সুস্বাস্থ্য রক্ষা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে ব্যায়ামের বিকল্প কী?
![ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2023/Dec/09/1702094333054.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
বয়স বাড়ার সাথে সাথে সাধারণত সবার ওজন বাড়তে শুরু করে। অতিরিক্ত ওজন সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সবসময়ই একটি বড় বাধা। তাই সবাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা ভাবতেই প্রথমে সবার ভাবনায় আসে ব্যায়াম। কিন্তু সবসময় ব্যায়াম করা সবার জন্য সম্ভব হয়না। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ও দুর্বলতার কারণে ব্যায়ামের বিকল্প পথ খুঁজতে হয়। সৌভাগ্যবশত এমন কিছু কার্যকর পন্থা আছে যার মাধ্যমে শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই ওজন কমানো সম্ভব। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-
১.খাদ্যতালিকার পরিবর্তন ওজন কমানোর জন্য ব্যায়ামের এক প্রাথমিক বিকল্প। এতে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করে ওজনের উপর কার্যকরভাবে প্রভাব ফেলা যায়। সুচিন্তিত খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর কম ক্যালোরির খাবার বেছে নিতে হবে। যেমন-ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং শস্যজাতীয় খাবার। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত পানীয় পান করা এড়ানো ভালো।
২.ওজনহ্রাস পদ্ধতির আরেকটি জনপ্রিয় বিকল্প হল সবিরাম উপবাস। অর্থাৎ, সারাদিনে অল্প কয়েক ঘন্টায় অনেকখানি খাবার খাওয়া। আর বাকি লম্বা সময়টুকুতে খাদ্যবিরতি নেওয়া। এই পদ্ধতি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নামে বেশি পরিচিত। এর মধ্যে ১৬/৮পদ্ধতি (১৬ ঘন্টা উপবাস, ৮ ঘন্টা খাওয়া) এখন তরুণদের মধ্যে এখন জনপ্রিয়। এতে বিপাকের সাথে জড়িত হরমোনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৩.আচরণগত ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলোও ওজন ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন, পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে অবদান রাখতে পারে। এসব ছোট অভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষুধা হ্রাসে প্রভাব ফেলে।
৪.প্রতিদিনের শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করেও ওজন কমানো যায়। যেমন এলিভেটরের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, বসার পরিবর্তে দাঁড়িয়ে থাকা, গৃহস্থালির কাজ করা ইত্যাদি। সারাদিন এই ছোট কাজগুলো করলে ব্যায়াম ছাড়াই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।
৫.অনেকে চিকিৎসা গৃহণ করছেন এবং শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যায়াম করতে পারছেন না। তাদের জন্য বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ওজন কমানোর জন্য ওষুধ বা ব্যারিয়াট্রিক সার্জারির মতো কিছু চিকিঃসা পদ্ধতি রয়েছে। তবে অবশ্যই পেশাদার চিকিৎসকের নির্দেশ এবং তত্ত্বাবধান এই পদ্ধতি বিবেচনা করতে হবে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া