শবে বরাতে বাসায় নামাজ আদায় করুন: ইফা

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লোগো, ছবি: বার্তা গ্রাফিক্স

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের লোগো, ছবি: বার্তা গ্রাফিক্স

করোনাভাইরাসের কারণে সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে দেশের নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে ৯ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার দিবাগত পবিত্র শবে বরাতের নফল ইবাদত নিজ নিজ বাসস্থানে আদায়ের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শনিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) মহাপরিচালক (ডিজি) আনিস মাহমুদ (অতিরিক্ত সচিব) স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত করোনাভাইরাস সম্পর্কিত দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক ঘোষিত নির্দেশনা মান্য করে আগামী বৃহস্পতিবার দিবাগত পবিত্র শবে বরাতের নফল ইবাদত নিজ নিজ বাসস্থানে আদায় করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি রোধকল্পে সরকার সব সরকারি-বেসরকারি অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ। সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করতে কঠোরভাবে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মসজিদে জুমা ও পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজের জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সীমিত রাখার আহবান করা হয়েছে। বলা হয়েছে- মুসল্লিরা অজু, নফল ও সুন্নত নামাজ বাসায় আদায় করবেন। সর্বশেষ শবে বরাতের নফল ইবাদত-বন্দেগি নিজ নিজ বাসায় পালনের আহ্বান জানানো হলো।

বিজ্ঞাপন

শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। উপমহাদেশে ‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে পরিচিত লাইলাতুল বরাতের পুণ্যময় রাতটি মুসলমানরা নফল নামাজ, জিকির-আজকার ও কোরআন তেলাওয়াতসহ বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন ও পরেরদিন নফল রোজা পালন করেন।

শাবান হিজরি বর্ষের অষ্টম মাস। শাবান মাসেই রমজানের পবিত্রতার আবহ শুরু হয়। হাদিসে শাবান মাসের ফজিলত ও করণীয় বর্ণিত হয়েছে।

হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আয়েশা রাযিয়াল্লাহু আনহা বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাস ব্যতীত আর কোনো সময় পূর্ণ মাসব্যাপী রোজা রাখতেন না এবং শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজাও অন্য কোনো মাসে রাখতেন না।’ -সহিহ বোখারি: ১৯৬৯