হজ গমনে মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের পরিহার করুন: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ছবি: বার্তা২৪.কম

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ, ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীরা সহজ ও সুন্দরভাবে হজ পালন করতে পারেন। সরকারি ব্যবস্থাপনা সব ধরনের প্রতারণা ও বিড়ম্বনা মুক্ত। এ বিষয়গুলো সাধারণ মানুষকে জানাতে হবে। হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে দেশব্যাপী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে হবে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) গোপালগঞ্জ ইসলামিক ফাউন্ডেশন জেলা কার্যালয় আয়োজিত মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের শিক্ষক ও উলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা এবং মসজিদভিত্তিক পাঠাগার প্রকল্পের আওতায় আলমারি ও জাকাতের অর্থায়নে সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের অবশ্যই সরকার প্রদত্ত নিয়ম-কানুন জেনে হজে গমন করতে হবে। হজ গমনে যেকোনো ধরনের মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের পরিহার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গমন সবচেয়ে উত্তম। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের হজযাত্রীদের হজে গমনের বিষয়ে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা চিন্তা করে এ বছরের হজ চুক্তিতে দশ হাজার হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনার সতেরো হাজার একশ’ আটান্নব্বইজনসহ সর্বমোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালনে সৌদি আরব যেতে পারবেন।

দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে দেশের সব মানুষের কাছে ইসলামের শান্তির বাণী সঠিকভাবে পৌঁছে দিতে দ্রুতগতিতে এসব মসজিদ নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো ধর্মীয় কার্যক্রমের পাশাপাশি নানাবিধ সামাজিক ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কার্যকরী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অবদান রাখবে।

বিজ্ঞাপন

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদকাসক্তি, নারীর প্রতি সহিংসতা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ইত্যাদি বিষয়ে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে আলেম সমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা আলেম সমাজের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধর্মীয় ও নৈতিকতা শিক্ষার কথা চিন্তা করে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প চালু করেছেন। সেই সঙ্গে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের জন্য স্ব স্ব উপাসনালয়কেন্দ্রিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প চালু করেছেন।

গোপালগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী মো. শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. আসলাম হোসেন খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক আনিছুজ্জামান শিকদার, উপ-পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন, গোপালগঞ্জ জেলার শাখা মো. আবু অবায়দা মাসুদ-উল- হক, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মো. রুহুল আমিন, উলামা-মাশায়েখ গোপালগঞ্জ জেলার সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম প্রমুখ।

সভায় গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, যশোর, নড়াইল থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা এবং বিপুল সংখ্যক উলামা-মাশায়েখ অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে জাকাতের অর্থায়ন থেকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের মাঝে সেলাই মেশিন এবং মসজিদ পাঠাগারের আলমারি বিতরণ করা হয়।