হাঁটুর ব্যাথা কমবে কয়েকদিনেই! ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া উপায়

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এখনকার দিনে অনেকেই হাঁটুর ব্যাথায় ভোগেন। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এক বা একাধিক সদস্যের এই সমস্যায় ভোগার কথা শোনা যায়। বহু ডাক্তার, ওষুধের ঝক্কি পোহাতে হয় ভুক্তোভোগীদের। চিকিৎসা করে সাময়িক মুক্তি মিললেও সম্পূর্ণ আরাম পাওয়া যায় না।

তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, হাঁটুর ব্যথায় কষ্ট পাওয়ার পরও বেশিরভাগ সময়ই মানুষ তেমন কোনও সমাধানের দিকে এগোন না। আর এই কারণেই বেঁধে যায় সমস্যা। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ খেতে শুরু করে দেন শুধু পেইনকিলার। আর তা থেকে সমস্যা বাড়ে বই কমে না।

বিজ্ঞাপন

এক্ষেত্রে একটু এদিক-ওদিক হলেই আবার মাথাচাড়া দেয় ব্যাথা। ব্যাহত হয় স্বাভাবিক জীবনযাপন। রাস্তাঘাটে বের হতে বা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করতে হয় সমস্যা। দৈনন্দিন জীবনে ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন আনলেই হাঁটুর ব্যাথা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ব্যাথার সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব না হলেও কমতে পারে ব্যাথার মাত্রা। ব্যাথা না হলেও মেনে চলতে পারেন এই নিয়মগুলো। রোগ হওয়ার আগেই সাবধান হওয়া ভাল। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে।

এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক এই সমস্যা কী ভাবে ঘরোয়া উপায়েই (Knee Pain Home Remedies) কাটিয়ে নেওয়া যায়-

বিজ্ঞাপন

হলুদ দুধ

হলুদ দুধ এই ব্যাথা দূর করার অন্যতম ভালো হাতিয়ার হয়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে এই দুই খাদ্যের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান ব্যাথা কমাতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে রাতের বেলায় এই দুধ খেয়ে শুয়ে পড়তে পারলেই সমস্যা দূর করে ফেলা সম্ভব হবে। তাই চিন্তার কোনও কারণে নেই।


মেথি

হাঁটুর ব্যাথার ক্ষেত্রে মেথি দারুণ কার্যকরী । এক্ষেত্রে মেথি সাধারণ ব্যাথার ওষুধের মতো কার্যকরী হতে পারে। অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে এই খাবারে। এবার আপনি মেথি গুঁড়ো করে নিন। তারপর তার পাউডার তৈরি করে গরম পানিতে মিশিয়ে নিন এক চামচ। তারপর খান। এভাবেই সমস্যা কমবে।

তুলসীর রস
তুলসীর গুণের শেষ নেই। এক্ষেত্রে এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ। এবার এই সব মিলিয়ে তুলসী হতে পারে আপনার হাতের কাছে থাকা অন্যতম সেরা হাতিয়ার। হাঁটুর ব্যাথার ক্ষেত্রেও এটা দারুণ কার্যকরী। এক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ তুলসীর রস ফেলে দিন। তারপর তা খেয়ে নিন। দেখবেন সমস্যা কমেছে।