নতুন মায়েদের যে ৫ খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
মাতৃদুগ্ধের মতো পুষ্টি আর কোনও খাবারেই পায় না শিশু। নবজাতকের পুষ্টি, বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য মাতৃদুগ্ধের উপরই ভরসা করতে বলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু আমাদের দেশে অনেক মা-ই অপুষ্টিতে ভোগেন। ফলে শিশুর জন্য পর্যাপ্ত দুধের জোগান দিতে পারেন না তারা। শারীরিক নানা কারণ থাকলেও, এমন কিছু খাবার আছে যেগুলি খেলে দুধের উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। আবার এমন কিছু খাবার আছে যা খেলে শিশুদের শরীরে সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদদের মতে, যে সব খাবার স্তন্যপান করানোর সময়ে খাওয়া যায় না, সে দিকে নজর দেওয়া বেশি জরুরি। জেনে নিন স্তন্যপান করানোর সময় কোন খাবার এড়িয়ে চলবেন।
কফি
মায়েদের যদি কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তার প্রভাব কিন্তু পড়বে সদ্যোজাতের ঘুমের উপর। চিকিৎসকদের মতে, কফিতে থাকা ক্যাফিন, মায়ের দুধের মধ্যে দিয়ে সন্তানের শরীরে প্রবেশ করলে শুধু ঘুম নয়, সদ্যোজাতটির হজমের সমস্যাও হতে পারে।
পুদিনা
এমন কিছু ভেষজ আছে, যার প্রভাবে দুধ উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। এই সব ভেষজকে ‘অ্যান্টি-গ্যালাক্টোগ্স’ও বলা হয়। পুদিনা সেই গোত্রের একটি ভেষজ, তাই স্তন্যদান চলাকালীন পুদিনা পাতা আছে, এমন কোনও খাবার, লজেন্স না খাওয়াই ভাল। পার্সলে খেলেও ওই একই সমস্যা হয়।
মদ্যপান ও ধূমপান
নতুন মায়েদের মদ্যপান করা থেকে বিরত থাকতেই হবে। কারণ মদ্যপান করলে মাতৃদুগ্ধের পরিমাণ কমে যায়। সন্তানের চাহিদা অনুযায়ী দুধ উৎপন্ন না হলে, কখনওই বাচ্চার পেট ভর্তি হবে না। সারাক্ষণ তার মেজাজ বিগড়ে থাকবে। এ ছাড়া নিকোটিন আছে এমন কোনও জিনিসই খাবেন না। প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে ধূমপানের প্রভাব পড়বে আপনার সন্তানের স্বাস্থ্যে।
ফুলকপি-বাঁধাকপি
যে সব খাবার খেলে গ্যাসের সমস্যা হয় সেগুলি এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে কেবল আপনার গ্যাসের সমস্যা বাড়বে না, খুদেরও গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যাবে।
রসুন
রান্নায় খুব বেশি রসুনের ব্যবহার করবেন না। অনেক শিশুরই রসুনের স্বাদ পছন্দ হয় না, ফলে শিশু স্তনদুগ্ধ খেতে চায় না। ফলে ওর পুষ্টির অভাব হতে পারে।