তাওয়াফের প্রতি কদমে গোনাহ মাফ হয়



ড. মুফতি মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী, অতিথি লেখক, ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র হজ পালনের জন্য এখন যারা সৌদি আরবের মক্কা গমন করছেন, উমরা পালনের পর হজ শুরু হওয়া (৮ জিলহজ) পর্যন্ত তাদের আর বিশেষ কোনো আমল বা কাজ নেই। এ সময় ইহরামের কাপড় খুলে রেখে স্বাভাবিক কাপড় পরিধান করে মক্কাবাসীদের মতো জীবন-যাপন করতে পারবেন। তবে হজের সফরে অহেতুক সময় নষ্ট করা কিছুতেই ঠিক না। এ সময় নিম্নোক্ত কাজগুলো গুরুত্বের সঙ্গে করা যেতে পারে-

নফল তাওয়াফ
যখনই সুযোগ পাওয়া যায় নফল তাওয়াফ করা। ফরজ তাওয়াফ যেভাবে আদায় করা হয়- একইভাবে নফল তাওয়াফ আদায় করতে হয়। তবে এতে বীরের মতো হাঁটা বা রমল নেই। আর ইহরামের কাপড় ডান বগলের নিচ দিয়ে বাম কাঁধে ফেলে রাখার আমল ইজতেবাও নেই। তাওয়াফের প্রতি কদমে কদমে গোনাহ মাফ করা হয়। তাই যতো বেশি সম্ভব তাওয়াফ আদায় করা। এক্ষেত্রে ৭টি চক্করে একটি তাওয়াফ হয়।

এ তাওয়াফ নিজের জন্য করা যায়। অন্য কারো পক্ষ থেকে তাওয়াফ করা যায়। এটি নফল ইবাদত, তাই যার পক্ষ থেকে নিয়ত করে আদায় করা হবে তার পক্ষ থেকে আদায় হবে এবং সে সওয়াব পাবে। মা-বাবা, উস্তাদ, প্রিয়জন, আত্মীয়-স্বজন, রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম রাযিয়াল্লাহু আনহুম যে কারো পক্ষ থেকে তা আদায় করা যেতে পারে।

কেউ কেউ বলেন, যতো বেশি পারো তাওয়াফ করে নাও। তোমার দেশে কাবা পাবে না। সেখানে নামাজ পড়তে পারবে, কিন্তু সেখানে তো তাওয়াফ করতে পারবে না।

মসজিদে হারামে নামাজ আদায়
বায়তুল্লাহ শরীফে নামাজ আদায় করলে এক লক্ষ গুণ সওয়াব পাওয়া যায়। যা মক্কার অন্যকোনো মসজিদে কিংবা হোটেলে বা বাসায় পড়লে পাওয়া যাবে না। তাই মসজিদে হারাম একটু দূরে হলেও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে হারামে এসে পড়ার চেষ্টা করা।

আরও পড়ুন: হজ কবুল হওয়ার জন্য ঝগড়া না করা শর্ত

মসজিদে হারামে নফল নামাজ পড়ার চেষ্টা করা। কেননা এক লক্ষ গুণ সওয়াবের বিষয়টি মসজিদে হারামের ক্ষেত্রে ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু ফরজ নামাজের ক্ষেত্রে এটি সীমাবদ্ধ নয়। তাই নফল পড়লেও এক লক্ষ গুণ সওয়াব পাওয়া যাবে। নামাজ কাযা থাকলে তাও আদায় করা যেতে পারে।

কাবা ঘরের দিকে তাকিয়ে থাকা
কাবাঘরের দিকে তাকিয়ে থাকাও ইবাদত। অন্যান্য ইবাদত করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে কিংবা অবসর পেলে কাবার দিকে তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করুন। স্বাভাবিক অবস্থায়ও আবেগের সঙ্গে কাবার দিকে তাকিয়ে থাকতে পারেন।

মুলতাযিমে দোয়া
কাবার চৌকাঠ বা দরজা ধরে দোয়া করা সুন্নত। হাজরে আসওয়াদ ও কাবার দরজার মাঝের জায়গাটুকু মুলতাযিম। এখানে দোয়া কবুল হয়। সুযোগ পেলেই সেখানে পৌঁছে নেক মাকসুদগুলো আল্লাহর কাছে চেয়ে নিতে পারেন। আল্লাহ আপনাকে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত, আপনার তো চাইতে হবে! যা চাওয়ার চেয়ে নিন। সবচেয়ে বড় চাওয়া হেদায়েত। তা নিজের জন্য, সন্তানের জন্য, পরিবারের জন্য, সমাজের জন্য, উম্মাহর জন্য চেয়ে নিন। নিজস্ব প্রয়োজনগুলোও তুলে ধরুন ইলাহের দরবারে। দোয়া করার সময় কোন ভাষায় দোয়া করছেন তা দেখা হয় না। যে কোনো ভাষায়, যে কোনোভাবে দোয়া করা যায়। আল্লাহকে একান্তে পেয়েছেন, আপনার আকুতি জানাতে থাকুন। আমাদেরকেও আপনার দোয়ায় শামিল করে নিতে পারেন।

কোরআনে কারিম তেলাওয়াত
মসজিদে হারামে হাজার হাজার কোরআনে কারিম রাখা আছে। একটু পরপর সেলফে রাখা আছে এ সব কোরআন। আপনি সুযোগ পেলেই কোরআন তেলাওয়াত করতে ভুলবেন না। কোরআন খতমের টার্গেটে শুরু করলে ২/১ খতম পড়া হয়ে যাবে- ইনশাআল্লাহ।

দোয়া করা
শুধু দোয়া করাও একটি ইবাদত। যে কোনো জায়গায় বসে, শুয়ে বা দাঁড়িয়ে হজের সফরে দোয়া করতে পারেন। যে কোনো ভাষায় দোয়া করা হোক আল্লাহ তাতে সাড়া দেন।

হজ বিষয়ে জানতে আরও পড়ুন: হজ আদায়ে তিন কাজ, অনাদায়ে হজ হবে না

দ্বীনের প্রচার
ধর্মীয় বিষয় অন্য সাথীদের কাছে, কিংবা অন্য যে কোনো ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিতে পারেন। অহেতুক গল্প-গুজব না করে, ঘুরাফেরা না করে ধর্মীয় বই পড়–ন, অন্যদেরকে পড়ে শুনান। হজের নিয়ম-কানুন আরো ভালো করে শিখুন বা অন্যকে শেখাতে চেষ্টা করুন।

নফল উমরা করা
হজের সফরে একাধিক উমরা করার কথা হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা তার সাহাবীদের আমলে পাওয়া যায় না। তাই অধিকাংশ উলামায়ে কেরাম নফল উমরা করাকে নিরুৎসাহিত করে থাকেন।

কেউ নফল উমরা করতে চাইলে তানঈম বা আয়শা মসজিদে গিয়ে উমরার ইহরাম বেঁধে এসে যথারীতি উমরা আদায় করতে পারেন। নফল উমরায় তাওয়াফের সময় রমল ও ইজতিবা করতে হয় না। অন্যান্য সকল কাজ উমরার মতোই।

মক্কার ঐতিহাসিক স্থানগুলো দেখা
উমরা ও হজের মধ্যবর্তী সময়ে কিংবা হজের পর বাড়ী ফেরার পূর্বে হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্মৃতি বিজড়িত স্থানগুলো ঘুরে দেখতে পারেন। এটি দেখায় আপনার অনেক অভিজ্ঞতা হবে। যেমন জাবালে নূরের হেরা গুহা। এতো উপরে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে উঠতেন? হজরত খাদিজা রাযিয়াল্লাহু আনহা তার জন্য খাবার কিভাবে নিয়ে যেতেন? একাকী নবীজী কিভাবে সাধনা করতেন এসব বিষয় আপনার ভাবনায় আসবে। কোথায় কোথায় ঘুরতে যেতে পারেন, তা আপনার কাফেলার লোকদেরকে জিজ্ঞাসা করলে অনেক কিছু জেনে নিতে পারবেন।

অনেক সময় হজ কাফেলার পক্ষ থেকে মক্কা-মদিনার ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরিয়ে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। যেতে পারেন তাদের সঙ্গেও। তবে মসজিদে হারামে এসে জোহরের নামাজ পড়তে ভুল করবেন না।

লেখক: অধ্যাপক, উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

   

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;