সিডিএস এর নির্বাচনী ইশতেহার ও রাজনৈতিক অবস্থানের সমালোচনা করে পর্তুগিজ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিও কস্তা সিডিএস প্রধান অ্যাসুন্সাও ক্রিস্টাকে লেডি ডোনাল্ড ট্রাম্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচন ভোটে ভালো জয় পেয়েছিল পিএস। পিএসডিকে পেছনে ফেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নে পর্তুগালের নেতৃত্বের ম্যান্ডেড পায় দলটি।

পর্তুগালের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জ মাদেইরাতে ইতোমধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। বরাবরের মতো বিরোধী পিএইচডি জিতেছে সর্বোচ্চ ২১টি আসন। তবে ইতিহাস গড়ে পিএস এবার পেয়েছে সর্বোচ্চ ১৯ আসন। গেল বছর সেখানে তারা মোট ৬টি আসন লাভ করেছিল। এবার তাই এটি অনন্য ইতিহাস তাদের জন্য।

বিগত দিনে পর্তুগিজ সোশ্যালিস্ট পার্টি অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, তাই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আবারও ক্ষমতায় আসতে ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছে দলটি। আগের সরকারে বামদল ব্লক দ্য স্কেরদার সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করলেও এবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের আশা করছে দলটি। তাই মিত্র ব্লক দ্য স্কেরদার সাথে এখনো কোনো আলোচনায় যায়নি দলটি। ক্যাটারিনা মার্টিন্সের নেতৃত্বে নির্বাচনে ব্লক এবারও ১০ভাগ পর্তুগিজ ভোট পাওয়ার হিসেব উঠেছে এসেছে জরিপে।

এবারের নির্বাচনে পরিবেশ আন্দোলন নিয়ে আন্দ্রে সিলভার দল উঠে এসেছে আলোচনায়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নির্বাচনে তারা প্রথমবারের মতো আসন লাভ করে এবার। অনেকেই মনে করছেন বৈশ্বিক পরিবেশ প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে দলটি ভালো করবে। প্যান এবার ভালো কিছু করতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তবে অনেক পর্তুগিজদের ধারণা প্যান এখনো একটি দেশ পরিচালনার জন্য যোগ্য নয়।

ইউরোপের সোশ্যালিস্টরা জনপ্রিয় না তবে পর্তুগালে ব্যতিক্রম। এখানে সময়ের সাথে সাথে জনপ্রিয় হচ্ছে সোশ্যালিস্ট রাজনীতি। বিগত দিনে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে পর্তুগিজ সোশ্যালিস্ট। যদিও নিজেদের রাজনৈতিক এজেন্ডায় বিভিন্ন কর্ম পরিবেশে বৈষম্য ফেরাতে বিগত দিনে তেমন সফল হয়নি দলটি। অভিবাসন বিষয়ে বেশ নমনীয় দলটি।

অন্যদিকে প্রধান বিরোধীদল পিএসডি জলবায়ু, পাবলিক হেলথ, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ বেশকিছু বিষয়কে সামনে রেখে তাদের নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে। দলটির নির্বাচনী প্রচারের স্লোগান ছিল পাবলিক হেলথে বর্তমান সরকারের ব্যর্থতার কথা। বর্তমান সরকারের আগে ক্ষমতায় ছিল পিএসডি।

পর্তুগালে জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ আছে শুধুমাত্র ওই দেশের নাগরিকদের। অভিবাসীদের মাঝে নাগরিকত্ব প্রাপ্তরাই ভোট প্রদানের সুযোগ পেয়ে থাকেন। পর্তুগালে নাগরিকত্ব পাওয়া বাংলাদেশিরা বেশিরভাগই বসবাস করেন ব্রিটেনসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তাই সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে ভোট নিয়ে তেমন আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে ভোটারদের উৎসাহী করতে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় গণসংযোগ চালাচ্ছেন বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা।

পর্তুগিজসহ ইউরোপিয়ান বেশিরভাগ নাগরিকরা ভোটদানে বিরত থাকেন, আগ্রহ নেই তরুণদের মাঝেও। তাই অভিবাসী কমিউনিটিগুলোর প্রতি বিশেষ নজর থাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। তবে বিগত দিনে অভিবাসীদের জন্য সোশ্যালিস্ট পার্টির সহনশীল ও ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। যার ফলে অভিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে সোশ্যালিস্ট পার্টির গ্রহণযোগ্যতাও বেশি। এখন ৬ অক্টোবর দেখার বিষয় সাও বেন্তোর এসাম্বলিয়া দ্যা রিপাবলিকার নেতৃত্ব কারা লাভ করে।

   

মাশহাদে ইমাম রেজার মাজারে চিরনিদ্রায় শায়িত রাইসি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার চার দিন পর ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে মাশহাদে দাফন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ৬৩ বছর বয়সী ইব্রাহিম রাইসিকে ইমাম রেজার মাজারে শায়িত করা হয়।

ইরানের সংবাদ সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকেলে বিমানে করে মাশহাদের নেজাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রাইসির মরদেহ নিয়ে আসা হয়। এ সময় তাকে শেষ বিদায় জানাতে বহু মানুষ জড়ো হন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাইসির দাফনে যোগ দিতে ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হন। বিকেলে প্রেসিডেন্টের মরদেহ যখন দক্ষিণ খোরাসান প্রদেশের বিরজান্দ থেকে নিয়ে আসা হয় তখন মাশহাদের শহীদ মাশিনেজাদ বিমানবন্দরে বিশাল জনসমাগম দেখা যায়। পরে শোকগ্রস্ত মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে সুসজ্জিত একটি ট্রাকে করে তার কফিন নিয়ে যাওয়া হয় ইমাম রেজার মাজারের দিকে। সোনার গম্বুজ বিশিষ্ট ইমাম রেজা মাজারেই দাফন করা হয়েছে রাইসিকে। রাজধানী তেহরান থেকে ৯০০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত ইরানের পবিত্রতম শহর মাশহাদেই নবম শতাব্দীতে শায়িত হয়েছিলেন ইমাম আলী আল-রেজা।

এর আগে,গত বুধবার (২২ মে) সকালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসি ও তার সঙ্গীদের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। প্রিয় নেতাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে দেশটির রাজধানী তেহরানে ঢল নামে লাখো মানুষের।

গত শনিবার (১৮ মে) একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে আজারবাইজান সফরে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। রোববার (১৯ মে) দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করেন তিনি।

সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে রাইসিকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানায়, প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বেল ২১২ মডেলের একটি হেলিকপ্টার বহন করছিল। এই মডেলটি যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি। ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পরে যুক্তরাষ্ট্রের এটি ইরানের কাছে বিক্রি করার কথা নয়। সে হিসেবে উড়োযানটি অন্তত ৪৫ বছরের পুরনো।

এর আগেও আকাশপথে দুর্ঘটনায় দেশটির অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন সময়ে পরিবহনমন্ত্রী, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ড ও সেনাবাহিনীর কমান্ডার বিমান বা হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

;

রাইসিকে শেষবিদায় জানাতে হাজারো মানুষের ঢল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি’র শেষ বিদায় অনুষ্ঠানের দিনে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) হাজারো মানুষের ঢল নেমেছিল। বিভিন্ন শহরে শোকার্ত মানুষেরা মিছিল করে রাস্তায় নেমেছে।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার চার দিন পরে বৃহস্পতিবার নিজ শহরে তার দাফন সম্পন্ন হবে। ৬৩ বছর বয়সি রাইসি গত রবিবার তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্য ছয়জনের সাথে হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় নিহত হন।

আজারবাইজান সীমান্তবর্তী একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানাতে বৃহস্পতিবার সকালে প্ল্যাকার্ড ও পতাকা নেড়ে হাজার হাজার মানুষ পূর্বাঞ্চলীয় নগরী বিরজান্দে মিছিল করে।

কট্টর রক্ষণশীল প্রেসিডেন্টের জন্মস্থান উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নগরী মাশহাদের প্রধান শিয়া কবরস্থান ইমাম রেজার মাজার শরীফে তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন।

বুধবার ইরানি গণমাধ্যমে প্রকাশিত চিত্রে মাশহাদের কর্মকর্তাদের দাফনের প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। ইরানের দ্বিতীয় নগরীর রাস্তায় বিশেষ করে ইমাম রেজার মাজারের চারপাশে রাইসির বড় বড় ছবি, কালো পতাকা ও শিয়া প্রতীক স্থাপন করা হয়েছে।

মিডিয়ায় ‘শহীদ’ অভিহিত প্রেসিডেন্টকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে বুধবার রাজধানী তেহরানে একটি দাফনের মিছিলের জন্য বিপুল জনতা জড়ো হয়। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি দুর্ঘটনায় নিহত আটজনের কফিনের সামনে হাঁটু গেড়ে প্রয়াত প্রেসিডেন্টের জন্য প্রার্থনার নেতৃত্ব দেন।

দুর্ঘটনায় নিহত পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরআব্দুল্লাহিয়ানকেও বৃহস্পতিবার রাজধানীর দক্ষিণে শাহর-রে শহরে শাহ আবদোল-আজিমের মাজারে দাফন করা হবে। তার দাফনের আগে তেহরানে এক অনুষ্ঠানে প্রয়াত এই শীর্ষ কূটনীতিককে শ্রদ্ধা জানান ইরানি কর্মকর্তা ও বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা দি ইসলামিক রিপাবলিক নিউজ এজেন্সি (আইআরএনএ) জানিয়েছে, তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ ও কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল-থানি বুধবার রাইসির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এক শোকসভায় যোগ দেন। বিশ্বের ৬০টি দেশের প্রতিনিধিরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলি সেখানে অনুপস্থিত ছিল। তবে বেলারুশ ও সার্বিয়ার মতো কিছু দেশের প্রতিনিধিরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ইরানে চূড়ান্ত কর্তৃত্বের অধিকারী খামেনি পাঁচ দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবারকে ২৮ জুন রাইসির উত্তরসূরি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছেন।

তেহরানে বুধবারের দাফনে শরীক হওয়া ৩১ বছর বয়সি মোহসেন বলেন, ‘আমি কীভাবে তার মতো কাউকে খুঁজে পাব? আমি সত্যিই এটি নিয়ে চিন্তিত। আমি যতদূর জানি, আমাদের কাছে তার সমকক্ষ কেউ নেই।’

রাইসি ২০২১ সালে মধ্যপন্থী হাসান রুহানির স্থলাভিষিক্ত হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তার মৃত্যুর পর, রাশিয়া ও চীন এবং ন্যাটো তাদের শোকবার্তা পাঠায় এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এক মিনিট নীরবতা পালন করে। সিরিয়া সরকার, হামাস ও হিজবুল্লাহসহ ইরানের এই অঞ্চলের মিত্রদের কাছ থেকেও সমবেদনার বার্তা আসে।

;

ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে রাশিয়ার আরেক জেনারেল আটক



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বড় অংকের ঘুষ নেওয়ার সন্দেহে সেনাবাহিনীর জেনারেল স্টাফের উপ-প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ভাদিম শামারিনকে আটক করেছে রাশিয়া।

আল জাজিরা জানিয়েছে, এ নিয়ে এক মাসে চতুর্থ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করলো মস্কো প্রশাসন।

একটি সামরিক আদালত বুধবার (২২ মে) আদেশ দেন যে, জেনারেল শামারিন, যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান যোগাযোগ অধিদপ্তরের প্রধানের পদে রয়েছেন, ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে তাকে দুই মাসের জন্য কারাগারে পাঠানো হবে।

সামরিক চুক্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি বন্ধ করার প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে অন্যান্য শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের পর শামারিনকে আটক করা হলো।

এই মাসের শুরুতে ইউক্রেন আক্রমণের সাবেক শীর্ষ কমান্ডার মেজর-জেনারেল ইভান পপভ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মী অধিদপ্তরের প্রধান লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইউরি কুজনেটসভকে ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

গত এপ্রিলে রাশিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী তৈমুর ইভানভকেও ঘুষের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

এরপর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শোইগুকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেন। তার স্থলাভিষিক্ত হন অর্থনীতিবিদ আন্দ্রেই বেলোসভ।

ইউক্রেনের যুদ্ধের শুরুতে কিয়েভ দখল করতে রাশিয়ার ব্যর্থতার জন্য শোইগুকে ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়েছিল এবং ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান প্রয়াত ইয়েভজেনি প্রিগোজিন তাকে অযোগ্যতা এবং দুর্নীতির জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।

শামারিন জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভের একজন ডেপুটি এবং জেনারেল স্টাফের প্রধান।

তবে, গেরাসিমভের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি, যদিও তিনি মাঝে মাঝেই ইউক্রেনের যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কর্মক্ষমতা নিয়ে কঠোর সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই একটি চলমান প্রচেষ্টা। এটা কোনো প্রচারণা নয়। এটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রমের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।’

;

প্রেসিডেন্ট পদে ট্রাম্পকেই দেখতে চান নিকি হ্যালি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ সময় ধরে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সাউথ ক্যারোলাইনার সাবেক গভর্নর নিকি হ্যালি। অবশেষে, এই দুজনের লড়াই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নিকি হ্যালি বলেছেন, এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পকেই ভোট দেবেন তিনি।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সঙ্গেই দলীয় প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছিলেন হ্যালি। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত সরে যেতে হয়েছে।

রিপাবলিকান পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন ট্রাম্পের আমলে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত নিকি হ্যালি। এ জন্য সাবেক নিয়োগদাতা ট্রাম্পের সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে হয়েছিল তাকে।

দলীয় মনোনয়নের দৌড়ে (প্রাইমারি) ট্রাম্পের সামনে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে টিকেও ছিলেন। অবশেষে গত মার্চে সরে দাঁড়ান তিনি।

এরপর বুধবার প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে নিকি হ্যালি বলেন, ‘ট্রাম্প নিখুঁত প্রার্থী নন। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে জো বাইডেন বিপর্যয়কর।’

নিজ দলের মধ্যে যারা ট্রাম্পকে সমর্থন করেন না, তারা নিকি হ্যালিকে প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সমর্থন জুগিয়েছিলেন। তবে চলতি বছরের শুরুর দিকে রিপাবলিকান প্রাইমারিগুলোয় ভালো ফল করতে ব্যর্থ হন তিনি।

ওয়াশিংটনে চিন্তক প্রতিষ্ঠান হাডসন ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে রক্ষণশীলদের সামনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প-বাইডেন দুজনেরই সমালোচনা করেন নিকি হ্যালি।

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে একটি পরাজয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাইডেন। ইউক্রেনে যুদ্ধ ঠেকাতে তিনি কিছুই করেননি। এমনকি সম্প্রতি ইসরায়েলকে নেকড়ের মুখে ছুড়ে দিয়েছেন।’

নিকি হ্যালি বলেন, ‘একজন ভোটার হিসেবে আমি তাকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে চাই, যিনি আমাদের মিত্রদের সঙ্গে থাকবেন, সীমান্তকে সুরক্ষিত করবেন, পুঁজিবাদ ও স্বাধীনতাকে সমর্থন করবেন। যিনি বুঝতে পারবেন, আমাদের বেশি বেশি নয় বরং কম ঋণ দরকার, এমন একজনকেই প্রেসিডেন্ট দেখতে চাই।’

;