দীর্ঘদিন একই গ্লাসে পানি পান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতে ঘুমের ঘোরে পানি তেষ্টা পায় অনেকেরই। মাঝেমাঝেই উঠে পানি খেতে হয়। তাই সুবিধার জন্য খাটের পাশের টেবিলেই পানির গ্লাস রেখে দেন অনেকে। বিছানা থেকে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। ঘুম চোখে আর উঠতে হয় না। প্রতি দিনই রাতে শুতে যাওয়ার আগে মনে করে গ্লাসে পানি ভরেন। কিন্তু গ্লাসটি পরিষ্কার করেন কি? একই গ্লাসে পর পর দু’সপ্তাহে পানি খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা সে তথ্যই দিচ্ছে।

শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম শর্ত হল পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া। তবে শুধু পানি খেলেই হবে না। কোন পাত্রে পানি খাচ্ছেন, সে বিষয়েও নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্লাস্টিকের বোতলে পানি খেতে বারণ করেন চিকিৎসকরা। তাতে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। নানা কঠিন রোগের ঝুঁকিও থাকে। তেমন একই গ্লাসে দীর্ঘ দিন ধরে পানি খেলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কাচের গ্লাস হলেও প্রতি দিন তাতে পানি ভরার আগে অবশ্যই ধুয়ে নিন।

গ্লাস হোক কিংবা বোতল, নিয়মিত পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া জমতে বাধ্য। দীর্ঘদিন সেই ভাবে ফেলে রাখলে সেই ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলো আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। সেগুলো পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা তৈরি করে। বমি, ডায়েরিয়া, পেটের সংক্রমণের মতো কিছু রোগ দেখা দিতে পারে। বেশি করে পানি খেয়েও রোগের সঙ্গে লড়াই করা মুশকিল হবে।

ধুতে হবে বলে নিয়মরক্ষা করার জন্য পানি দিয়ে গ্লাস ধুয়ে রেখে দিলে কিন্তু হবে না। তরল সাবান অথবা অন্য কোনও কিছু দিয়ে সঠিক পদ্ধতি মেনে গ্লাস পরিষ্কার করতে হবে। ঘষে ঘষে না মাজলে গ্লাসের ব্যাকটেরিয়াগুলো সহজে যাবে না।

আরও বেশি সতর্ক থাকতে গ্লাসে পানি ঢালার পর ঢেকে রাখুন। বাতাসেও ব্যাকটেরিয়া ভেসে বেড়ায়। সেগুলো পানির সংস্পর্শে আসতে পারে। তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়ার দরকার নেই। যদি গ্লাসে পানি ঢালার কিছুক্ষণ পর খাবেন বলে মনস্থির করেন, সেক্ষেত্রে অবশ্যই গ্লাস ঢাকা দিয়ে রাখুন।

চুলের যত্নে জবা ফুল!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুলের যত্নে কতকিছুই ব্যবহার করা হয়। তবে জবা ফুলের ব্যবহার সেই আদিকাল থেকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জবা ফুলে থাকা অ্যামিনো অ্যাসিড চুলে কেরাটিন প্রোটিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে। যা প্রাকৃতিকভাবে চুলের জেল্লা বজায় রাখে।

এছাড়াও জবা ফুল মাথায় ত্বকের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। ফলে চুলের ফলিকলগুলোও পুষ্টি পায়। যা নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

জবা ফুল চুলের আর কোন উপকারে লাগে জেনে নিন-

১. চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে

নারকেল তেলের সঙ্গে জবা ফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রাখুন। চুলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে এই মিশ্রণ ম্যাজিকের মতো কাজ করে।

২. রুক্ষ চুলের যত্নে

কাঠবাদামের তেলের মধ্যে রোদে শুকোনো বেশ কিছু জবা ফুলের পাপড়ি কাচের শিশিতে ভরে রেখে দিন। ১০ থেকে ১৫ দিন ২-৩ ঘণ্টা করে সূর্যের আলোতে রাখুন। তার পর গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। রুক্ষ চুলও হবে রেশমের মতো মোলায়েম।

৩. খুশকি দূর করতে

জবা ফুলের পাপড়ির সঙ্গে তিলের তেল মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে মাথায় মেখে রাখুন। পরে শ্যাম্পু করে নিন। খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন অচিরেই।

৪. চুল ঝরা রুখতে

অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে জবা ফুলের পাপড়ি বেটে মিশিয়ে নিন। গোসলের আধা ঘণ্টা আগে এই মিশ্রণ মাথায় মেখে রাখুন। চুল পড়া রুখতে এই মিশ্রণ দারুণ কার্যকরী।

৫. অকালপক্কতা রোধ করতে

পানির রং লালচে হয়ে আসলে তা ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিন। অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সপ্তাহে দু-তিন বার ব্যবহার করুন।

;

কফি খেলে কি ত্বকের ক্ষতি হয়?



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একটানা কাজ করতে করতে একঘেয়েমি কাটাতে কফির বিকল্প নেই। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অতিরিক্ত কফি বা ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেলে ডিহাইড্রেশন দেখা দিতে পারে। যার ফলে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

এছাড়াও কফি অনেক সময়েই উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। ‘কর্টিজল’-এর মতো হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে গেলে ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যায়। ফলে মুখে ব্রণের সমস্যা বেড়ে যায়।

কফি খেলে ত্বকের আর কী কী ক্ষতি হতে পারে?

১. কফিতে থাকা অ্যাসিডের প্রভাবে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যা ত্বকের সেবাম উৎপাদনেও হেরফের ঘটায়।

২. দুধ এবং চিনি দেওয়া ফিল্টার কফি খেতে অনেকেই পছন্দ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অভ্যাসের ফলে কিন্তু ত্বক ব্রণতে ভরে যেতে পারে।

৩. তৈলাক্ত ত্বকেও নাক এবং মুখের নির্দিষ্ট কিছু অংশ শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

৪. ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় খেলে ত্বকে প্রদাহও দেখা দিতে পারে।

৫. অতিরিক্ত কফি খেলে ঘুমের যে স্বাভাবিক চক্র, তাতেও প্রভাব পড়ে। ঘুম কম হলে ত্বকও জেল্লাহীন হয়ে পড়বে।

ত্বকের ক্ষতি এড়াতে দিনে কতটা কফি খাওয়া যেতে পারে?

পুষ্টিবিদদের মতে, কফি বা ক্যাফেইন  জাতীয় পানীয় থেকে কোনও রকম ক্ষতি এড়াতে ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি কফি গুঁড়ো ব্যবহার করা উচিত নয়। পানীয় হিসাবে বলতে গেলে সারা দিনে ২ থেকে ৩ কাপ পর্যন্ত কফি খাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ত্বকচর্চা করারও পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদেরা।

;

পাতলা চুল ঘন করার সহজ উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘন, কালো চুলের স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। কিন্তু স্বপ্ন দেখলেই তো হল না। মনের মতো চুল পেতেও চাই সঠিক যত্ন। এ দিকে চুল পড়ার সমস্যায় নাজেহল কমবেশি অনেকেই। কেউ আবার সারা বছর ধরে খুশকির সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু নামীদামি প্রসাধনীর ব্যবহার করেও সুফল মেলে না অনেক সময়। চুল ঝরা থেকে খুশকি— এই ধরনের সমস্যার দাওয়াই হতে পারে দারচিনি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর হেঁশেলের এই উপাদানটি চুলের গোড়া মজবুত করে। দারচিনিতে উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন কে থাকে। দারচিনি চুলের যত্নে ব্যবহার করলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়, ফলে নতুন চুল গজায়। কম বয়সে অনেকেরই চুল পেকে যায়। এই সমস্যা দূর করতে দারচিনি দারুণ উপকারী। শরীরের যত্ন নিতেও এর উপকারিতা কম নয়। টাইপ টু ডায়াবেটিস যাদের রয়েছে, প্রত্যেক দিন আধ চা চামচ করে দারচিনি খাওয়ায় উপকৃত হয়েছে বলে দেখা গিয়েছে সমীক্ষায়। ট্রাইগ্লিসারাইড বা ব্যাড কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে দারচিনিতে। টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো কোনও রোগ থাকলে শরীর ইনসুলিন হরমোনের সঙ্গে ঠিক মতো মানিয়ে নিতে পারে না। সেই কাজে সাহায্য করে দারচিনি। কিন্তু চুল ঘন করতে কীভাবে ব্যবহার করবেন দারচিনি?

>> দারচিনি, মধু, নারকেল তেল— এই তিনটি উপকরণ একসঙ্গ মিক্সিতে ঘুরিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি যেন ঘন হয়। এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রেখে দিন। সপ্তাহে দু’বার এটি ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

>> এটি ছাড়াও দারচিনি ব্যবহার করার আরও একটি উপায় রয়েছে। ডিম, নারকেল তেল এবং কয়েক টুকরো দারচিনি একসঙ্গে মিশিয়ে একটি ঘন মিশ্রণ তৈরি করে নিন। শ্যাম্পু করার আগে এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে ভাল করে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিনের ব্যবহারে চুল হবে ঘন।

;

ওষুধ ছাড়াই নিয়ন্ত্রণে থাকবে গ্যাস!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেটের রোগের বড় একটি কারণ পাকস্থলি পরিষ্কার না হওয়া। নিয়মিত পেট পরিষ্কার করতে অনেকেই ওষুধের উপর ভরসা করেন। তবে ওষুধের পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু টোটকাতেও কিন্তু অন্ত্র এবং পাকস্থলী পরিষ্কার করা যায়।

জোয়ান ভেজানো পানি

গ্যাস, বুকজ্বালার মতো সমস্যা দূর করতে জোয়ান অত্যন্ত উপকারী। পেট ফাঁপার সমস্যাতেও দারুণ কাজ দেয় জোয়ান ভেজানো পানি। পাকস্থলি পরিষ্কার করতেও জোয়ান ভেজানো পানি দারুণ কাজে দেয়।

জিরা ভেজানো পানি

হজম সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যা নিমেষে দূর করতে জিরা ভেজানো পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। গরমে পেট ফাঁপার সমস্যা হলেও দারুণ কাজ দেয় এই পানীয়।

মধু এবং লেবুর রস

কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এই পানীয় শুধু মেদ ঝরাতে নয়, হজম সংক্রান্ত নানা রকম সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, নিয়মিত এই পানীয় খেলে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

অ্যালোভেরা

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ফাইবার সমৃদ্ধ অ্যালোভেরার জুস অত্যন্ত কার্যকর। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, উপকারী হলেও এই জুস খুব বেশি না খাওয়াই ভালো। না হলে পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার

হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা। ফাইবার পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি পাকস্থলি পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।

;