বায়ু দূষণে অকাল বার্ধক্য! জেনে নিন বিশেষজ্ঞ টিপস
আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন- দূষণ ত্বকে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে? সম্ভবত না। তিরিশের পর থেকে ধূসর চুল, ত্বকে রিঙ্কেল এবং বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি দেখা যায়। আমরা সবাই তরুণ থাকতে এবং তরুণ দেখতে অনেক কিছু করি। তবে সব করার পরেও আমরা আমাদের শরীর এবং ত্বককে দূষণ থেকে রক্ষা করি না।
ভারতীয় প্রভাবশালী গণমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া বিখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: নিরুপমা পরওয়ান্ডারের বরাত দিয়ে দূষণ প্রতিরোধে করণীয় কি এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন।
ত্বকে বায়ু দূষণের প্রভাব:
বছরের পর বছর ধরে চলে আসা গবেষণা প্রমাণ করেছে যে, দূষিত অঞ্চলে যারা বসবাস করে তাদের ত্বকের হাইড্রেশন এবং ত্বকের কার্যকারিতা উল্লেখযোগ্যভাবে খারাপ হয়। বায়ু দূষণ এবং নিম্ন মানের বায়ু ত্বকে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ফলে কমেডোন, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস, ব্রণ, ফ্যাকাসে ত্বকের মত নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়।
বায়ুতে থাকা দূষিত পদার্থ সরাসরি ত্বকে লাগে। যা ত্বক রক্ষা ফাংশনকে বাধাগ্রস্ত করে। এটি একজিমার মতো অ্যালার্জিযুক্ত ত্বকের অ্যালার্জি প্রবণতা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
এছাড়াও বায়ু দূষণ ত্বকের কোলাজেনের ক্ষয় বাড়ায়। ফলে ত্বকের অকাল বার্ধক্যের সমস্যা দেখা দেয়।
বায়ু দূষণের অন্যান্য প্রভাবগুলো:
১. ত্বক থেকে সমস্ত প্রাকৃতিক তেল উগরে দেয়।
২. ধুলাবালি ত্বকের উপর একটি স্তর তৈরি করে। যার ফলে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
৩. দুপুরের সময় সূর্যের তাপ খুব ক্ষতিকারক। এসময় বাযু দূষণ বেশি থাকে। ফলে স্কিন ক্যান্সারসহ অসংখ্য ত্বকের রোগ ও ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।
৪. দূষণের ফলে ত্বককে নিস্তেজ দেখায়। কারণ দূষণ ত্বকের অক্সিজেন শুষে নেয়।
৫. দূষণ ত্বককে রুক্ষ করে তোলে।
৬. এটি ত্বকের রঙ তামাটে করে দেয়, যা সহজে দূর করা সম্ভব হয় না।
দূষণ রোধে প্রতিকার:
১. বাইরে বেরোনোর সময় মাথার চারদিকে একটি স্কার্ফ বা ওড়না জড়িয়ে রাখুন।
২. রোদে বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন। কিংবা রোদে বেরোনোর সময় একটি ছাতা নিয়ে বের হন।
৩. ঘুমানোর আগে প্রতি রাতে ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করুন।
৪. ত্বকের ছাড়ানো তেলগুলো পুনরায় পূরণ করতে সপ্তাহে একবার তেল মেখে গোসল করুন।
৫. বাইরে বেরোনোর সময় জ্যাকেট বা কোট পরার চেষ্টা করুন যাতে এটি আপনাকে দূষণের প্রত্যক্ষ প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
৬. চালের আটা ও হলুদ গুঁড়োতে পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এটি সাবানের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করুন।
৭. বাসায় আসার পরে মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং স্ক্রাব ব্যবহার করুন।
৮. স্বাস্থ্যকর খাবার আপনার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থগুলি বের করতে সহায়তা করবে।
আপনি যদি এই টিপসগুলি নিয়মিত অনুসরণ করেন তবে দূষণ থেকে কিছুটা নিরাপদ থাকবেন। যেহেতু পুরোপুরি দূষণ এড়ানো সম্ভব নয়; তাই যতটা সম্ভব সতর্কতা অবলম্বন করুন।