শবে বরাতে কবরস্থান ও মাজারে ভিড় না করে ঘরে ইবাদতের আহ্বান
যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটিকে মুসলমানরা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন। অনেকের মতে, মহিমান্বিত এ রাতে আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। মুসলমানরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকারসহ বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।
এমতাবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ কামনা করে পবিত্র শবে বরাতে বিশেষ দোয়া এবং কবরস্থান ও মাজারে জনসমাগম না করার আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।
বুধবার (৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানায় প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক (ডিজি) আনিস মাহমুদ।
বিশ্বে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশেও এর প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে। তাই বিরাজমান এ পরিস্থিতিতে মহিমান্বিত এ রাতে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে ইবাদত-বন্দেগির সময় ব্যক্তিগত দোয়া-প্রার্থনা ছাড়াও করোনাভাইরাসের মহামারির আক্রমণ থেকে প্রিয় মাতৃভূমি, মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ববাসীকে সুরক্ষা ও নিরাপদ রাখার বিষয়ে মহান আল্লাহর দরবারে বিশেষ দোয়া করার জন্য দেশের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সেই সঙ্গে দেশের আলেম-উলামা, পীর-মাশায়েখ, মসজিদের খতিব, ইমাম-মুয়াজ্জিন, মাদরাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানকেও এ বিষয়ে দোয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে লক্ষ্য করা গেছে, পবিত্র শবে বরাতে জিয়ারতের জন্য কবরস্থান ও মাজারে অনেক লোকের সমাগম হয়। এছাড়া কবরস্থান ও মাজারের ভেতরে ও বাইরে অনেক ভিক্ষুক, অসহায়, অসচ্ছল, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য সমবেত হয়। এ ধরনের জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাস ব্যাপকহারে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধকল্পে শবে বরাতে কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে কবরস্থানে না গিয়ে নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে মৃত আত্মীয়-স্বজনের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বিশেষভাবে আহ্বান জানানো যাচ্ছে। একইসঙ্গে কবরস্থান ও মাজারের গেইট বন্ধ রাখাসহ কবরস্থানের ভেতরে ও বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগম না করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো ও গুজবে বিশ্বাসহতে বিরত থাকার জন্যও সকলকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয় ইফার পক্ষ থেকে।