স্মৃতিশক্তি বাড়বে আয়ুর্বেদে
আয়ুর্বেদে বহু রোগ, শারীরিক ও মানসিক সমস্যার খুব চমৎকার সমাধান ও চিকিৎসা রয়েছে। কিছুক্ষণ আগে কোথায় চশমা রেখেছেন, গতকাল দুপুরে কি খেয়েছেন বা আগামীকাল কখন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে- এই বিষয়গুলো যদি পরিষ্কারভাবে মনে করতে সমস্যা হয়, তবে খুব দ্রুত আয়ুর্বেদিক উপায়ের শরণাপন্ন হতে হবে।
আয়ুর্বেদে স্মৃতিশক্তিকে অক্ষুণ্ণ রাখতে ও বৃদ্ধিতে বাড়তি কোন উপাদান নয়, কিছু প্রাকৃতিক ও উপকারী খাদ্য উপাদান খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
কাঠবাদাম
অন্যান্য সকল ধরণের বাদামের মাঝে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে কাঠবাদাম সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। কারণ এই বাদামে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডস ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ। যা মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় ও উপকারী। কাঠবাদাম খাওয়ার সবচেয়ে সঠিক প্রক্রিয়াটি হলো- সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিক সকালে পানি ছেঁকে এরপর দুধ ও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া।
আমলকি
ত্বক ও চুলের পরিচর্যা, সামগ্রিক সুস্বাস্থ্য তো বটেই, মস্তিষ্ক ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতেও আমলকি দারুণ উপকারী প্রাকৃতিক উপাদান। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় আমলকি নিয়মিত খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায় তুলনামূলক অনেক বেশি। এছাড়া নার্ভাস সিস্টেমের উপরেও ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে আমলকি। ফলে বয়স্কদের আলঝেইমার রোগ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা কমিয় অনেকখানি। আস্ত আমলকি কিংবা আমলকির রস পান করা যেতে পারে।
মাছের তেল
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে মাছের তেল চমৎকার একটি খাদ্য উপাদান, বিশেষত আপনি যদি নন-ভেজিটেরিয়ান হয়ে থাকেন। মাছের তেলে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রানিজ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মস্তিষ্কের কোষের পুনর্গঠনে সাহায্য করে। যা পরবর্তিতে স্মৃতিশক্তি জোরদার করতে ভূমিকা পালন করে।
দারুচিনি
মশলা হিসেবে বিভিন্ন ধরণের বহুল ব্যবহৃত এই উপাদানটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। আধা চা চামচ পরিমাণ দারুচিনি গুড়া এক চা চামচ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে প্রতিদিন খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
ঘি
ফ্যাট-সল্যুবল ভিটামিন ও এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস হলো ঘি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে ঘি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, বুদ্ধিজনিত ক্ষমতা, বুদ্ধিবৃত্তি ও স্মৃতিশক্তিকে শক্তিশালী করতে কাজ করে। তরুণ বয়সে প্রতিদিন আধা-এক চা চামচ পরিমাণ বিশুদ্ধ ঘি গ্রহণে মস্তিষ্কের সার্বিক