কফের রঙ বলে দেবে শরীরে কোনো রোগ বাসা বেঁধেছে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরম পড়েছে ভালোই। তবুও সংক্রমণের ঠেলায় সর্দি, কাশি, জ্বর কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। বাড়িতে একজন সুস্থ হলে অন্য জন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। গলায় কফ দলা পাকিয়ে থাকছে, বুকের ভিতর ঘড়ঘড় করছে। সেই কফ যখন ফেলা হয় তখন তার রঙ হয় বিভিন্ন রকম।

চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কফ দিয়েই কিন্তু শরীরের হাল-হকিকত জানা সম্ভব। সংক্রমণের মাত্রা কতটা গুরুতর, তা নাকি বলে দিতে পারে কফের রঙ। তবে শ্লেষ্মা মাত্রেই ক্ষতিকর নয়। ফুসফুস, শ্বাসনালির ভিতরের এলাকা আর্দ্র রাখে। যে কোনও রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্লেষ্মা। কফের রঙ স্বচ্ছ হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই, তবে কফের রঙ বদলে গেলেই মুশকিল।

কফের রঙ দেখে কী ভাবে রোগ চিনবেন?

হলুদ

শরীরে বড় রকম কোনও সংক্রমণ হলে সাধারণত কফের রঙ গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে এমন হয়। তাই কফের রঙ এমন হলে সাবধান। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কালো

আপনার কফের রঙ হালকা কালো হলে বুঝতে হবে আপনি অত্যন্ত দূষিত পরিবেশে বসবাস করছেন। এছাড়া, মিউকারমাইকোসিস নামক রোগের ক্ষেত্রে কফের রঙ কালচে হয়ে যায়। মিউকারমাইকোসিস খুব বিরল ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ।

গোলাপি বা লাল

অনেক সময়ে ফুসফুসে এক ধরনের তরল জমা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। দীর্ঘদিন ধরে বুকে কফ বসে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়। আর এই সংক্রমণের ফলে এক ধরনের তরল ফুসফুসে জমা হতে থাকে। তার জেরেই শ্লেষ্মার রঙ বদলে যায়। এ ছাড়া, অনেক সময়ে নাকের টিস্যু ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। সে কারণেও কফের রঙ লালচে হয়ে যেতে পারে।

বাদামি

অতিরিক্ত ধূমপান করেন? সে ক্ষেত্রে কিন্তু কফের রঙ বাদামি হতে পারে। মূলত দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে ফুসফুসের পরিবর্তন হয়। ব্রঙ্কাইটিস হওয়ারও একটা আশঙ্কা থাকে। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কফ জমা হতে থাকে। কখনও কখনও কফের সঙ্গে রক্তও ওঠে।

সাদা

থকথকে, একটু বেশি সাদা, ঘন শ্লেষ্মা হলেও কিন্তু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এমনটা হলে জানবেন, আপনার নাকের কোষগুলো সংক্রমণজনিত কারণে ফুলে গিয়েছে। ফলে আগের মতো স্বাভাবিক ভাবে শ্লেষ্মা আর বাইরে আসতে পারছে না। পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে শ্লেষ্মার প্রকৃতি এমন হচ্ছে। ব্রঙ্কাইটিস বা সাইনাসের কারণেও এমন হতে পারে।

সুতি পোশাকের যত্ন নেবেন যেভাবে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দিনে সুতির পোশাক ছাড়া অন্য কোনো পোশাকে যেন আরাম মেলে না। তাইতো গরম এলে ছোট থেকে বড় সবাই সুতির পোশাকই বেছে নেন। তবে ঠিকমতো যত্ন না নিলে সুতির পোশাকে অল্পতেই পুরনোভাব চলে আসে। সে কারণে সুতির পোশাকের চায় বিশেষ যত্ন। কীভাবে নেবেন জেনে নিন-

সুতির পোশাক ধোয়ার নিয়ম

সুতির পোশাক ধোয়ার সময়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। লিকুয়িড সাবানে ধুতে পারলে ভালো হয়। অনেকের অভ্যাস গরম পানিতে জামাকাপড় ভিজিয়ে রেখে তার পর ধুয়ে দেয়ার। সুতির কাপড় কিন্তু কখনওই গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা উচিত নয়। এতে রং চটে যেতে পারে। সুতির পোশাক ধোয়ার সময়ে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।

ভিনেগারের ব্যবহার

সুতির কাপড় যদি ধোয়ার সময় সাবানের সঙ্গে এক কাপ ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এতে সুতির কাপড়ের ঔজ্জ্বল্য নষ্ট হবে না। জামাকাপড়ে সুগন্ধও আসবে।

কড়া রোদে না শুকোনো

কড়া রোদে সুতির কাপড় কখনই মেলবেন না। এতে জামাকাপড়ের রং ফ্যাকাশে হয়ে যেতে পারে। সুতির কাপড় শুকাতে খুব বেশি সময় লাগে না। তাই জামাকাপড়ের রং টিকিয়ে রাখতে পড়ন্ত রোদে কিংবা ছায়া আছে এমন জায়গায় কাপড় মেলে দিন।

লবন-পানিতে ভিজিয়ে রাখুন

অনেক সুতির কাপড় প্রথম বার ধোয়ার সময়ে রং ছাড়ে। এক্ষেত্রে সুতির কাপড় প্রথম বার ধোয়ার সময়ে লবন-পানিতে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। তার পর সাবান দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে কাপড়ের রং টিকে থাকবে।

উল্টো করে শুকোতে দেয়া

সুতির পোশাক ধোয়ার সময় পোশাকগুলো উল্টো করে তার পর সাবান পানিতে ধুতে পারলে ভালো। এই নিয়ম মেনে চললে দীর্ঘদিন টিকে থাকবে সুতির জামাকাপড়ের রং।

;

চুলের ঘনত্ব বাড়াতে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবেশের দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া ও পরিচর্যার অভাবে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। বাড়তে থাকে চুল পড়ার সমস্যা। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু কোনও কারণে যদি চুল ঝরে পড়ার মাত্রা তার চেয়ে বেশি হয় বা ঝরে প়ড়া চুলের জায়গায় নতুন চুল যদি না গজায়, তখনই তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে কারও কারও ক্ষেত্রে এই চুল পড়ার সমস্যা বংশগতও হতে পারে। এছাড়া শরীরে হরমোনের হঠাৎ পরিবর্তনেও চুল উঠে যেতে পারে। নারীদের সন্তান প্রসবের পর বা ঋতুবন্ধের পরও হরমোনের তারতম্যের কারণে চুল ঝরে যেতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেন অনেকে। আবার অনেকেই সাধারণ ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা রাখেন।

পুষ্টিকর খাবার

চুলের যত্নে বাইরে থেকে যা-ই করুন না কেন, পুষ্টিকর খাবার না খেলে কোনও লাভই হবে না। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন এবং ভিটামিন, প্রোটিন এবং বিভিন্ন খনিজে ভরপুর খাবার রাখলে চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা দূর হবে।

মালিশ

মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভাল না হলে নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা কম। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত চুলে তেল মালিশ করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহে ২-৩ দিন, স্নানের আধ ঘণ্টা আগে তেল মেখে শ্যাম্পু করে ফেললেও কাজ হবে।

এসেনশিয়াল অয়েল

চুলের ঘনত্ব বাড়তে তেলের সঙ্গে বিশেষ এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়েও মাখেন অনেকে। এই অভ্যাসে চুলের স্বাস্থ্য যেমন ভাল হয়, তেমন রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। একই ভাবে স্নানের আধ ঘণ্টা আগে এই তেল মেখে শ্যাম্পু করে নিলেই কাজ হবে।

অ্যালো ভেরা

মাথার ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হলে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। তাই চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে গেলে আগে সংক্রমণ কমাতে হবে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে অ্যালো ভেরার নির্যাস। স্নানের আধ ঘণ্টা আগে অ্যালো ভেরা পাতার নির্যাস মেখে রেখে দিন। উষ্ণ জলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁয়াজের রস

পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার। যা মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যার ফলে চুলের ফলিকলগুলি পুষ্টি পায়। নিয়মিত পেঁয়াজের রস ব্যবহার করলে মাথায় নতুন চুল গজায়।

;

আখের রসের যত উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আখের রস শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। আখের রসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট যা শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে। কিন্তু জানেন কী ত্বকের অনেক সমস্যাও দূর করা যায় আখের রস খেলে। অনেকে আবার ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে এই রস মুখে মাখার পরামর্শও দিয়ে থাকেন।

ত্বকের যেসব সমস্যা দূর করে আখের রস-

১. ব্রণের সমস্যা দূর করে

আখের রসে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগ ত্বকের ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাক্টেরিয়াগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। আখের মধ্যে থাকা আলফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড ত্বকের অতিরিক্ত সেবাম উৎপাদনের হার কমিয়ে দেয়। চিকিৎসকেরা বলেন, নিয়মিত আখের রস খেলে ব্রণের দাগ-ছোপও দূর করে।

২. ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে

আখের রসে থাকা গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। খাওয়ার পাশাপাশি আখের রস মুখে মাখলেও উপকার পাওয়া যায়। জেল্লাহীন ত্বককে চকচকে করে তুলতে আখের রসে তুলা ভিজিয়ে মেখে রাখতে পারেন মিনিট দশেক।

৩. তারুণ্য বজায় রাখে

প্রোটিন, আয়রন, জ়ঙ্ক, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খনিজে সমৃদ্ধ আখের রস ত্বককে অকালে বুড়িয়ে যেতে দেয় না। এছাড়াও আখের রসে থাকা ভিটামিন এ এবং সি ত্বকে বলিরেখা বা কোনও রকম দাগ ছোপও পড়তে দেয় না।

৪. মৃত কোষ দূর করে

আখের রসে প্রাকৃতিক ভাবে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড্‌স (এএইচএএস) ত্বকের উপর থেকে ধুলো-ময়লার পরত সরিয়ে ফেলতেও সাহায্য করে। আখের রস দিয়ে নিয়মিত এক্সফোলিয়েট করলে ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

৫. ক্ষত সারাতে

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের পাশাপাশি আখের রসে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলোকে মেরামত করে। ফলে সহজেই ক্ষত সারিয়ে তোলা যায়।

;

এলাচের যত গুণ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলাচের একটি শক্ত ও তীব্র সুগন্ধযুক্ত অনন্য স্বাদ রয়েছে। এই মসলা বিরিয়ানি হোক কিংবা কষা মাংস— না পড়লে রান্নার মোটেই স্বাদ আসে না। পায়েসেও এলাচ পড়লে তার স্বাদ বেড়ে যায় কয়েক গুণ। মশলা চা হোক বা সাধারণ দুধ-চা— দু’টি এলাচ দিয়ে দিলেই স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, খাওয়ার পর আবার অনেকেই মুখশুদ্ধি হিসেবে এলাচ খান। অনেকের আবার খাওয়ার সময়ে এলাচ মুখে পড়লে মেজাজটাই বিগড়ে যায়!

জানেন কি, রান্না ছাড়াও নিয়মিত একটি করে এলাচ খেলে শরীরের নানা রকম সমস্যার সমাধান মিলতে পারে?

>> নিয়মিত পেটের সমস্যায় ভোগেন? এলাচ বিপাকতন্ত্রকে সক্রিয় রাখে এবং হজমে সাহায্য করে। গরমে বুকজ্বালা, বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।

>> শরীর থেকে টক্সিন পদার্থ দূর করতেও এলাচ সাহায্য করে। সকলেই চান বয়স ধরে রাখতে। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে অনেকেই অনেক কিছু করেন। নিয়মিত সকালে খালি পেটে এলাচ ভেজানো পানি খেলেও ত্বক টান টান হয়, বলিরেখা কমে।

>> শ্বাসকষ্টের সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়? রোজ নিয়ম করে মধু, লেবুর রস ও গরম পানির সঙ্গে একটা এলাচ মিশিয়ে দিয়ে পান করলে শ্বাসকষ্ট দূর হবে। ফুসফুস সংক্রমণ এড়াতে চাইলে এলাচ খুবই উপকারী।

>> হৃদরোগ নিরাময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এলাচের। এটি হৃৎস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে, ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া, এলাচ রক্তসঞ্চালনেও সহায়ক। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।

>> মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চিবোতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলিকে ধ্বংস করে। এছাড়াও মাড়ির সংক্রমণ, মুখের ফোড়া-সহ দাঁত ও মাড়ির সমস্যা দূর করতেও এলাচ কার্যকর।

>> অনেক সময়ে ভারী কোনও জিনিস তুলতে গেলেই পেশিতে টান ধরে। এক্ষেত্রে ছোট বা বড় এলাচ গরম পানিতে ফুটিয়ে খেলে তত্‍ক্ষণাত্‍ উপশম হয়।

>> এলাচ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। সর্দি-কাশির সমস্যাতেও এলাচ খেলেই সুফল পাবেন। যাদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তারা রোজ এলাচ-পানি খেলে উপকার পাবেন।

;