৮ সপ্তাহ ধরে মসজিদে আকসায় প্রবেশে বিধি-নিষেধ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আল আকসা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করছেন অল্প কয়েকজন মুসল্লি

আল আকসা প্রাঙ্গণে নামাজ আদায় করছেন অল্প কয়েকজন মুসল্লি

ফিলিস্তিনের পবিত্র মসজিদুল আকসায় জুমার নামাজ পড়তে মুসল্লিদের প্রবেশে বিধি-নিষেধ অব্যাহত রেখেছে দখলদার ইসরায়েলি পুলিশ। গত ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর পর পবিত্র এ মসজিদে প্রবেশে আগের চেয়ে কঠোরতা বাড়িয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এ নিয়ে গত আট জুমার নামাজে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ ও এর প্রাঙ্গণ প্রায় মুসল্লিশূন্য ছিল।

সর্বশেষ গত ১ ডিসেম্বর এ মসজিদে মাত্র সাড়ে তিন হাজার মুসল্লি জুমার নামাজ পড়েছেন। তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেরুজালেমের ইসলামিক ওয়াকফ বিভাগ জানিয়েছে, ‘সাধারণত পবিত্র মসজিদুল আকসায় ৫০ হাজারের বেশি মুসল্লি জুমার নামাজ পড়তে আসেন। কিন্তু আজ মাত্র সাড়ে তিন হাজার লোক এখানে জুমার নামাজ পড়েছেন। গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মসজিদে প্রবেশে শক্ত অবস্থানে রয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। আর জুমার দিন তাদের বিধি-নিষেধ আরো কঠোরভাবে পালন করা হয়।’

ওয়াকফ বিভাগ আরো জানায়, ‘পবিত্র আকসা মসজিদ ও আশপাশের চত্বর প্রায় মুসল্লিশূন্য থাকলেও সেখানে মুসল্লিদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আকসা প্রাঙ্গণে শুধু ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মুসল্লিদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গত আট জুমায় ইসরায়েল কর্তৃপক্ষ বেশির ভাগ মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয়।’

বিজ্ঞাপন

মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে না পেরে বিভিন্ন রাস্তায় নামাজ পড়তে বাধ্য হন বেশির ভাগ মুসল্লি। জেরুজালেমের অলিগলিতে মোতায়েন করা ইসরায়েলি পুলিশ কম বয়সীদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয় এবং অনেককে গ্রেপ্তার করে। এমনকি ওয়াদি আল-জোজ এলাকায় মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে হামলা চালায়।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ৪৮ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে প্রায় ১৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়; যার মধ্যে অর্ধেকের বেশি শিশু ও নারী।

এরপর গত ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি গত শুক্রবার শেষ হয়। এ সময়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দি ও জিম্মি বিনিময় হয়।