যেসব খাবারে বাড়বে শিশুর স্মৃতিশক্তি



লাইফস্টাইর ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যেসব খাবারে বাড়বে শিশুর স্মৃতিশক্তি

যেসব খাবারে বাড়বে শিশুর স্মৃতিশক্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশু অবস্থা থেকেই মানুষের স্মৃতিশক্তির বিকাশ ঘটে। এজন্য এ বয়সে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য সুষম খাবার গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং খনিজ পদার্থের মতো পুষ্টিতে সমৃদ্ধ খাবার স্মৃতিশক্তিকে তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। 

যেসব খাবার নিয়মিত খেলে শিশুদের মস্তিষ্কের দ্রুত বিকাশ ঘটে, তার একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো:

১. ডিম: ডিমে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, আয়রন, ফসফরাস এবং ফোলেট রয়েছে, যা শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য অপরিহার্য।

২. ঘি: শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ঘি উপকারী। ঘি-তে থাকা ডিএইচএ শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর সাথে সাথে মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করতে ভূমিকা পারন করে।

৩. দুধ: দুধ হাড়কে শক্তিশালী করে এবং মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে। এতে ফসফরাস, ভিটামিন-ডিসহ ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং আয়রন রয়েছে।  যা শিশুদের শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখে।

৪. আপেল: শিশুকে নিয়মিত আপেল খাওয়াতে পারেন। কেননা এটি মস্তিষ্কের গঠনে উপকারী। 

৫. শুকনো ফল: আখরোট, বাদামের মতো শুকনো ফল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উপকারী। পাশাপাশি এগুলো শিশুদের স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে। তবে শুকনো ফল সারারাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে শিশুকে খেতে দিন।

৬. মাছ : মাছ রয়েছে ভিটামিন ডি এবং ওমেগা থ্রি। এ দু’টি উপাদান মস্তিষ্কের গঠনের জন্য উপকারী। 

৭. শাক ও সবজি: শাক ও সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে যা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে।

৮. কলা: স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার কলা। যা শিশুদের শক্তি যোগাতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে শিশুদের ওজনও বাড়ে।

   

কোমরের ব্যথায় অবহেলা করবেন না



অধ্যাপক ডা. আব্দুস সালাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শতকরা ৯০ শতাংশ লোক জীবনের কোনো না কোনো সময়ে কোমর ব্যথায় ভোগে। স্বল্পমেয়াদি ব্যথা এক মাসের কম সময় থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রোনিক ব্যথা এক মাসের অধিক সময় থাকে। যথা সময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ৯০ শতাংশ রোগী দুই মাসের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। আর যারা অবহেলা করেন, তাদের কথা আর নাই বা বললাম। তারা নিজেরাই সেটা জানেন। একটি ব্যথা হচ্ছে লাম্বার স্পনডোলাইসিস। আমাদের সবার কোমরে পাঁচটি হাড় আছে। কোমরের হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে বা বংশগত কারণে ক্ষয় হয়ে যায়, তখন তাকে বলা হয় লাম্বার স্পনভোলাইসিস। আরেটি ব্যথা হচ্ছে, পিএলআইডি। এটিও শক্তিশালী। সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ বছরের মানুষের ক্ষেত্রে এই ব্যথাটা বেশি দেখা যায়। প্রত্যেক মানুষের হাড়ের মধ্যে ফাঁকা জায়গা একটা থাকে। এটি পূরণ থাকে তালের শাঁসের মতো ডিস্ক বা চাকতি দিয়ে। এ ডিস্ক যদি কোনো কারণে বের হয়ে যায়, তখন স্নায়ুমূলের ওপরে চাপ ফেলে। এর ফলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।

এর বাইরে আরো বেশ কিছু কারণ আছে। এই কোমর ব্যথায় লক্ষ্য রাখবেন বড় কোনো আঘাতের ইতিহাস আছে কি না। কোমর ব্যথার পাশাপাশি বুকে ব্যথা হলে বা আপনার যদি আগে কখনও যক্ষ্মা হয়ে থাকে তবে এই ব্যথাকে একটু বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। দ্রুত যোগাযোগ করুন আপনার চিকিৎসকের সাথে।

এ ছাড়া ক্যান্সার, অস্টিওপোরোসিস, এইডস, দীর্ঘকাল স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবনের ইতিহাস থাকলেও কোমর ব্যথা হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা হলে আমি বলবো মোটেও অবহেলা করবেন না।

লক্ষ্য রাখবেন, ব্যথার পাশাপাশি জ্বর, শরীরের ওজন হ্রাস, অরুচি, অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি উপসর্গ আছে কি? ব্যথাটা কোমর ছাড়িয়ে পায়ের দিকে বিশেষ করে এক পায়ের হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ছড়াচ্ছে কি? অথবা এক পায়ে তীব্র ব্যথা বা অবশভাব মনে হচ্ছে? দ্রুত সতর্ক হন, চিকিৎসকের কাছে যান।

কোমর ব্যথার পাশাপাশি, প্রস্রাব বা পায়খানার সমস্যা, মলদ্বারের আশপাশে বোধহীনতা, মেরুদণ্ডে বক্রতা, পায়ের দুর্বলতা বা পায়ের মাংসপেশির শুষ্কতা ইত্যাদি উপসর্গকে বিশেষ গুরুত্ব দিন। এগুলো ভালো লক্ষণ নয়। কোমর ব্যথার সঙ্গে উল্লিখিত যে কোনো উপসর্গ থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কোমর ব্যথাকে কখনো হালকাভাবে নিবেন না । প্রথম দিকে এ ব্যথা

কম থাকে এবং ক্রমান্বয়ে তা কিন্তু বাড়তে থাকে। এর চরিত্রটাই এমন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিৎ হয়ে শুয়ে থাকলে এ ব্যথা কিছুটা কমে আসে। আবার কোমরে সামান্য নড়াচড়া হলেই এ ব্যথা বেড়ে যায়। ব্যথার সঙ্গে পায়ে ব্যথা নামতে বা উঠতে পারে, হাঁটতে গেলে পা খিঁচে আসে বা আটকে যেতে পারে, ব্যথা দুই পায়ে বা যে কোনো এক পায়ে নামতে পারে। কোমরের মাংসপেশি কামড়ানো ও শক্ত ভাব হয়ে যাওয়া। প্রাত্যহিক কাজে, যেমন- নামাজ পড়া, তোলা পানিতে গোসল করা, হাঁটাহাঁটি করা ইত্যাদিতে কোমরের ব্যথা বেড়ে যায়। কোমর ব্যথার সময় আর যা যা সমস্যা হয় সে সম্পর্কেও কিছু আলোচনা করা যাক।

প্রথমে কোমরে অল্প ব্যথা থাকলেও ধীরে ধীরে ব্যথা বাড়তে থাকে। অনেক সময় হয়তো রোগী হাঁটতেই পারে না। ব্যথা কখনও কখনও কোমর থেকে পায়ে ছড়িয়ে পড়ে। পায়ে ঝিনঝিন ধরে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ফেলতে সমস্যা হতে পারে। পা অবশ ও ভারী হয়ে যায়। পায়ের শক্তি কমে যায়। মাংসপেশি মাঝে মধ্যে সংকুচিত হয়ে যায়।

আমি বারবার বলছি। কোমর ব্যথাকে গুরুত্ব দিন। সমস্যা হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

এবার বলবো, প্রাথমিক ক্ষেত্রে আপনার করণীয় কি। সব সময় শক্ত সমান বিছানায় ঘুমাতে হবে। ফোমের বিছানায় ঘুমানো যাবে না এবং ফোমের নরম সোফায় অনেকক্ষণ বসা যাবে না। ঝুঁকে বা মেরুদণ্ড বাঁকা করে কোনো কাজ করবেন না। ঘাড়ে ভারী কিছু তোলা থেকে বিরত থাকুন। নিতান্তই দরকার হলে ভারী জিনিসটি শরীরের কাছাকাছি এনে কোমরে চাপ না দিয়ে তোলার চেষ্টা করুন। নিয়মিত শারীরিক অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রম করতে হবে। শারীরিক শ্রমের সুযোগ না থাকলে ব্যায়াম অথবা হাঁটার যতটুকু সুযোগ আছে তাকে কাজে লাগাতে হবে। মোটা ব্যক্তির শরীরের ওজন কমাতে হবে। সবার ক্ষেত্রেই সবসময় ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। একই জায়গায় বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে অথবা বসে থাকা যাবে না। ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমাতে হবে। বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। ঘুম থেকে ওঠার সময় যে কোনো একদিকে কাত হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে।

হালকা ব্যথা হলে অবহেলা না করে ওষুধ এবং পূর্ণ বিশ্রাম নিতে হবে। কোমরে গরম ভাপ দিলে উপকার পেতে পারেন। কোমর ব্যথার বিভিন্ন মলম ব্যবহার করতে পারেন। তবে মালিশ করা যাবে না। ব্যথা তিন দিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই একজন অর্থোপেডিকস, ফিজিওথেরাপিস্ট কিংবা নিউরোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। ব্যথা তীব্র হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। অনেকেই মনে করেন, ব্যথা উপশমের জন্য ফিজিওথেরাপি অনেক কাজে লাগে। আমিও বলবো, সঠিক। তবে তার আগে আপনি আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন। কম ব্যথা হলে আউটডোর ফিজিওথেরাপি দেয়া হয়ে থাকে। অনেকেই কোমর ব্যথা হলে বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে ফেলে। এটা একেবারে ঠিক নয়। বিভিন্ন কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা প্রয়োজন।

ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞদের মতে, এখনও এমন ওষুধ তৈরি হয়নি যে ওষুধ খেলে আপনার মাংসপেশি লম্বা হবে, শক্তিশালী হবে এবং আপনার জয়েন্ট মবিলিটি বেড়ে যাবে।

লেখক- অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুস সালাম, অর্থো সার্জন, নিটোর, ঢাকা।

;

উদ্ভিজ্জ দুধে তৈরি দইয়ের উপকারী নানান দিক



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নারকেল ও বাদাম দুধে তৈরী দই

নারকেল ও বাদাম দুধে তৈরী দই

  • Font increase
  • Font Decrease

দই খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। শরীরের নানাবৃত্তীয় কাজে সহযোগীতা করে থাকে এই উপাদান। হজমে সহায়তা ছাড়া নানা উপকারী শারীরিক কার্যক্রমে সরাসরি প্রভাব ফেলে। অনেকে বাড়িতে নিজেরাই দই পেতে খায়। তবে সাধারণত দোকান থেকেই দই কিনে এনে খাওয়া হয়। আধুনিক যুগে এখন বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন স্বাদের দই তৈরি করে। এমনকি শুধু বিভিন্ন পশুর দুধ থেকেই নয়, এখন উদ্ভিজ্জ পদার্থের নির্যাস থেকেও দই হয়। নারকেল, চিনাবাদাম, বাদাম দুধ থেকে অহরহ সুস্বাদু দই বানানো হচ্ছে।

ভারতীয় চিকিৎসক গরিমা গয়ালের মতে, এই উদ্ভিজ্জ দই গরু বা মহিষের দুধের তৈরি করা দইয়ের চেয়ে বেশি উপকারী। এছাড়া আয়ুর্বেদিক চর্চাকারী গুরু মনীশ বিশ্বাস করেন, নারকেল দুধ দু’বার সিদ্ধ করে নিয়ে যে দই তৈরি করা হয় তা পাকস্থলির জন্য আরও অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। পুষ্টিবিদ সিলভার শেঠি বলেছেন, ‘উদ্ভিজ্জ দুধের তৈরি দইয়ে কোলেস্টেরল, হরমোন, লেকটোজের মতো ক্ষতিকর উপাদান থাকে না। এছাড়াও, এতে একইরকম স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকে। পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, স্নেহ এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সও একইরকম পরিমাণে থাকে। তাই অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও হজমে উদ্ভিজ্জ দইও একইরকম কার্যকর। তবে দই তৈরির ক্ষেত্রে পরিমাণ এবং ঘনত্ব কম-বেশি হতে পারে।’ উদ্ভিজ্জ দইতে যা যা থাকে-

প্রোবায়োটিকস: সাধারণ দইয়ের মতো এই দইও গাঁজন প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। এই দইতে অন্ত্রের জন্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া উপস্থিত থাকে। ফলে হজমে বেশ উপকারী ভূমিকা পালন করে এই ধরনের দই।   

ল্যাকটোস: যাদের দুগ্ধজাতীয় খাদ্যে এলার্জি আচে বা হজম করতে সমস্যা হয় তাদের উদ্ভিজ্জ দই খাওয়া উচিত। এতে তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ল্যাকটোজের অভাব পূরণ হয়।  

উদ্ভিজ্জ পুষ্টি: প্রায় সময়ই শিশুরা সবজি জাতীয় খাবারে অনীহা প্রকাশ করে। এই ধরনের দই খেলে উদ্ভিজ জাতীয় পুষ্টির অভাবও পূরণ হতে পারে। তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

ভাজা বনাম কাঁচা, যে বাদাম বেশি উপকারী



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাদাম / ছবি: সংগৃহীত

বাদাম / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাদাম অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এতে রয়েছে প্রোটিন, উপকারী স্নেহ, ফাইবার, খনিজ উপাদানসহ অনেক পুষ্টি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মিষ্টিজাতীয় খাবারসহ বিভিন্ন রান্নায় নানানরকম বাদাম ব্যবহার করা হয়। নাস্তা হিসেবে বাদাম এমনিতে আস্তও খাওয়া যায়। বাদাম অনেকে হালকা ভাজা বা রোস্টেড বাদাম খেতে পছন্দ করেন। চিকিৎসকরাও প্রতিদিন অল্প করে হলেও, বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রোস্টেড বাদাম খুব জনপ্রিয় একটি নাস্তাজাতীয় খাবার। বেশিরভাগ বাদাম খোসা থেকে ছাড়িয়ে তারপর ভাজা হয়। তবে চিনা বাদাম খোসাসহই ভাজা হয়ে থাকে। বাদাম সাধারণত দু’ভাবে রোস্ট করা যায়। প্রথম হচ্ছে তেলে ভাজা এবং অন্যটি হলো আঁচে ভাজা।

তেল, ঘি বা মাখন দিয়ে কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তাবাদাম ইত্যাদি ভেজে খাওয়া হয়। অনেক সময় বিভিন্ন বাদাম মাক্রোওভেন বা চুলাতেই তেল ছাড়া শুধু আঁচে ভাজা হয়। মূলত কাঁচা বাদামকে ভাজা হয় এর স্বাদে কিছুটা ভিন্নতা এবং মচমচে ভাব আনার জন্য। ভাজার পর বাদামের রঙও কিছুটা পরিবর্তন হয় আর আর্দ্রভাব কমে গিয়ে একটু ক্রিস্পি বা মচমচে স্বাদ আসে।

অনেকেই ভাবেন বাদাম কাঁচা খাওয়া বেশি ভালো নাকি ভাজা? বাদাম ভাজার কারণ এর পুষ্টিগুণ আবার কমে যায় কিনা! জেনে নেওয়া যাক ভাজা আর কাঁচা বাদামের পার্থক্য-

১. স্বাদ এবং রঙে পরিবর্তন থাকলেও বাদাম যেকোনো ভাবে খাওয়াই অনেক উপকারী। যদিও ভাজা বাদামে তেল ও ক্যালরির পরিমাণ একটু বেশি থাকে। তবে পার্থক্য খুবই নগণ্য।

 ২. বাদামে প্রচুর মনোআনস্যাচুরেটেড এবং পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এসব ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদয়কে সুরক্ষিত রাখে। কিছু পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট তাপের সংস্পর্শে আসলে নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে অনেক্ষণ ধরে রান্না করা বা উচ্চ তাপে ভাজা বাদামে এসব উপাদান ক্ষতিগ্রস্থ এবং অক্সিডাইজ হয়ে যায়।

৩. ভিটামিন ‘ই’,  ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস- এসব উপাদানের উত্তম উৎস হলো বাদাম। এসব উপাদান তাপের প্রতি সংবেদনশীল। এরফলে তাপ দেওয়া বাদামের এসব উপাদান হারিয়ে যেতে পারে।

৪. ভাজা বাদামে যে অনন্য স্বাদ, রঙ এবং গন্ধ থাকে তা মেলার্ড নামক রাসায়নিক যৌগ গঠন করতে পারে। এই মেলার্ড অ্যামিনো অ্যাসিড অ্যাসপারাজিন এবং বাদামের গ্লুকোজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

তথ্যসূত্র: হেলথলাইন

;

আপেল জুস শরীরে যে প্রভাব ফেলে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আপেল জুস

আপেল জুস

  • Font increase
  • Font Decrease

ইংরেজিতে একটা প্রবাদ আছে ‘অ্যান অ্যাপেল অ্যা ডে, কিপস দ্য ডক্টর অ্যাওয়ে।’ যার সোজা বাংলায় অর্থ হলো, প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না। মূলত, আপেলের গুণাগুণ প্রকাশ করে এই প্রবাদ।

তবে এত উপকারী আপেল দিয়ে যখন জুস তৈরি হয় তখন তার গুণাগুণ কি একইরকম থাকে- এটা বেশ বড় একটা প্রশ্ন। অনেকেই ফ্রেশ আপেল জুস পান করতে পছন্দ করে। তবে তারা হয়তো জানেই না এটা শরীরে ক্ষতিকর প্রভাবও ফেলতে পারে।

ডায়েটিশিয়ান ও পুষ্টিবিদ শুভা রমেশ এল. বলেছেন, ‘আপেলের জুস অ্যালকোহলের মতো ক্ষতিকারক হতে পারে। এই বিষয়টি শুনে চমকে যাওয়া স্বাভাবিক, তবে একেবারে ভিত্তিহীন নয়। এক্ষেত্রে কিছুটা বিচার বিবেচনা করা প্রয়োজন। উভয় পানীয়ই আমাদের শরীরে অনেকগুলো প্রভাব ফেলে যা পারক পক্ষে একইরকম। সেগুলো কে চিহ্নিত করে সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। ’

আপেলের রস এবং অ্যালকোহলের গ্রহণে এতে থাকা শর্করা আমাদের শরীরে ভিন্নরকম প্রক্রিয়া শুরু করে। যেমন রক্তে শর্করা ও চিনির পরিমাণ, লিভারের কার্যকারিতা তারতম্যে ব্যাঘাত এবং ওজন বৃদ্ধির মতো প্রতিক্রিয়া হতে পারে।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;