রংপুর পাসপোর্ট অফিসে হজযাত্রীদের জন্য আলাদা বুথ
হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন চলছে। নানা কারণে নিবন্ধনে ধীরগতি। তবে ধীরগতির অন্যতম কারণ যথাসময়ে হজযাত্রীদের পাসপোর্ট হাতে না পাওয়া। মূলত পাসপোর্ট বইয়ের সংকটের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায়ও রংপুর থেকে হজ গমনেচ্ছুকদের দুর্ভোগ কমাতে আলাদা বুথ ও তথ্য সহায়তা কেন্দ্রের মাধ্যমে সেবা দিচ্ছে বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস। অন্যদিকে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধসহ হজযাত্রীদের হয়রানি কমাতে সরকারিভাবে প্রাক-নিবন্ধন ও রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় উদ্বুদ্ধ করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়া পাসপোর্ট ও ভিসা সরবরাহ করতে রংপুর বিভাগীয় অফিসে আলাদা বুথ ও তথ্য সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এখান থেকে রংপুরের আট উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকার হজগমনেচ্ছুক যাত্রীরা পাসপোর্ট নিচ্ছেন। তবে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রভাব এখানে দেখা গেছে। এ কারণে পাসপোর্ট অফিসে তেমন ভিড় বা উপস্থিতি নেই। অনেকটা অলস সময় পার করছেন অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
হজযাত্রীদের সেবা প্রদানের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দাবি, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশন অনুযায়ী দ্রুত সময়ের মধ্যে পাসপোর্ট প্রদান করতে যাত্রীদের সবধরণের সেবা দিচ্ছেন তারা। এজন্য পাসপোর্ট অফিসে পৃথক বুথ ও তথ্য সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পাশাপাশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন ফরম জমার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দ্রুত পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে রংপুর বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপ-পরিচালক খন্দকার তাজুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, হজযাত্রীদের যাতে কোনো প্রকার ভোগান্তি না হয় সে জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। আবেদনকারীদের নির্ধারিত সময়ের আগে পাসপোর্ট দেওয়ার লক্ষ্যে নিয়মিত পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করা হচ্ছে। ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পাসপোর্টের বই দ্রুত প্রিন্ট করতে মেইল করা হচ্ছে। অনেককে সুপারিশসহ হাতে হাতে পাসপোর্ট বই দেওয়ারও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
এসময় তিনি আরও জানান, সোমবার (৯ মার্চ) পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৪শ’ পাসপোর্ট বই বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া পাসপোর্টের জন্য প্রতিদিন ২০-৩০টি করে আবেদন জমা পড়ছে। বর্তমানে একশ’টিরও কম পাসপোর্টের আবেদন (প্রক্রিয়াধীন) তাদের হাতে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রংপুর বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মো. শামছুল হক বার্তা২৪.কমকে জানান, সরকারিভাবে হজযাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন ও রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় কার্যালয়ে দু’টি বুথ রয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৫০শ’ জন প্রাক-নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন।
তিনি আরও বলেন, হজপালনের ইচ্ছুকদের সরকারি প্যাকেজে নিবন্ধন করতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। প্যাকেজে এ, বি, সি ক্যাটাগরি রয়েছে। এক্ষেত্রে প্যাকেজের আবাসন সুবিধাকে যাত্রীরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। প্রতিটি প্যাকেজে আলাদাভাবে কোরবানির জন্য বাংলাদেশি টাকায় ১২ হাজার ৭৫ টাকার লাগবে।
সরকার নির্ধারিত এ প্যাকেজ- ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, বি প্যাকেজ- ৩ লাখ ৬০ হাজার এবং সি প্যাকেজে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। চলতি মাসের ১৫ তারিখে চূড়ান্ত নিবন্ধনের শেষ দিন বলেও জানান তিনি।