আয়ুর্বেদিক সাবানের যত গুণাগুণ
ত্বক শরীরের সবচেয়ে বৃহত্তম অঙ্গ যার সঠিক যত্ন এবং পুষ্টির প্রয়োজন অথবা এটি নিস্তেজ এবং প্রাণহীন দেখাতে পারে। সাবান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করা হয়। সাধারণ সাবান ত্বকের প্রাকৃতিক তেল কেটে ত্বককে শুকনো এবং নিস্তেজ করে ফেলে। ভুল সাবান ব্যবহারের ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন: শুষ্কতা, লালচে হওয়া, ব্রণ, দাগ এবং জ্বালা হতে পারে। তবে আয়ুর্বেদিক সাবানে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান এবং ওষধিগুণ। ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ না থাকায় ত্বকের সমস্যা হ্রাস করতে সহায়তা করে।
ত্বকের জন্য আয়ুর্বেদিক সাবান ব্যবহারের সুবিধাসমূহ-
ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে:
আয়ুর্বেদিক সাবান তৈরিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যগুলোর উপাদান সংরক্ষণ করা হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করতে সহায়তা করে এবং ত্বককে তরুণ এবং সতেজ দেখায়। যেহেতু আয়ুর্বেদিক সাবান কোমল হয় তাই এটি ত্বকের পিএইচ ভারসাম্যকে প্রভাবিত করে না।
ত্বকের প্রদাহ হ্রাস করে:
আয়ুর্বেদিক সাবানে নিম, হলুদ, চন্দন, গোলমরিচ, চা পাতা, তেল ইত্যাদির মতো প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকে। তাই আয়ুর্বেদিক সাবান ত্বককে জীবাণু মুক্ত রাখতে এবং ব্রণের উপস্থিতি রোধে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস করে:
সাধারন সাবানে প্যারাবেসন, ট্রাইক্লোসান, সালফেটস ইত্যাদির মতো ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে যা শরীরের প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে। হরমোনকে উত্তেজিত করতে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই শরীরকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে আয়ুর্বেদিক সাবান ব্যবহার করুন।
পরিবেশের জন্য ভালো:
আয়ুর্বেদিক সাবান প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে তৈরি হওয়ায় পরিবেশ-বান্ধব, নিরাপদ এবং জৈবসৃজনযোগ্য। অন্যদিকে সাধারণ সাবানে মারাত্মক কীটনাশক এবং বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা পানিতে মিশলে জলজ সামুদ্রিক জীবনচক্রকে প্রভাবিত করে এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারে।
ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধ করে:
অ্যালোভেরা, চন্দন কাঠ, কানাকা তাইলা, বাদাম ইত্যাদি সমন্বিত আয়ুর্বেদিক সাবান ত্বকের উজ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে। ফলে ত্বক বার্ধক্য হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণগুলো প্রতিরোধ করে। আয়ুর্বেদিক সাবান থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ময়শ্চারেশন ত্বককে ডার্মাটাইটিসের মতো অসুস্থতা থেকে মুক্ত রাখে।
তবে, আয়ুর্বেদিক সাবান কেনার সময় আপনার ত্বকের ধরণ বুঝে কিনুন।