কেন খাবেন কাঠবাদাম?



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুষ্টি ও উপকারী ফ্যাটে ভরপুর প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান হলো বাদাম।

বিভিন্ন ধরণের বাদামের ভেতর সবচেয়ে পরিচিত ও জনপ্রিয় হলো কাঠবাদাম। বিকালের নাস্তায় কিংবা হুটহাট দেখা দেওয়া ক্ষুধাভাবকে তাড়াতে ৫-৭ টি কাঠবাদামই যথেষ্ট।

এমনকি ডাক্তাররাও পরামর্শ দিয়ে থাকেন নিয়মিত কয়েকটি করে কাঠবাদাম খাওয়ার জন্য। কেন কাঠবাদাম, অন্য কোন বাদাম নয়? স্বাভাবিকভাবেই এমন প্রশ্ন মনে উঁকি দিবে। প্রশ্নটির উত্তরে জেনে নিন কাঠবাদামের চমৎকার সকল স্বাস্থ্য উপকারিতা। অন্যান্য সকল বাদামের ভিড়ে যা এই বাদামকে করে তুলেছে অতুলনীয়।

 

ব্রেইনের কার্যক্ষমতা বাড়ায়

বাড়ন্ত শিশুদের বুদ্ধির বিকাশের জন্য কাঠবাদাম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার। এই বাদামে থাকে মগজের জন্য প্রয়োজনীয় দুইটি পুষ্টিগুণ- রিবোফ্লাভিন ও এল-ক্যারনিটিন। এই উপাদান দুইটি মগজের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এছাড়া বৃদ্ধদের আলঝেইমার হবার সম্ভবনাও কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে কাঠবাদাম অথবা আমন্ড অয়েল রাখার ফলে স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি নার্ভাস সিস্টেমের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়।

কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে

 

নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) এর মাত্রা কমে যায় ও ভালো কোলেস্টেরল (HDH) এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরে স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় থাকে ও উচ্চ কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা দূর হয়।

হাড় ও দাঁত ভালো রাখে

কাঠবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণ স্বাস্থ্যকর ভিটামিন সমূহ, মিনারেল সমূহ ও ফসফরাস। হাড় ও দাঁতের সুসাস্থ্য ও স্থায়িত্বের ওপর ফসফরাসের প্রভাব রয়েছে অনেকখানি। বয়সজনিত হাড় ও দাঁতের সমস্যা তৈরি হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতেও ফসফরাস কার্যকরি।

ওজন কমাতে সাহায্য করে

 

কাঠবাদাম ও মিষ্টিবিহীন আমন্ড মিল্ক ওজন কমানোর পদক্ষেপে সাহায্য করে। এই বাদামে থাকা মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ক্ষুধাভাব কমিয়ে আনে। ফলে বারবার খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়। এছাড়া কাঠবাদামের আঁশ পেট ভরা ভাব তৈরি করে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যাদের ওজন বাড়া-কমার সমস্যা থাকে, নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

হৃদরোগের হার কমায়

কাঠবাদামকে কার্যত হৃদপিন্ডের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে ধরা হয়। এই বাদামে থাকা মনো-স্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন ও পটাসিয়াম হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখতে কাজ করে। এতে থাকা ভিটামিন-ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদরোগ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা কমিয়ে আনে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

পূর্বের পয়েন্টে উল্লেখ করা হয়েছে কাঠবাদাম থেকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরে রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। কাঠবাদাম সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে শরীরের অ্যালকালাইনের মাত্রা নিয়ন্ত্রনে। যার উপরে নির্ভর করে শরীরে অসুখ হওয়ার সম্ভবনা।

 

ত্বকের জন্য উপকারী

চর্ম বিশেষজ্ঞরা ত্বকের যত্নে আমন্ড অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। সাধারণ হিসেব অনুযায়ী কাঠবাদাম খাওয়ার ফলে ত্বকের উপকার হয় একদম ভেতর থেকেই। ফলে অল্প বয়সে বলীরেখা দেখা দেয় না এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় প্রাকৃতিকভাবে।

প্রদাহ কমায়

কিছু বিশেষ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য খুবই উপকারী ও প্রয়োজনীয়। যেহেতু শরীর ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করতে পারে না, বিভিন্ন প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান থেকেই তাকে ফ্যাটি অ্যাসিড সংগ্রহ করতে হয়। কাঠবাদামে থাকে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাটি অ্যাসিড- লিনোলিয়েক (Linoleic) ও লিনোলিয়েক অ্যাসিড। এই ফ্যাটি অ্যাসিড সমূহ শরীরের প্রদাব কমাতে কাজ করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

 

কাঠবাদামে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে, সোডিয়ামের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপের ওঠানামাকে স্বাভাবিক রাখে। 

এনার্জি বৃদ্ধি করে

পুষ্টিকর এই বাদামে রয়েছে ম্যানগানিজ, কপার ও রিবোফ্লাভিন। যা মেটাবলিজমের হার বাড়ায় এবং এনার্জি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কাজের ব্যস্ততায় যদি ক্লান্তিভাব কাজ করে তবে এক মুঠো (৫-৬টি) কাঠবাদাম খেয়ে নিতে হবে।

ডায়বেটিস প্রতিরোধ করে

প্রতিবার খাবার খাওয়ার পর রক্তে গ্লুকোজ ও ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে কাঠবাদাম। যার ফলে অতিরিক্ত চিনিযুক্ত কোন খাবার খাওয়ার পর কাঠবাদাম খেলে রক্তে চিনির প্রভাব দেখা দেয় না। কাঠবাদাম গ্লুকোজের প্রক্রিয়া ও শোষণকে নিয়ন্ত্রিত করে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে

কাঠবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। অন্যান্য আঁশযুক্ত খাবারের মতো কাঠবাদামও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তবে কাঠবাদাম খাওয়ার সাথে প্রচুর পরিমাণ পানি পান করতে হবে। যেন বাদাম ভালোভাবে পরিপাক হতে পারে ও তার উপকারী প্রভাব বিস্তার করতে পারে। একবারে খুব বেশি কাঠবাদাম খাওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রতিদিন ৫-৬ টি কাঠবাদাম খাওয়াই যথেষ্ট।

   

মাইগ্রেনের সাধারণ উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের ব্যথা

মাইগ্রেনের ব্যথা

  • Font increase
  • Font Decrease

মাইগ্রেনের ব্যথা আমাদের মধ্যে সাধারণ সমস্যাগুলোর একটি। মূলত মাইগ্রেনের সমস্যার কারণে তীব্র মাথা ব্যথা হয়। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

খুব সূক্ষ্ম মাত্রায় ঔষধ সেবনের মাধ্যমে যন্ত্রণা কমানো যেতে পারে। সঠিক চিকিৎসা এবং ভালো ওষুধের মাধ্যমে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। তবে এটি নিরাময় করার স্থায়ী সমাধান হতে পারে না।

মাইগ্রেনের সমস্যা যেকোনো বয়সের মানুষেরই হতে পারে। একেকজনের ক্ষেত্রে সমস্যা একেকরকম হয়। তবে সকলের ক্ষেত্রেই কয়েকটি সাধারণ ধাপে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে দেখা যায়। এগুলো হলো- প্রোড্রোম, অওরা, অ্যাটাক, পোস্টড্রোম।

প্রোড্রোম: মূলত মাথাব্যথার তীব্রতা বাড়ার আগের ২৪ ঘণ্টার মুহূর্ত এটি। এই ধাপের উপসর্গ হতে পারে মেজাজ পরিবর্তন, কোষ্ঠ্কাঠিন্য, খাবার খাওয়ার ইচ্ছা, ঘন ঘন প্রসাব, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, বেশি হাই ওঠা সহ আরও অনেক কিছুই হতে পারে।  

অওরা: এই পর্যায়ে মাথা ব্যাথা হওয়ার আগ মুহূর্তে বা মাথাব্যথার সময়ে নানারকম অসুবিধা দেখা দিতে পারে। কয়েক মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। এই সময়ে মুখ, বাকযন্ত্র, মাথার সংবেদনশীল অংশে উপসর্গ দেখা দিতে পারে।     

অ্যাটাক বা আক্রমণ: এই পর্যায়ে মাথা ব্যথা তীব্রতার পর্যায়ে চলে যায়। একটানা ৪ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবধিও ব্যথা স্থায়ী হতে পারে। চিকিৎসা করা না হলে এই সময়কাল আরও দীর্ঘ হতে পারে।

পোস্টড্রোম: এই পর্যায়ে মাথা সমস্যা ১ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। উপসর্গগুলো অনেকটা অ্যালকোহল সেবনের পরে হ্যাংওভারের উপসর্গের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ।  এজন্য এক মাইগ্রেন হ্যাংওভারও বলা হয়।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;

ভাইরাল হেপাটাইটিস নিয়ে ভুল যত ধারণা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ভাইরাল হেপাটােইটিস বা জন্ডিস

ভাইরাল হেপাটােইটিস বা জন্ডিস

  • Font increase
  • Font Decrease

যকৃত মানব শরীরের খুব একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। নালীদের প্রবাহিত হওয়া রক্ত পরিশুদ্ধকরণ করা এর প্রধান কাজ। রক্ত থেকে ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে যকৃত। এছাড়াও ভিটামিন সঞ্চয় এবং হরমোনও তৈরি করে। তবে হেপাটাইটিস এমন এক ভাইরাস যা সরাসরি কলিজা, তথা যকৃতেই আক্রমণ করে। এতে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্থ হয়। মূলত হেপাটাইটিস ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’ এবং ‘ই’ ভাইরাল হেপাটাইটিসের জন্য দায়ী। হেপাটাইটিস ‘এ’ এবং ‘ই’ খাদ্য ও পানি দূষণের ফলে হয়। অন্যদিকে হেপাটাইটিস বি এবং সি রক্তেএবং রক্তরসের মাধ্যমে ছড়ায়। হেপাটাইটিস ডি হওয়ার সম্ভাবনা তাদের থাকে যারা ইতোমধ্যেই হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত রয়েছেন।   

ভাইরাল হেপাটাইটি থেকে সাবধানে থাকার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ে নানারকম কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। এক প্রতিবেদনে ভারতীয় হেপাটোলজি বিশেষজ্ঞ অমিত মান্ডোট বলেছেন, `হেপাটাইটসের ক্ষেত্রে ভাইরাসের আক্রমণ যতটা শঙ্কাজনক, একইরকমভাবে এ্ সম্পর্কিত যে ভ্রান্ত ধারণাগুলো রয়েছে সেগুলোও নানারকম সমস্যা বৃদ্ধি করে। এতে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বাঁধা পড়ে। অনেকে মনে করেন হেপাটাইটিসের সংক্রমণ এইডসের সংক্রমণের মতো। ভয়াবহ ড্রাগ নেওয়ার মাধ্যমে এবং অনৈতিক শারীরিক সম্পর্কে মাধ্যমে হেপাটাইটিস ছড়ায়। এসব একেবারেই ভুল ধারণা।‘

ভাইরাল হেপাটাইটিসে আক্রান্ত রোগী

তিনি ভ্রান্ত ধারনা দূর করার ব্যাপারে বলেন, ‘রক্তের মাধ্যমে হেপাটাইটিস ছড়ায়। এমনটি শিশু জন্মদানের সময় হওয়াও অযাচিত নয়। রক্তদান বা ব্যবহৃত ইঞ্জেকশনের মাধ্যমেও হেপাটাইটিস ছড়াতে পারে। তাই এই রোগ সম্পর্কিত গোড়ামি ভেঙে রোগীকে সুস্থ করে তোলার জন্য সাহায্য করতে হবে। এইজন্য সকলের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এই সংক্রান্ত আরও একটি ভুল ধারণা হলো, ব্যক্তি পছন্দ এবং জীবনধারার সিদ্ধান্তের কারণেও হেপাটাইটিসে কেউ আক্রান্ত হয়। রোগীর প্রতি সকলের এই বিরুপ দৃষ্টিভঙ্গি পরিস্থিতি আরও বিগড়ে দিতে পারে। একঘেয়ে গোড়ামি সমাজের অগ্রগতির পথেও বাঁধা।      

একত্রিত হয়ে এসব ভুল ধারণা দূর করার আহ্বান করেছেন ডাক্তার অমিত। তিনি বলেন, রোগ নিয়ে প্রকাশ্য আলোচনা, প্রাথমিক পর্যায়ে  শিক্ষাপ্রচার এবং আপপ্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা অত্যাবশ্যকীয়। তবেই সকল সাহায্য প্রত্যাশীদের সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব।  

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

;

ভিটামিনের ‘ডি‘ এর অভাব পূরণ করবে মাশরুম



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাশরুম

মাশরুম

  • Font increase
  • Font Decrease

একটা সময় ছিল যখন আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ ভিটামিনের অভাবের কথা ভাবতো না। কারণ তাজা এবং পুষ্টিকর শাক, সবজি এবং ফল প্রায় ঘরে ঘরে পাওয়া যেত। বা বাজারেও ছিল তা বেশ সহজলভ্য। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ সব অভাবই পূরণ করে এসব খাবার। এখন মানুষের জীবনে বেড়েছে ব্যস্ততা। অল্প পরিশ্রমে এখন যতটা সম্ভব বেশি পু্ষ্টি গ্রহণ করা এখন বেশ কঠিন হয়ে উঠছে।

বিভিন্ন প্রকার মাশরুম

ভিটামিন ডি-এর অভাব একটি অন্যতম গুরুতর সমস্যা। এর অভাবে অস্টিওম্যালেশিয়া, রিকেটস, কোমড় বা হাঁটুতে ব্যথা, হাড় ক্ষয়সহ নানারকম গুরুতর সমস্যা হয়।  বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর অভাব দেখা যেতে পারে। এতে শিশুদের হাড়ের বিকাশ পরিপূর্ণ হয় না। ক্যালসিয়ামের অভাবে তোদর হাড়ে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, পা ধনুকে মতো বেঁকেও যায়। একে রিকেটস রোগ বলে। ভিটামিন ডি এর অতিরিক্ত অভাব হলে শিশু চিরতরে পঙ্গু হয়ে যেতে পারে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুর রিকেটস রোগ

এই সমস্যার সমাধান হতে পারে মাশরুম। কারণ সাধারণত ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার বেশ খরচ সাপেক্ষ। মাছের লে, চর্বিযুক্ত মাছ, মাখন, ঘি, দুধ-এই জাতীয় খাবারে উচ্চপরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। উদ্ভিজ খাবারে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে তা অভাব পূরণে পর্যাপ্ত নয়। তবে এই ক্ষেত্রে মাশরুম কিছুটা ব্যতিক্রম।  এই খাবার যেমন পুষ্টিকর, তেমন সুস্বাদু। এক ইন্সটাগ্রাম রিলে পুষ্টিবিদ লিন্ডি কোহেন বলেন, ‘ভিটামিন ডি‘য়ের চমৎকার উৎস হলো মাশরুম। মাশরুম খাওয়ার যেমন নানা রকম পুষ্টিকর সুবিধা রয়েছে, তেমনই এটি বেশ সাশ্রয়ী। অন্যান্য দামী খাদ্যের বিকল্প হিসেবে মাশরুম খাওয়া একটি ভালো পদক্ষেপ হতে পারে। তবে উত্তম এই খাদ্য উপাদানকে আরও বেশি লাভজনক করা যেতে পারে। খুব ছোট একটি পদক্ষেপের মাধ্যমেই মাশরুমের পুষ্টিগুণ বাড়ানো যায়।’

রান্না করা মাশরুম

তিনি পরামর্শ দেন, বাইরে থেকে কিনে এনে মাশরুমকে রান্না করার আগে রোদে রাখতে। সকালের পরপর ১ থেকে ২ ঘণ্টার জন্য উন্মুক্ স্থানে মাশরুমকে রোদ পোহাতে রাখা যেতে পারে। লম্বা ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট বা চওড়া পাত্রে মাশরুমগুলোকে ছড়িয়ে দিয়ে রোদে রাখা যেতে পারে। এতে সর্বোচ্চ সংখ্যক মাশরুমের বেশিরভাগ অংশ রোদের সংস্পর্শে আসতে পারে।  বিষুবরেখা থেকে দূরের অঞ্চলে এবং শীতকালে চাষ করা মাশরুমে ভিটামিন ডি এর কিছু ঘাটতি দেখা যায়। কারণ মাশরুমের ধরন, সূর্যের আলোর তীব্রতা ও সংস্পর্শ, চাষের সময়- বিভিন্ন বিষয়ের উপর মাশরুমের পুষ্টির সহজলভ্যতা নির্ভর করে।  

রোদের আলোয় ভিটামিন ডি

আমাদের দেশে যেসব মাশরুম খাওয়া হয় তা সম্পূর্ণরূপে ভিটামিন ডি সরবরাহ করতে পারে কিনা- তা নিয়ে সন্দিহান পুষ্টিবিদরা। ভারতীয় চিকিৎসক শুভ রমেশ এই নিয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন। মাশরুমে এরগোস্টেরল নামের একটি যৌগ রয়েছে। সূর্যরশ্মি যখন মাশরুমে পড়ে তখন অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে এটি ভিটামিন ডি-২ তে রূপান্তরিত হয়। সকালেরেোদ শরীরে পড়লে যেমন শরীরে ভিটামিন ডি-৩ সংশ্লেষণ হয়, অনেকটা অনুরূপ পদ্ধতিতেই এই প্রক্রিয়া হয়। তবে ভিটামিন ডি২ এবং ডি৩ এর কার্যকারিতা এবং ধরন ভিন্ন হয়। ডি৩ সাধারণত ডি২ এ তুলনায় রক্তে ভিটামিন ডি বাড়াতে ও ধরে রাখতে বেশি কার্যকর।      

 তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;