বলিরেখার সমস্যা থেকে দূরে থাকতে এড়িয়ে চলুন ৫ অভ্যাস
বয়স বাড়লে তো বটেই, নানা কারণে কমবয়সেও ত্বকে বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে। বাইরের খাবার খাওয়া, প্রসাধনীর অত্যধিক ব্যবহার, ধুলো-দূষণ ইত্যাদির কারণে বলিরেখা পড়তে শুরু করে। আধুনিক জীবনযাপনের কারণে ইদানিং ৩০ পেরোনোর আগেই ঠোঁটের পাশে, কপালে দাগছোপ পড়ে যায়। অর্থাৎ সময়ের আগেই বৃদ্ধ হতে থাকে ত্বক। বাজারচলতি প্রচুর প্রসাধনী পাওয়া যায়, যেগুলি বলিরেখা দূর করতে ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু তাতে লাভ কিছুই হয় না। ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিয়েও যে সুফল পাওয়া যায়, এমন নয়। তবে রোজের কয়েকটি অভ্যাসে কিন্তু বলিরেখার সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রোদে ঘোরাঘুরি
বেশি রোদের সংস্পর্শে থাকলে বলিরেখার সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ত্বক ভিতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। বর্ষায় অধিকাংশ সময় আকাশ মেঘলা থাকে। তা সত্ত্বেও বাইরে বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মেখে নেওয়া জরুরি।
পানি কম খাওয়া
শুষ্ক ত্বকে বলিরেখা প়ড়ে দ্রুত। তাই ত্বকের চাই আর্দ্রতা। তার জন্য শুধু প্রসাধনী মাখলেই হবে না। বরং বেশি করে পানি খেতে হবে। ত্বক টানটান রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি খাওয়া জরুরি।
মানসিক চাপ
মানসিক অবসাদে ভুগলে বলিরেখার সমস্যা দেখা দেয়। তাই ত্বকের লালিত্য ধরে রাখতে মনের যত্ন নেওয়া জরুরি। ছুটে চলার জীবনে অবসাদ, চাপ থাকবেই। কিন্তু তা মনে পুষে রাখলে চলবে না। বরং সব সময় মানসিক ভাবে খুশি থাকার চেষ্টা করতে হবে। মানসিক শান্তির ছাপ দেখা যাবে ত্বকেও।
অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
বাইরে থেকে খেয়াল রাখার চেয়েও ভিতর থেকে ত্বকের যত্ন নেওয়া বেশি জরুরি। তার জন্য নিয়ম করে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবারদাবার। ফল, শাকসবজি রোজের খাবারে থাকলে ভাল। ত্বক এবং শরীর দুই-ই ভাল থাকবে। ঘুম কম হলে শরীরের পাশাপাশি ত্বকেও তার প্রভাব পড়ে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ত্বক নিস্তেজ হতে শুরু করে। ত্বক নিজস্ব জেল্লা হারায়। অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে। একই কারণে দ্রুত বলিরেখাও পড়ে। তাই দিনে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।