বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মডেল মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনদের শ্রদ্ধা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুর কবরে দোয়া করছেন মডেল মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনরা, ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধুর কবরে দোয়া করছেন মডেল মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিনরা, ছবি: সংগৃহীত

রাজস্ব খাত থেকে বেতন-ভাতার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের মডেল মসজিদগুলোর ইমাম ও মুয়াজ্জিনরা।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত শেষে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ।

বিজ্ঞাপন

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের মডেল মসজিদগুলোতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু এসব মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেমদের বেতন সামান্য। যা দিয়ে সংসার ও জীবন ধারণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তাই মডেল মসজিদের জনবলকে জাতীয়করণ করে বেতন-ভাতা রাজস্ব খাতের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আবদার জানান।

এর আগে দুপুরে বাংলাদেশ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইমাম সমিতির নেতৃবৃন্দ টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় বাংলাদেশ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ইমাম সমিতির সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ মারুফ বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল গফুরসহ দেশের তিনশ মডেল মসজিদের ইমামরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে কোরআন খতম করেন তারা।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ২০১৭ সালে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন শীর্ষক (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্পটি গ্রহণ করে। মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো ৪৩ শতাংশ জমির ওপর তিন ক্যাটাগরিতে নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে চারতলা, উপজেলা পর্যায়ে তিনতলা এবং উপকূলীয় এলাকায় চারতলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে।

ইতোমধ্যে ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রথম পর্যায়ে, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্যায়ে, ১৬ মার্চ তৃতীয় পর্যায়ে, ১৭ এপ্রিল চতুর্থ পর্যায়ে, ৩০ জুলাই পঞ্চম পর্যায়ে এবং ষষ্ঠ পর্যায়ে ৩০ অক্টোবর ৫০টি করে মোট ৩০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। এ পর্যন্ত সারা দেশে ৩০০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সংস্কৃতিকেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে।