ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ আর নেই

  • ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আব্দুল্লাহ, ছবি: সংগৃহীত

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

শনিবার (১৩ জুন) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

বিজ্ঞাপন

রাত ১২টায় তার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) নাজমুল হক সৈকত বার্তা২৪.কমকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে শেখ মো. আবদুল্লাহ ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে তিনি দেশের অন্যতম এ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব লাভের আগে আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি।

দীর্ঘদিন ধরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শেখ মো. আবদুল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকায় তার প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সর্বশেষ ৭ মে তাকে আবারও এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাচনী সংসদীয় আসন ২১৭, গোপালগঞ্জ-০৩ (টুঙ্গীপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে যতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, শেখ আবদুল্লাহ তার পক্ষে নির্বাচনী এজেন্ট হিসেবে সকল নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

শেখ মো. আবদুল্লাহ ১৯৪৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার মধুমতী নদীর তীরবর্তী কেকানিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা শেখ মো. মতিউর রহমান এবং মাতা মোসাম্মৎ রাবেয়া খাতুন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই তিনি অসুস্থ ছিলেন। শনিবার রাতে তার হার্ট অ্যাটাক করলে রাত ১১টার দিকে সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর দ্বিতীয়বার তার হার্ট অ্যাটাক করে। এর পরপরই তিনি মারা যান।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্ট মুজিব বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশের সেবা করার লক্ষ্যে চাকরির পরিবর্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং তার নেতৃত্বে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।