সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের সুযোগ

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাবা শরিফ, মক্কা, ছবি: সংগৃহীত

কাবা শরিফ, মক্কা, ছবি: সংগৃহীত

২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমান পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন। অন্যদিকে কম খরচে, কম সময়ে সরকারিভাবে আরেকটি নতুন হজ প্যাকেজ ঘোষণা করার কথা জোরেশোরে উচ্চারিত হচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলতে চাননি।

চলতি বছর যেহেতু বেসরকারিভাবে মাত্র ১ লাখ ২০ হাজার মুসলমান পবিত্র হজ পালন করতে পারবেন, আর বেসরকারি প্রাক-নিবন্ধনের সিরিয়াল ১ লাখ ৮৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সঙ্গত কারণে এখন প্রাক-নিবন্ধন করলে এবার হজে যাওয়ার সিরিয়াল মেলার সুযোগ কম, তাই সরকারিভাবে প্রাক-নিবন্ধন করে হজ পালন করার সুযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তাই ২০২০ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পবিত্র হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিবর্গকে শনিবার (১১ জানুয়ারি) থেকে জরুরি ভিত্তিতে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করার জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এলক্ষে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে হজে গমনেচ্ছুদের জন্য প্রাক-নিবন্ধন সার্ভার চালু করা হয়েছে।

সর্বশেষ নিবন্ধনের হিসাবে দেখা গেছে, সরকারিভাবে ৪ হাজার ১৫৭ জন ও বেসরকারিভাবে ১ লাখ ৮৫ হাজার ১৭১ জন হজের জন্য প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালে বাংলাদেশি হজযাত্রীর কোটা ১০ হাজার বাড়িয়েছে সৌদি সরকার। এবার মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি হজ করার সুযোগ পাবেন।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করা যাবে- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, আশকোনা হজ অফিস এবং সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ১৫২১ নম্বর কক্ষ।

ইচ্ছা করলে হজযাত্রী নিজেও https://prp.pilgrimdb.org/pilgrim-reg-request/create ওয়েবসাইটে যেয়ে প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণও তাদের পছন্দ অনুযায়ী হজ এজেন্সির কার্যালয় থেকে প্রাক-নিবন্ধন করতে পারবেন। প্রাক-নিবন্ধন বিষয়ে যে কোনো তথ্য জানতে ০৯৬০২৬৬৬৭০৭ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান ব্যবস্থায় দুই প্যাকেজে (প্যাকেজ-১ এবং প্যাকেজ-২ এর আওতায়) সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ২০১৯ সালে প্যাকেজ-১ চার লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা আর অন্যটিতে খরচ নেওয়া হয় তিন লাখ ৪৪ হাজার টাকা। ২০২০ সালের জন্য হজ প্যাকেজ এখনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে ধর্ম মন্ত্রণালয়সূত্রে জানা গেছে, এবার প্যাকেজপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বাড়বে।

এই বিষয়টি মাথায় রেখে, বিদ্যমান দুই প্যাকেজের পাশাপাশি নতুন এক প্যাকেজের আওতায় কম খরচে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের হজে পাঠানোর চিন্তা করা হচ্ছে। চূড়ান্ত না হলেও অনুমান করা হচ্ছে, নতুন ওই প্যাকেজে সরকারিভাবে হজের খরচ তিন লাখের কম হবে।

অনেকে বেশি খরচের কথা চিন্তা করে হজে যেতে উৎসাহিত হন না। আবার সরকারিভাবে হজে গেলে প্রতারণার কোনো ঝুঁকি থাকে না। মাঝামাঝি অবস্থায় প্রত্যেক হজযাত্রীই চান কম খরচে ঝামেলামুক্ত ঝুঁকিহীন একটি হজ ব্যবস্থাপনা। তাই নতুন এই প্যাকেজে মাত্র দুই লাখ ৬০ হাজার থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকায় একজন হজযাত্রী সরকারিভাবে হজ পালনের সুযোগ পাবেন।

নতুন প্যাকেজের হাজিদের মক্কার আজিজিয়া এলাকায় (কাবা থেকে কিছুটা দূরে) ভাড়া বাসাতে রাখা হবে। তাদের প্রথমে নেওয়া হবে মদিনায়। প্যাকেজের মেয়াদকাল হবে ৩০ দিন।

বিজ্ঞপ্তি দেখতে এখানে ক্লিক করুন