পালাজো প্যান্টে ফ্যাশন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
লম্বা কুর্তি পড়লে স্ট্রেট ফিট প্যালাজো প্যান্ট বেছে নিন। ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়া

লম্বা কুর্তি পড়লে স্ট্রেট ফিট প্যালাজো প্যান্ট বেছে নিন। ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্যাশন শিল্পে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন পণ্যর টে্রন্ড চালু হয়। অনেকেই বুঝতে পারেন না যে কীভাবে এক টুকরো পোশাককে বিভিন্ন উপায়ে স্টাইল করা যায়। পোশাকে বিনিয়োগ এবং পোশাক সর্ম্পকে কম বেশি ধারণা রাখা এখন মুখ্য বিষয় হয়ে উঠছে। ফ্যাশনের কথা মাথায় রেখে পালাজো প্যান্টের স্টাইল করতে পারেন এমন কিছু উপায় আজ আপনাদের জানাব।

কুর্তি-পালাজো কম্বো:

লং এবং শর্ট উভয় সাইজের কুর্তির সাথে পালাজো প্যান্ট পরতে পারেন। আপনি যখন শর্ট কুর্তি পরবেন এটির সাথে ছড়ানো পালাজো প্যান্ট বেছে নিতে পারেন। লম্বা কুর্তি পড়লে স্ট্রেট ফিট এমন প্যালাজো প্যান্ট বেছে নিন।

সাদা টি শার্ট-পালাজো কম্বো:

প্রতিটি মেয়ের কমবেশি সাদা টি-শার্ট থাকে। পালাজো প্যান্ট স্টাইল করার জন্য আপনাকে কেবল সাদা টি-শার্ট পরতে হবে। দিনেরবেলা বাইরে বেরোনোর জন্য নেকলেস, স্টাড কানের দুল, কিছু ব্রেসলেট এবং একটি সুন্দর স্লিং ব্যাগ সহ এই পোশাকটি স্টাইল করুন।

ক্রপ টপ পরতে পারেন যা আপনার প্রিয় পালাজো প্যান্টের সাথে উপযুক্ত
ক্রপ টপ পরতে পারেন যা আপনার প্রিয় পালাজো প্যান্টের সাথে উপযুক্ত। ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ক্রপ টপস-পালাজো:

আপনার যদি শরীরের কিছু ত্বক দেখাতে আপত্তি না থাকে তবে ক্রপ টপ পরতে পারেন যা আপনার প্রিয় পালাজো প্যান্টের সাথে উপযুক্ত। ন্যাচারাল মেকআপ এবং ছাড়া চুলের সাথে মানিয়ে যাবে।

একরঙা শার্টের আস্তিন রোল আপ করে পরতে পারেন।
একরঙা শার্টের আস্তিন রোল আপ করে পরতে পারেন। ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়া

শার্ট-পালাজো কম্বো:

একরঙা শার্টের আস্তিন রোল আপ করে পরতে পারেন। সাদাসিধা গহনা, একটি কাঁধের ব্যাগ এবং এক জোড়া ভাল মানের ফুটওয়্যার দিয়ে স্টাইলটি ফুলফিল করুন।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

পাকা পেঁপে কেন খাবেন?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন কমানোর ডায়েটে পাকা পেঁপের স্থান সকলের আগে। তবে অনেকেই পাকা পেঁপে খেতে চান না। চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এই ফলকে ‘মহাঔষধ’ বলে মনে করেন। শিশু থেকে বয়স্ক সবার জন্য পাকা পেঁপে অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। তাই নিয়ম করে পাকা পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করুন।

অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর

ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর পাকা পেঁপে ক্যানসারের মতো দুরারোগ্য ব্যাধির যম। এ ছাড়াও পেঁপেতে আছে ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন সি এবং ই। যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হজমে সহায়ক

পেঁপে মুখের রুচি ফেরায়। সেই সঙ্গে খিদেও বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার করে। পেট পরিষ্কার থাকলে গ্যাসের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তা-ই নয়, যাদের অর্শের সমস্যা রয়েছে চিকিৎসকরা তাদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

পেঁপে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ১০০ শতাংশ ভিটামিন সি পাওয়া যায় এই পাকা পেঁপে থেকেই। শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে, তা কমাতে চিকিৎসকরা পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

;

ওজন কমবে মেথির গুণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে হাল ফ্যাশনের জামাকাপড় দেখেই হাত নিশপিশ করে, তবে কেনার আগেই মাথায় শত চিন্তা আসে! যা ভুঁড়ি হয়েছে, তাতে পোশাকগুলি পরলে আদৌ মানাবে তো? রোগা হতে গেলে তো ভারী কসরত করতে হবে, আর ওতেই যে বড্ড অনীহা! রোগা হতে গেলে যে জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চা করতে হবে, এমনটা একেবারেই নয়। রোজ নিয়ম করে হাঁটাহাটি করে আর খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানলেই কিন্তু ওজন কমানো যায়। এর পাশাপাশি কিছু মশলার গুণেও কিন্তু ওজন ঝরানোর প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা যায়। মেথিরও সেই গুণ রয়েছে।

মেথি চা

চা তো খান রোজ, এ বার সেই চায়েই যোগ করুন কয়েকটা মেথির বীজ। হজমশক্তি তো বাড়বেই, সঙ্গে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণও হবে। স্বাদে তেঁতো হলেও কাজ দেবে ষোলো আনা। একেবারেই খেতে না পারলে, চায়ে যোগ করে দিন এলাচ কিংবা আদা।

কী করে বানাবেন? ফুটিয়ে তাতে কয়েক দানা মেথি মিশিয়ে দিন। তার পর চা ও এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন কিছুক্ষণ। খালি পেটে এমন চা খেলে মেদ ঝরবে খুব সহজে।

মেথির পানি

ঠাকুরমা-দিদিমারা পেট গরম হলেই মেথির পানি খাওয়ার পরামর্শ দিতেন। পেট ঠান্ডা করার পাশাপাশি এটি কিন্তু খিদেও কমায়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায় বলে স্বাভাবিক ভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নেয় এই পানীয়।

অঙ্কুরিত মেথি

ভিটামিন ও নানা খনিজপদার্থে ভরপুর মেথিবীজ হজমে সাহায্য করে। একটা পাত্রে মেথিবীজ নিয়ে তার উপর একটা ভিজে কাপড় ঢাকা দিয়ে রাখুন। মাঝেমাঝেই কাপড়টিতে পানি দিন। দিন তিনেক পর মেথি বীজের অঙ্কুরোদ্গম হবে। এই অঙ্কুরিত মেথি খেলে তা খুব সহজেই কমিয়ে দেবে শরীরের মেদ।

মেথি গুঁড়ো

মেথিতে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় ক্যারোটিনয়েড, যা দ্রুত ওজন কমায়। বাজার চলতি মেথি গুঁড়োর উপর ভরসা না করে, বাড়িতেই শুকনো খোলায় মেথি ভেজে গুঁড়িয়ে নিন। এর পর তা গরম পানিতে মিশিয়ে খান। এই পানিতে লেবু ও মধুও মেশাতে পারেন। মেথিগুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন তরকারিতেও। দেখবেন, ফল মিলছে হাতেনাতে।

;

চা-কফির নেশা কাটাবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এই সময়ে চা কিংবা কফিতে চুমুক না দিলে যে খুব ক্ষতি হবে, তা নয়। কিন্তু কোনও মতেই নেশা ছাড়তে পারছেন না। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে বা সারা দিনে কাজের মাঝে অগুণতি বার কফি পান করলে এই গরমে শারীরিক সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, খালি পেটে কফি পান করলে কর্টিজলের ক্ষরণ অনেক বেড়ে যায়। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর অত্যতম কারণ এই হরমোনটি। তাই যদি চা-কফি পানে লাগাম টানতে চান, তিন পন্থা অবলম্বন করে দেখতেই পারেন।

শরীরচর্চায় মন দিন

বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, শরীরচর্চা করতে শুরু করলে অনেক সময় চা বা কফির নেশা কমতে শুরু করে। কারণ, প্রশিক্ষক বা পুষ্টিবিদদের দেওয়া খাবার তালিকায় ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের মাত্রায় হ্রাস টানতে বলা থাকে।

এমন মানুষদের সঙ্গে মিশুন যারা চা বা কফি পান করেন না

কথায় বলে সৎসঙ্গে স্বর্গবাস। সত্যিই যদি ক্যাফেইন জাতীয় পানীয়ের নেশা থেকে মুক্তি পেতে চান, তা হলে এমন মানুষদের সঙ্গ নিন, যারা কথায় কথায় চা, কফি পান করেন না।

চা, কফির বদলে স্বাস্থ্যকর পানীয়র অভ্যাস করুন

যখনই চা বা কফি পান করতে ইচ্ছে করবে তখন এমন কোনও পানীয় খেতে চেষ্টা করুন, যা স্বাস্থ্যকর। অনেকেই গরম থেকে মুক্তি পেতে ঠান্ডা চা বা কফি পান করে থাকেন। তার বদলে ফলের রস, স্বাস্থ্যকর শরবত খেতে পারেন।

;

মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমায় যেসব অভ্যাস



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দৈনন্দিন জীবনে কিছু অভ্যাস আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। দিনের পর দিন এই অভ্যাসগুলোর কারণেই মস্তিষ্কের ক্ষতি করে চলেছি আমরা। জেনে নিন কোন কোন অভ্যাস বাদ দিলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়বে।

১. অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকা 

অতিরিক্ত অন্ধকারে থাকার অভ্যাস মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। এই অভ্যাস মনে বিষণ্ণতা তৈরি করে। এই বিষণ্ণতা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা মন্থর করে দেয়। এ কারণেই শীতপ্রধান দেশে আত্মহত্যার হার বেশি। প্রাকৃতিক আলোতে থাকলে আমাদের মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করে।

২. উচ্চশব্দে গান শোনা

কানে বড় হেডফোন গুজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা উচ্চস্বরে গান শোনা মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। টানা ৩০ মিনিট অতি উচ্চমাত্রার শব্দে থাকলে এক জনের শ্রবণশক্তি সম্পূর্ণরূপে লোপ পেতে পারে। শ্রবণশক্তি লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিশক্তিও লোপ পেতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেনের টিস্যু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

৩. বেশি বেশি স্ক্রিন টাইম

অতিরিক্ত ‘স্ক্রিন টাইম’ও নানা দিক থেকে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি করে। অফিসে গিয়ে সারাক্ষণ ল্যাপটপের সামনে বসে থাকা, বাড়ি ফিরেও মোবাইলে ওয়েব সিরিজ দেখা— সব মিলিয়ে দিনের বেশির ভাগ সময়টাই কেটে যায় পর্দার সামনে। এতে চোখের ক্ষতি তো হচ্ছেই, সঙ্গে সঙ্গে মস্তিষ্কের কার্যকারিতাও কমে যাচ্ছে। স্ক্রিন টাইম যত বেশি হবে, ততই আমরা অন্যদের সঙ্গে কথা কম বলি, অন্য কাজেও মনোযোগ কম দিই, ফলে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে অচল হয়ে পড়ে।

৪. অতিরিক্ত একা থাকা

এখন আমাদের ফেসবুকে বন্ধুসংখ্যা হাজার হাজার হলেও নিজ জীবনের সব সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার জন্য বন্ধুর বড় অভাব। অনেকে এমন আছেন, যারা কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতে যেতে চান না। পারিবারিক অনুষ্ঠান হোক কিংবা অফিসের পার্টি— সব কিছুই এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন তারা। এর প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কের উপর। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা কাছের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেন, তারা অন্যদের তুলনায় হাসিখুশি ও কর্মদক্ষ হন। তাদের স্মৃতিশক্তিও অন্যদের তুলনায় বেশি হয়।

৫. অতিরিক্ত চিনি খাওয়া

অতিরিক্ত চিনি খাওয়াও মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর। এ দিকে বার্গার, ভাজাভুজি, আলুর চিপ্‌স বা নরম পানীয়ের মতো খাবার স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে। অন্য দিকে, সবুজ শাকসব্জি, ফল ও বাদামজাতীয় খাবার মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করে।

;