হজযাত্রীরা মক্কায় আসা শুরু করেছেন

  • মুফতি এনায়েতুল্লাহ, বিভাগীয় প্রধান, ইসলাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরবের আল কাসিম থেকে হজযাত্রীদের প্রথম দল জেদ্দা এসে পৌঁছায়, ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের আল কাসিম থেকে হজযাত্রীদের প্রথম দল জেদ্দা এসে পৌঁছায়, ছবি: সংগৃহীত

লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক... ধ্বনিতে ফের মুখরিত হতে চলছে মক্কা ও কাবা এলাকা। সৌদি আরবের হজ ও উমরা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবারের হজে অংশ নেওয়া হজযাত্রীরা ৭ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইন শেষ করে মক্কায় আসা শুরু করেছেন।

শুক্রবার (২৪ জুলাই) বিকেলে আল কাসিম প্রদেশ থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে হজযাত্রীদের একটি দল জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর এসে পৌঁছায়। বিমানবন্দরে দেশটির হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তাদের স্বাগত জানান। এ সময় হজযাত্রীদের কবুল হজ নসিবসহ তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়। দোয়ায় গোনাহ থেকে মুক্তির পাশাপাশি করোনাভাইরাস থেকে বিশ্ববাসীর মুক্তি কামনা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সৌদি আরবের হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী মুহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন আল নিউজ চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, হজযাত্রীদের নিরাপত্তায় সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ সময় তিনি হজযাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি দেশটির নাগরিকদেরও বিধি-নিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানান।

বিমানবন্দর থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব ঘোষণামতে, শনিবারের মধ্যে সৌদি আরবের অন্যান্য প্রদেশের হজযাত্রীরা মক্কা এসে পৌঁছবেন। এই হজযাত্রীরা ১৯ জুলাই হোম কোয়োরেন্টাইন পালন করছিলেন। হজপালনের জন্য মক্কায় প্রবেশের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা নির্দিষ্ট হোটেলে (জমজম টাওয়ার) আরও চারদিনের কোয়ারেন্টাইন পালন করবেন। এর পর ৮ জিলহজ বাদ ফজর রওয়ানা হবেন মিনায়। মিনাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। ১২ জিলহজ পর্যন্ত, মিনা, মুজদালিফা, আরাফাতের ময়দান ও মক্কায় হজের বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়।

বিজ্ঞাপন

সৌদি আরবে বসবাসকারী বিভিন্ন দেশের অধিবাসী ও দেশটির নাগরিকদের সমন্বয়ে দশ হাজার মানুষ এবার হজপালন করবেন। সীমিত মানুষের অংশগ্রহণের হজ অনুষ্ঠিত হলেও সার্বিক প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি নেই সৌদি কর্তৃপক্ষের। মাশায়েরে মোকাদ্দাসায় (হজের বিধি-বিধান পালনের বিশেষ স্থানসমূহ) প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সেসব স্থান হজযাত্রীদের জন্য পুরোপুরি প্রস্তত রাখা হয়েছে। জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে হাজিদের চলাচলের এলাকাসমূহ।

হজযাত্রীদের নিরাপত্তা ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য এমন ব্রেসলেট দেওয়া হয়েছে, ছবি: সংগৃহীত

মসজিদে হারামেও বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। হজের সময় সাড়ে তিন হাজার সদস্যের বিশাল একটি দল থাকবে মসজিদে হারামের তত্ত্বাবধানে। মসজিদের হারাম পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন, মসজিদের হারামের সার্বিক যান্ত্রিক ত্রুটি দেখাশোনা করা এবং অপবিত্রতা থেকে রক্ষার জন্য এই দল গঠন করা হয়েছে। তারা ২৪ ঘন্টা মসজিদে হারামে কর্মরত থাকবেন।

হারামাইন প্রেসিডেন্সির টেকনিক্যাল এবং সার্ভিস শাখার অন্যতম সদস্য মোহাম্মদ বিন মসলাহ আল জাবরি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর থেকে মসজিদের হারামকে সব ধরণের জীবাণু থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা শুরু করে মসজিদে হারাম কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, মসজিদে হারামের অভ্যন্তরীণ অংশ ২৪ ঘন্টা জীবাণুনাশক উপাদান দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। এ কাজে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন ব্যবহার করা হয়।