নেতানিয়াহু মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও থাকছেন প্রধানমন্ত্রী
দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হওয়ায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে সরে দাড়াবেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে, পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকবেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) তার আইনজীবীর বরাত দিয়ে আল-জাজিরা এ তথ্য জানায়।
একই দিন দেশটির সর্বোচ্চ আদালত নেতানিয়াহুকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিতে নির্দেশ দেন। এদিনই নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে পার্লামেন্টেও ভেঙে দেয়া হয়।
দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় নেতানিয়াহুকে মন্ত্রণালয় থেকে সরে দাড়ানোর নির্দেশ চেয়ে আবেদন করে মুভমেন্ট ফর কোয়ালিটি গভর্নমেন্ট ইন ইসরায়েল (এমকিউজি) নামের একটি সংগঠন। তাদের আবেদনের প্রক্ষিতে নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রী বাদে সকল পদ থেকে সরে দাঁড়াতে নির্দেশ দেয় আদালত।
গত নভেম্বরে সরকারি আইনজীবী আভিচাই মান্ডেলব্লিট নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুষ, প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের কারণে তিনটি পৃথক দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করে।
ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী, কোনো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হলে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে এমনটি নয়।
নেতানিয়াহুর আইনজীবীরা জানান, ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের পদ ছেড়ে দিয়ে নতুন মন্ত্রী নিয়োগ দেবেন নেতানিয়াহু। তবে, আইন অনুযায়ী তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেতানিয়াহুর থাকাকে ইসরায়েলের জন্য লজ্জার হিসেবে উল্লেখ করেছে এমকিউজি। বেসরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘নেতানিয়াহুকে একজন সাধারণ ব্যক্তি হিসেবে মামলার লড়াই করা উচিত, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়।’
এদিকে, চলতি বছর দুই দফায় নির্বাচনে নেতানিয়াহু বা তার প্রতিদ্বন্ধীরা সরকার গঠন করতে না পারায় নির্বাচন তৃতীয় দফায় গড়িয়েছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২ মার্চ হবে নির্বাচন।