আয়ু কেড়ে নিচ্ছে এই খাবারগুলো
শারীরিক সুস্থতার অনেকটাই নির্ভর করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের উপরে। শুধুই শারীরিক সুস্থতা নয়, আয়ুর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিও নির্ভর করে খাদ্যাভাস ও খাদ্য উপাদানের উপর। একদিকে যেমন প্রাকৃতিক খাবার দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার রসদ, অন্যদিকে ক্ষতিকর বেশ কিছু খাবার অসুস্থতা তৈরি ও আয়ুর সীমা কমিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। এমন বেশ কয়েকটি ক্ষতিকর খাবারের নাম জেনে রাখুন।
আর্টিফিশিয়াল সুইটনার
গবেষকেরা সঠিকভাবে জানাতে পারেনি কৃত্তিম চিনি গ্রহণ মৃত্যুর ঝুঁকি কতটা বাড়িয়ে দেয়। তবে ট্রেন্ড ইন এন্ডোক্রিনোলোজি এন্ড মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা থেকে জানা যায় যে- কৃত্তিম চিনি গ্রহণে ওবেসিটি, ডায়বেটিস ও হৃদরোগ দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। এমনকি স্ট্রোক ও ডিমেনশিয়ার ঝুঁকিও দেখা দেয় কৃত্তিম চিনি গ্রহণের ফলে।
বাড়তি লবণযুক্ত খাবার
সুস্থভাব দীর্ঘদিন বেঁচে থাকতে চাইলে খাদ্যাভাস থেকে সোডিয়ামের মাত্রা যথাসম্ভব কমিয়ে ফেলতে হবে। খাবারে স্বাদ আনতে লবণ ব্যবহৃত হবেই। কিন্তু বাড়তি লবণ মানেই বিপত্তি। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণে হৃদরোগের সম্ভবনা, স্ট্রোক ও স্টমাক ক্যান্সারের সম্ভবনা তৈরি করে। এমনকি সেলুলার এইজিং প্রসেসের মাত্রাও বৃদ্ধি করে দেয়।
কোমল পানীয়
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সাম্প্রতিক সময়ে তাদের একটি গবেষণা থেকে জানান, দ্রুত মৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ অধিক চিনিযুক্ত কোমল পানীয় পান। ২৪ আউন্স পরিমাণ কোমল পানীয় পানের ফলে একজন প্রাপ্ত বয়স্কের হৃদরোগজনিত কারণে মৃত্যুর সম্ভবনা অন্যান্যদের চাইতে বেড়ে যায় দ্বিগুণ।
এছাড়াও সেলুলার এইজিং এর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে দেয় বলে, সঠিক বয়সের আগেই বয়স বেড়ে যায় অনেকটা।
প্রসেসড জাংক ফুড
ম্যানুফ্যাকচার ক্যান, ফ্রিজ, প্যাকেটজাত ও আগে থেকে তৈরি করে রাখা খাবারগুলোই হলো প্রসেসড খাবার। যেকোন ধরণের চিপস, স্যানক্স, মিষ্টি, ক্যান্ডি এই ক্যাটাগরিতে পড়বে। বিজনেস ইনসাইডারে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যায়, গবেষকেরা প্রায় ১০০,০০০ জন প্রাপ্ত বয়স্কের উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, এমন ধরণের প্রসেসড খাবার গ্রহণের ফলে ক্যান্সার দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বেড়ে যায় প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জানায়, স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ট্রান্স ফ্যাট শরীরের কোষে জমে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট তৈরি করে। যা খুব সহজেই হৃদরোগ তৈরি করার পাশাপাশি স্ট্রোকের ঝুঁকি এনে দেয়। রেড মিট থেকে সবচেয়ে বেশি ট্রান্স ফ্যাট পাওয়া যায় বলে, বিশেষজ্ঞরা রেড মিট থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
আরো পড়ুন: যে চার কারণে ফাস্ট ফুডকে ‘না’
আরো পড়ুন: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস কঠিন কিছু নয়!