শীতে শিশুর ত্বকের যত্ন

  • ডা. এস কে আরিফুর রহমান বিপুল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

শীতের শুষ্কতা যেমন আপনার আমার ত্বককে রুক্ষ করে ঠিক তেমনই আপনার পরিবারের অতি প্রিয় সদস্যের ত্বকও তার আর্দ্রতা হারাতে থাকে। এই জন্য খুব স্বাভাবিকই একটি প্রশ্ন আসে, এই ছোট্ট মানুষটির ত্বকের যত্নে কিভাবে করা যায়?

শিশুদের ত্বকের শীতকালীন সমস্যা কি কি:

বিজ্ঞাপন

শীতের শুষ্ক এবং শীতল হাওয়া খুব সামান্যই আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। শিশুর ত্বক বয়স্কদের তুলনায় বেশি স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল। ফলে খুব সহজেই ত্বক বেশি মাত্রায় আর্দ্রতা হারাতে থাকে। এর মানে শিশুর ত্বক অল্প সময়েই শুষ্ক হয়ে যায়।

সাধারণত শিশুর ত্বকে শীতকালে এসব সমস্যা হতে দেখা যায়। যেমন:

বিজ্ঞাপন

১) ঠোট ফাটা:

শিশুদের মুখ দিয়ে লালা ঝরা একটি প্রচলিত সমস্যা। যখন বাচ্চার ঠোট বা আশেপাশের জায়গা লালা দিয়ে ভেজা থাকে সর্বদা, তখন ওই অঞ্চলের ত্বক সংবেদনশীল হয়ে উঠতে পারে। আর এই থেকেই ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় ঠোটের চামড়া উঠতে দেখা যায়।

২) লালচে শুষ্ক গাল:

অনেক সময় শিশুর গাল সহজেই লালচে শুষ্ক হতে দেখা যায়। বাইরের শীতল হাওয়া এর জন্য দায়ী।

৩) শুষ্ক ত্বকে চুলকানি:

শুষ্ক শীতল বাতাস সহজেই বাচ্চার ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। বাচ্চার ত্বকে জন্ম নেয় র‍্যাশ। আর যদি আগে থেকেই বাচ্চার একজিমার সমস্যা থাকে, তাহলে বাচ্চার ত্বকে চুলকানির মাত্রা হঠাৎ অনেক বাড়তে পারে।

কিভাবে প্রতিরোধ করবেন এই সমস্যা?

খুব সহজেই অল্প কিছু পদ্ধতি দিতে পারে আপনার ছোট্ট প্রিয়জনটিকে কিছুটা প্রশান্তি।যেমন:

১) ময়েশ্চারাইজার:

যদি আপনার শিশুর ত্বক শুষ্কতা প্রবণ হয় তবে অল্প পরিমানে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম বাইরে নিয়ে যাবার সর্বদা ব্যবহার করুন।

২) প্রতিদিন গোসলকে না বলুন:

শীতকালে নিয়মিত গোসল না দিয়ে বাচ্চাকে ১ দিন পর পর গোসল করান। সামান্য কুসুম কুসুম গরম পানি ব্যবহার করা ভাল গোসলে।

৩) ময়েশ্চারাইজার লক করুনঃ

গোসলের পর পরই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার সর্বোত্তম। গোসলের পর একটা নরম তোয়ালে দিয়ে বাচ্চার ত্বককে আলতো ভাবে মুছে নিন।এরপর সারা শরীরে ময়েশ্চারাইজার ম্যাসেজ করুন

৪) নরম কাপড় পরান। যেমনঃ নরম উলের পুল ওভার।

৫) সুগন্ধি মুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করুন।

৬) বাচ্চাকে বাইরের আবহাওয়া অনুযায়ী গরম কাপড় পরান। যদি আপনার বাচ্চা অতিরিক্ত গরম পোশাকের কারনে ঘামে তাহলেও ত্বককে সংবেদনশীল হয়ে চুলকানি শুরু হতে পারে।

আপনার বাচ্চার ত্বক যদি এরপরেও শুষ্ক ও রুক্ষ থাকে, চুলকায় তাহলে অবশ্যই একজন চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

ডা. এস কে আরিফুর রহমান (বিপুল)

কনসালট্যান্ট ডার্মাটোলজিস্ট এন্ড ডার্মাটো সার্জন (ডা: আজমল হাসপাতাল লিমিটেড, মিরপুর, ঢাকা)