কেমন হবে সঙ্গীর প্রতি আচরণ?
আপনার জীবনসঙ্গীর স্বপ্ন পুরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়ানো থেকে শুরু করে তাদের অনুভূতির অপব্যবহার করা- আপনাকে একজন খারাপ সঙ্গী হিসেবে প্রমাণ করে। আপনি হতে পারেন আপনার সঙ্গীর মানসিক অশান্তির কারণ। যার প্রভাব পড়তে পারে তার পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনেও।
ভারতীয় থেরাপিস্ট সাদাফ সিদ্দিকি বলেছেন, “সঙ্গীকে অনবরত দোষারোপ করতে থাকার অভ্যাস সম্পর্ককে প্রকটভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে। এটি আপনার সঙ্গীর আত্মবিশ্বাসে বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে। দম্পতি বা প্রেমীদের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি সম্পর্কের গভীরতাও কমতে থাকে।”
তাই একজন ভালো, প্রণয়ী এবং জীবনসঙ্গী হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলুন। আপনার ভালোবাসার মানুষের প্রতি আরও সহজ ও সুন্দর হয়ে উঠুন।
সেজন্য যা করণীয়-
১. আপনার সঙ্গী তার কোনো স্বপ্ন, শখ বা ইচ্ছা অথবা অন্য যেকোনো কিছু নিয়ে উৎসাহী থাকতে পারে। সে বিষয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বা আগ্রহ নাও থাকতে পারে। তবুও তার সাথে কথোপকথন করুন, তার আগ্রহ সম্পর্কে শুনুন। আরও ভালো করার জন্য তাকে উৎসাহ দিন। এতে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
২. অপর মানুষটার ব্যবহারের জন্য কখনো দোষারোপ করবেন না। এটিকে তার দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করবেন না। এমন করলে আপনাদের সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করবে।
৩. চিৎকার চেচামেচি অথবা দৃষ্টিকটু অঙ্গভঙ্গি করে কথা বলা বর্জন করুন। চোখ রাঙিয়ে বা কড়া স্বরে কথা বলা এবং আক্রমণাত্মক ভঙ্গিমা আপনার সঙ্গীর মনোঃকষ্ট সৃষ্টি করে।
৪. তার অতীত সম্পর্কিত ঘটনাকে বার বার বর্তমানে টেনে নিয়ে আসা অহেতুক। আপনার পার্টনারকে ভুল থেকে শেখার সুযোগ দিন। তার বর্তমানে নেওয়া সিদ্ধান্তকে অগ্রাধিকার দিন।
৫. তার পরিবার বা কাছের বন্ধুদের সামনে তার দুর্বলতা এবং অনিরাপত্তাগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন না। বিশেষ করে যাদের সাথে সে এসব ব্যাপারে কথা বলতে অস্বস্তি বোধ করে।
তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস্