নবী করিম সা.-এর বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি

  • কে এম ছালেহ আহমদ বিন জাহেরী, অতিথি লেখক, ইসলাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। উম্মতের হেদায়েতের জন্য আল্লাহতায়ালা তাকে রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন, তিনি বিশ্ববাসীর জন্য উত্তম আদর্শ। আল্লাহতায়ালা নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি দান করছেন। যা পূর্বের কোনো নবী-রাসুলকে দান করা হয়নি। এখানে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলি উল্লেখ করা হলো।

বৈশিষ্ট্য

বিজ্ঞাপন

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাম আরশে লিপিবদ্ধ।

মিরাজ গমন, ফেরেশতাদের সঙ্গে সাক্ষাত এবং বেহেশত ও দোজখের আশ্চর্যজনক ঘটনাবলি সম্পর্কে অবগত হওয়ার পাশাপাশি আল্লাহর দিদার লাভ।

বিজ্ঞাপন

নামাজের আজান ও ইকামতে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাম উল্লেখ।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য মালের জাকাত গ্রহণ করা হারাম।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনুসারীদের সংখ্যা সকল নবীর অনুসারীদের চেয়ে বেশি।

তিনি সৃষ্টিজগতের সর্বোত্তম ব্যক্তি।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর উম্মতের জন্য তার স্ত্রীদের বিয়ে করা হারাম। কারণ তাদের উম্মাহাতুল মুমিনিন অর্থাৎ উম্মত জননী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

তার মাধ্যমেই নবুওয়তের পরিসমাপ্তি ঘটেছে।

গুণাবলি

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চেহারা মোবারক এমন আকর্ষণীয় ছিলো, যা দেখে শত্রুরা ভীত-শঙ্কিত হয়ে পড়ত। আর অন্যরা দেখে মুগ্ধ হতো।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নাম রাখা হয়েছে আহমদ তথা অতি প্রশংসাকারী। এমন নাম কোনো নবী-রাসুলের রাখা হয়নি।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর উম্মতকে শ্রেষ্ঠ উম্মত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সংক্ষেপে বেশি অর্থবহ কথা বলার যোগ্যতা দান করা হয়েছে।

সমস্ত জমিনকে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য মসজিদ ও পবিত্র স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। যা অন্য নবীদের দেওয়া হয়নি।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য মাটিকে পবিত্র বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে পানির বিকল্প (প্রয়োজনে) হিসেবে তিনি ও তার উম্মতের জন্য মাটি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা বৈধ।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য গণিমত তথা যুদ্ধলব্ধ মাল হালাল করা হয়েছে। যা অন্য নবী-রাসুলদের সময় হালাল ছিলো না।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে সমগ্র সৃষ্টির প্রতি রহমত হিসেবে প্রেরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ তিনি হলেন- বিশ্বনবী। এ ছাড়া সব নবী-রাসুল ছিলেন আঞ্চলিক এবং নির্দিষ্ট এলাকার।

হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আগমনের মাধ্যমে নবুওয়তের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী-রাসুল আসবে না।’