কাজের প্রয়োজনে দিনের বেশিরভাগ সময়ই ল্যাপটপ, মোবাইলের পর্দায় চোখ রাখতে হয়। যা চোখের ওপর প্রভাব পড়ে। চোখ থেকে পানি পড়া, চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যার উৎস তো এখান থেকেই। তাই চোখের চাই বাড়তি যত্ন। কম বয়সেও অনেক সময় দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হতে শুরু করে। চোখের প্রতি অবহেলার একটি কারণ তো বটেই। তবে কিছু খাবারও রয়েছে, যেগুলি দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ করে দেয়। চোখের যত্ন নিতে তাই এড়িয়ে চলুন কয়েকটি খাবার।
প্রক্রিয়াজাত মাংস
বিজ্ঞাপন
সসেজ, সালামি, নাগেটস— এই ধরনের মুখরোচক খাবার প্রায়ই খাওয়া হয়। তবে খেতে ভাল লাগলেও এই খাবারগুলো চোখের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এই ধরনের খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি। সোডিয়াম দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ করে তোলে। ঝুঁকি এড়াতে প্রক্রিয়াজাত মাংস দিয়ে তৈরি খাবার এড়িয়ে চলুন।
কফি
বিজ্ঞাপন
অফিসে থাকলে দিনে কয়েক কাপ কফি তো খাওয়া হয়ই। কফি মন এবং শরীর চনমনে রাখলেও চোখ ভাল রাখতে এই পানীয় যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। গবেষণা জানাচ্ছে, কফিতে থাকা ক্যাফিন চোখে চাপ সৃষ্টি করে। গ্লকোমা কিংবা উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা মাত্রাতিরিক্ত কফি খেলে অন্ধত্বের ঝুঁকি থেকে যায়।
অ্যালকোহল
কম বয়সে চোখে নানা রকম সমস্যা দেখা দেওয়ার নেপথ্যে থাকতে পারে মদ্যপানের অভ্যাস। অত্যাধিক হারে মদ্যপান করলে চোখের ওপর তার প্রভাব পড়তে শুরু করে। দীর্ঘদিনের অভ্যাসে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হয়েও পড়তে পারে। চোখের খেয়াল রাখতে মদ্যপানে রাশ টানা জরুরি।
অনেকে কুকুর, বিড়াল, পাখি, খরগোশ সহ নানা ধরনের পোষা প্রাণীরাখতে পছন্দ করে। বাড়িতে পশুপাখি লালন পালন করা একটি নৈতিক এবং মানবিক দায়িত্ব। অনেকে প্রাণীপোষ মানানোকে বাড়তি ঝামেলা মনে করেন। তবে পোষা প্রাণীবৈজ্ঞানিকভাবে মানুষের জীবনে নানারকম ইতিবাচক প্রভাবও ফেলতে পারে। এমনকি শিশুদের মধ্যেও অনেক ভালো অভ্যাস গড়ে উঠতে সাহায্য করে।
পৃথিবী যতটা মানুষের ঠিক ততটাই অন্যান্য জীবজন্তুরও। মানুষ উন্নত প্রাণী হওয়ায় অন্যান্য পশুর তুলনায় মানুষ বেশি যত্নশীল হতে পারে। পোষা প্রাণী এবং মালিকের মধ্যে যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে, তা ব্যক্তি জীবনে ভালোবাসা, বিশ্বাস, সহানুভূতি এবং বোঝাপড়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্বভাব তৈরি করতে সাহায্য করে।
ভারতীয় প্রাণীখাদ্য প্রতিষ্ঠান কার্নিওয়েলের প্রতিষ্ঠাতা জে.এস. রমাকৃষ্ণ পশুপাখি পালনের উপকারিতা নিয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন,‘শিশুরা যখন বাড়িতে পালিত পশু সঙ্গে বেড়ে ওঠে, তখন তাদের মদ্যে সহানুভূতির আধিক্য দেখা যায়। এমনকি শিশুদের মধ্যে দায়িত্ববোধও বাড়তি থাকে। আমরা কার্নিওয়েল আপনার পশু এবং পরিবারের মধ্যে মজবুত স্নেহের বন্ধন তৈরিতে বিশ্বাসী।’
একটি সাক্ষাৎকারে শিশুদের পরিবারে গৃহপালিত পশু থাকার বেশ কিছু প্রভাবশালী দিকও তুলে ধরেছেন তিনি। যেমন-
১. মানসিক চাপ: ঘরে একটি পালিত প্রাণী থাকলে শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শেখানো অনেক সহজ হয়ে যায়। বিশেষ করে যখন শিশুরা উদ্বেগ বা মানসিক অস্থিরতায় ভোগে। এছাড়া তাদের মধ্যে সহানুভূতি এবং অন্যের প্রয়োজনে নিজের পছন্দের সঙ্গে আপস করাও শেখায়। সামাজিকতা শেখানোর পাশাপাশি শিশুদের স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পরে। যেমন, শিশুরা পোষা প্রাণির সাথে খেললে অক্সিটোসিন নিঃসরণ হয় এবং কর্টিসলও কমে। এই প্রক্রিয়া শুধু ছোটদের নয়, বড়দের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
২. চঞ্চলতা: সাধারণত পোষ্যদের সঙ্গে সময় কাটানো শিশুরা শারীরিক কার্যক্রমেও বেশি সময় কাটায়। তাদের সাথে খেলাধুলা বা হাঁটাহাটি বেশিকরা হয় বলে শিশেুদের এরকম শরীরচর্চার মতো কাজ হয়। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে আর হৃদয়ও ভালো থাকে।
৩. যোগাযোগ: পোষ্য প্রাণীর সাথে সময় কাটানো শিশুরা একা বেড়ে ওঠা শিশুদের তুলনায় বেশি সামাজিকতা বজায় রাখতে পারে। প্রাণী পালনের ফলে শিশুদের মধ্যে যত্নশীল এবং সহানুভূতির স্বভাব গড়ে ওঠে। যেহেতু পশুরা কথা বলতে পারে না, তাই তাদের অনুভূতি বুঝে নিতে হয়। এই কারণে শিশুদের মধ্যে অপ্রকাশিত অনুভূতিও আয়ত্তে আনার এক প্রকার দক্ষতা লক্ষ্য করা যায়।
৪. এলার্জির সম্ভাবনা: পালিত পশু-পাখিতে শিশুদের এলার্জির সমস্যা হওয়ার ধারণা একেবারেই ভিত্তিহীন। বরং এর বিপরীতে পশুসঙ্গে তাদের অ্যালার্জি আর অ্যাজমার মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কমে। গবেষণায় জানা যায়, পশুদের সংস্পর্শে থাকার শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৫. সমস্যা সমাধানের দক্ষতা: পোষা প্রাণীর সাথে মিথস্ক্রিয়া শিশুদের জ্ঞানের বিকাশকে উদ্দীপিত করে। পশু প্রাণিদের আবেগ ভাষায় প্রকাশ করতে না পারাই শিশুদের এই দক্ষতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শিশুদের বেশি চিন্তা করে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এবং মানসিক বুদ্ধিমত্তাকে উন্নত করে।
৬.ব্যক্তিত্বের উন্নতি: শিশুকে যখন পোস্যের যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়, যেমন- খাওয়ানো, গোসল করানো, পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে রাখা, ট্রেনিং করানো তখন তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ স্থাপিত হওয়ার কারণে এক ধরনের আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়।
প্রকৃতিতে এসে গেছে ফ্যাশন প্রেমীদের পছন্দের ঋতু শীত। শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে ফ্যাশন সচেতন মানুষের মধ্যেও শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। আর তাই সবার জন্য শীতের হিম বাতাসে ফ্যাশন এবং উষ্ণতার মিশ্রণে বাহারি শীতের পোশাক নিয়ে এসেছে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’।
বরাবরের মতো এবারও দেশের অন্যতম জনপ্রিয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ লাইফস্টাইলে নিয়ে এসেছে সাশ্রয়ী মূল্যে শতাধিক ডিজাইনের নতুন শীতকালীন পোশাকসামগ্রী। ‘সারা’র শীতকালীন কালেকশনে এবারের থিম-অভিযান। বৈচিত্র্যময় এসব পোশাক হালের ট্রেন্ডি ফ্যাশন ও স্বাচ্ছন্দ্যের সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হয়েছে। উষ্ণ ও আরামদায়কে কাপড়ের সঙ্গে কালো, নেভি ব্লু, লাল, মেরুন, ধূসর ও বাদামি রঙের সমন্বয়ে ডিজাইন করা হয়েছে এবারের সারা’র শীতকালীন আয়োজন। সিনথেটিক, ব্লেন্ডেড, টেনসিল, সুতি ও ডেনিম কাপড়ের তৈরি শীতের পোশাকগুলো দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি পরতেও বেশ আরামদায়ক।
‘সারা’ লাইফস্টাইলের শীতকালীন পোশাকের এই সংগ্রহে থাকছে সব বয়সী ক্রেতাদের জন্য পোশাক। প্রাপ্ত বয়স্কদের পাশাপাশি সারা’তে আছে শিশুদের জন্যও বিশেষ কালেকশন। প্রায় শতাধিক কালার এবং ডিজাইনের ভিন্নতা থাকছে এই শীতকালীন পোশাকের আয়োজনে। শীতকালীন পোশাকের এই আয়োজনে হালকা এবং ভারী শীতে পরার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক সারা’র সব আউটলেটসহ ই-কমার্সেও পাওয়া যাবে।
উষ্ণতা, ফ্যাশন, গুণগত মান এবং সাশ্রয়ী মূল্যের চমৎকার সমন্বয়ে ‘সারা’র শীত আয়োজনে পুরুষদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, স্যুট সেট, ফুল স্লিভস টি-শার্ট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, জগার্স ও শাল। একইসঙ্গে নারীদের জন্য ‘সারা’ এবার নিয়ে এসেছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম কুর্তি, ডেনিম টপস, শাল ও হুডি টি শার্ট। এছাড়াও ‘সারা’র রেগুলার ডিজাইনের পোশাক তো থাকছেই।
শীত এলেই শিশুদের প্রতি বাড়তি যত্ন, অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। আর তাই ‘সারা’ লাইফস্টাইল শিশুদের জন্য নিয়ে এসেছে আরামদায়ক সব শীতকালীন পোশাকের সংগ্রহ। ছেলে শিশুদের জন্য ‘সারা’ এবার নিয়ে এসেছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ডেনিম জ্যাকেট, ডেনিম শার্ট, ডেনিম প্যান্ট, চিনো প্যান্ট, শার্ট-প্যান্ট সেট ও ফুল স্লিভস টি-শার্ট। একইসঙ্গে মেয়ে শিশুদের জন্য রয়েছে বাহারি ডিজাইনের জ্যাকেট, ফুল স্লিভস টি শার্ট, ডেনিম টপস ও ডেনিম কুর্তি।
‘সারা’ বরাবরই শীত আয়োজনে ক্রেতাদের পছন্দের কথা বিবেচনা করে অনাড়ম্বর ডিজাইনের জ্যাকেট বানিয়ে থাকে। ‘সারা’র চমৎকার সব স্টাইলিশ পোশাক হতে পারে আপনার এ সময়ের সঙ্গী। ‘সারা’ লাইফস্টাইলের বাহারি সব শীতের পোশাক মাত্র ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন ক্রেতারা।
আরামদায়ক ফেব্রিক, মানসম্পন্ন এক্সেসরিজ এবং ট্রেন্ডি ডিজাইনের জ্যাকেটগুলো আপনাকে যেমন উষ্ণতা দেবে, তেমনি আপনার ফ্যাশনে যোগ করবে নতুন এক মাত্রা। আর সবসময় গ্রাহকদের স্বার্থে পোশাকের দামও সাধ্যের মধ্যে রাখার জন্য ‘সারা’র প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আউটলেটের পাশাপাশি সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট (www.saralifestyle.com), ফেসবুক পেজ (https://www.facebook.com/saralifestyle.bd) এবং ইন্সটাগ্রাম (https://www.instagram.com/saralifestyle.bd/) থেকে ক্রেতারা ঢাকার ভেতরে অর্ডার করে হোম ডেলিভারি পেতে পারেন। এছাড়া ঢাকার বাইরে সারা দেশে কুরিয়ারের মাধ্যমেও আপনার অর্ডার করা পণ্য ডেলিভারি পাবেন।
বর্তমান বিশ্বের সাধারণ কিছু কঠিন অসুস্থতাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ডায়াবেটিস। বহুমূত্র বা ডায়াবেটিস মেলাইটাস একটি দীর্ঘকালীন রোগ। রক্তে স্বাভাবিকের চেয়ে চিনি বা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ইনসুলিনের উৎপাদন বা কার্যকারিতা কমে গেলে এই রোগ হয়।
ইন্টারন্যাশনাল ডায়াবেটিস ফেডারেশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি দশজন মানুষের মধ্যে একজন ডায়াবেটিসে ভুগছেন। বর্তমানে পুরো বিশ্বে ৫৩ কোটির বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। অর্থাৎ বছরে ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, অন্ধত্ব, কিডনি ফেইলিউর, পা কেটে ফেলার মতো ইত্যাদি আরও অনেক সমস্যার কারণ হতে পারে ডায়াবেটিস।
আজ ১৪ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস দিবস। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনের মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে হয়। সবচেয়ে বেশি স্বস্তিতে থাকা যায়, যদি আক্রান্ত হওয়ার আগেই ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। গুন্ডারসেন হেলথ সিস্টেমের একটি প্রতিবেদনে এই নিয়ে কিছু টিপস শেয়ার করা হয়েছে।
১. সাদা রুটি, আলুর মতো পরিশোধিত শর্করা এবং চিনিযুক্ত খাবার, রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং রক্তে ইনসুলিনের তারতম্য ঘটায়। এর ফলে সময়ের সাথে সাথে ডায়াবেটিস সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাদ্যতালিকায় আগে থেকেই চিনিজাতীয় খাবার সীমিত করুন এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট যেমন শাকসবজি, ওটমিল এবং পুরো শস্য বেশি পরিমাণে রাখুন।
২. ধূমপান ইনসুলিনের কার্যকারিতা প্রতিহত করতে পারে। এর ফলে টাইপ-টু ডায়াবেটিস হতে পারে। তাই ধূমপানের অভ্যাস থাকলে দ্রুত ত্যাগ করুন।
৩. একবারে অনেক বেশি পরিমাণে খাবার খেলে স্বাভাবিকের তুলনায় রক্তে ইনসুলিন এবং শর্করার মাত্রার তারতম্য হতে দেখা যায়।
৪. হাঁটা, নাচ, শরীরচর্চা, সাঁতারের মতো শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে শরীরের ঘাম ঝরাতে হবে। সীমিত পরিমাণে শারীরিক পরিশ্রম করা বা একেবারেই না করা ডায়াবেটিস তৈরি হওয়ার কারণ হতে পারে।
৫. যদি আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে না চান তাহলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য মিষ্টি পানীয় পান করাও কমিয়ে ফেলতে হবে। মিষ্টি পানীয় ডায়বেটিস হওয়ার কারণ হতে পারে।
৬. তন্তুজাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেক রোগের মতো ডায়াবেটিস প্রতিরোধেও কার্যকর। তন্তু বা ফাইবারজাতীয় খাবার খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং পেট সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে, যার ফলে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও কমে যায়।
প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালন করা হয়। এই দিবসের উদ্দেশ্য সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ডায়াবেটিস হওয়া প্রতিরোধ করা এবং ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সুস্থতা নিশ্চিত করা।
নবজাতক শিশুর যত্ন অনেক বেশি জরুরি। শিশুর প্রতিপালন যেভাবে হয়, তার উপর তার সমগ্র জীবন নির্ভর করে। ছোট থেকে বড়, সব জিনিস এর সঙ্গে সম্পর্কিত। শিশুর জন্ম থেকে ৫ বছর বয়স অবধি নানারকম বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এই বাড়ন্ত বয়সে শিশুর শরীরে নানাবিধ পুষ্টি দরকার, যা আসবে বিভিন্ন ধরনের গৃহীত খাদ্য থেকে।
গর্ভাবস্থাতেই শিশুদের মধ্যে স্বাদজ্ঞান চলে আসে। গর্ভধারণের ৯ সপ্তাহ পর থেকেই অ্যামনিওটিক ফ্লুইডের কারণে মায়ের খাওয়া খাবারের স্বাদ শিশুরা পায়। মুখ এবং জিহ্বা তৈরি হতে সেই ক্ষমতা আরও তীব্র হতে থাকে। তাই জন্মের সময় প্রখর স্বাদ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে নবজাতক। সেজন্য প্রথমেই জন্মের পর মিষ্টি স্বাদের অনুভূতি এবং পুষ্টির জন্য শালদুধ খাওয়াকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
১ বছর বয়স অবধি শিশুর টেস্টবাড গঠিত হতে থাকে। যেমন:
নবজাতক থেকে ৩ মাস: এই পর্যায়ে, আপনার শিশুর স্বাদ অনুভূতি খুবই সংবেদনশীল। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুর স্বাদ অনুভব করার অভিজ্ঞতা এই বয়সে একেবারেই ভিন্ন। শুধু জিহ্বায় নয়, নবজাতক টনসিল সহ মুখের অন্যান্য জায়গায়ও স্বাদগ্রহণ করতে পারে। মিষ্টি এবং তেতো স্বাদের পার্থক্যজ্ঞান এই বয়সেই প্রখর থাকে।
৩ মাস থেকে ৬ মাস: এই বয়সে শিশুর জিহ্বা শরীরের সঙ্গে আকারে কিছুটা বাড়ে। এই বয়সে শিশুদের দেখা যায়, বিভিন্ন জিনিস মুখে দিচ্ছে। কাপড়, খেলনা বা হাতের কাছে যা পায় তাই মুখে দিতে শুরু করে। এটা আসলে একটি ভালো অভ্যাস, এভাবে তারা বুনট ও স্বাদ বোঝার চেষ্টা করে। তবে অবশ্যই শিশুর যেন কোনো ক্ষতি বা অসুবিধা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৬ মাস থেকে ১ বছর: ৭-৮ মাস বয়সেই শিশুরা নিজের হাতে খাবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। শিশুকে বিভিন্ন খাবারের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য এইসময়টাই মোক্ষম। ৬ মাস বয়সের পর শিশুকে শক্ত খাবার খাওয়ানো শুরু করা হয়। এইসময় শিশুকে সব ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হয়। প্রথমেই চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ানো যাবে না। কারণ এমনিতেই মায়ের বুকের দুধ কিছুটা মিষ্টি স্বাদের হওয়ায় নবজাতকের মিষ্টির প্রতি ঝোঁক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
শিশুকে টক, তেঁতো, হালকা আঁশজাতীয় সবরকম খাবারই খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। যত বেশি ধরনের খাবার খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলবেন শিশুর পুষ্টির ভারসাম্য তত বেশি হবে। চেষ্টা করুন ফল-সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস সবই যতটা সম্ভব তাজা খাওয়ানোর। তবে বেশি তেল মশলা বা ভারি খাবার খাওয়াবেন না। শিশুর হজম ক্ষমতা বেশি পরপক্ক না হওয়ায় অবশ্যই কোনো খাবারে শিশুর সমস্যা হচ্ছে কিনা খেয়াল রাখবেন। চেষ্টা করবেন প্রতিটা খাবার আলাদা আলাদাভাবে খাওয়াতে, এতে শিশুর কোনো খাবারে এলার্জি আছে কিনা তা যাচাই করা সহজ হয়।