১০ বছর বয়সেই শিশুদের যা শেখা উচিত

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভিত্তি যত মজবুত করে গড়া হবে, ঘর তত শক্তপোক্ত হবে। তেমনভাবেই শিশু ছোটবেলায় ভালো শিক্ষা পেলে, বড় হয়ে একজন ভালো মানুষে পরিণত হবে। শিশুর জীবনকে সুন্দর করে তুলতে ছোট থেকেই কিছু ভালো অভ্যাস গড়ে তুলুন। যেমন-

১.পরিচ্ছন্নতা: শুধু নিজের খেলনা জায়গায় রেখে দেওয়া শেখানোই যথেষ্ট নয়। শিশুকে নিজের কাপড় ও বাসন পরিষ্কার করা শেখান। পাশাপাশি নিজের ঘর ঝাড় দেওয়া শেখাতে হবে। এতে শিশু ছোট থেকেই সাবলম্বী হতে শিখবে।

বিজ্ঞাপন

২.পথ চিনে রাখা: এখন পথ চেনার জন্য জিপিএসের ব্যবহার করা হয়। তবে শিশুদের প্রযুক্তির উপর ছোট থেকেই নির্ভরশীল করা উচিত নয়। শহরের বিভিন্ন ল্যান্ডমার্কের মাধ্যমে শিশুকে পথ চেনা শেখান। বিশেষ করে বাড়ি ও স্কুলে যাওয়ার পথগুলো।  

৩.সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা: শিশুকে ছোট থেকেই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান। অল্প কিছু শারীরিক কার্যক্রমের অভ্যাস করান। যেমন, পরিবারের সকলে মিলে হাটতে যেতে পারেন। শিশুকে সবসময় সতেজ ফল ও সবজি খাবার খাওয়াবেন।

বিজ্ঞাপন

৪.যন্ত্রপাতির পরিচয়: দৈনন্দিন কাজে ব্যবহার হয় এমন কিছু যন্ত্রপাতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিন। যেমন: স্কু-ড্রাইভার, হাতুড়ি ইত্যাদি। ছোট থেকেই এসব সাবধানে ব্যবহার করতে শেখা উচিত।  

৫.খাবার তৈরি: বেঁচে থাকা জন্য সহজ কিছু খাবার তৈরি করা শিখিয়ে রাখতে পারেন। যেন তাৎক্ষণিক পরিস্থিতিতে শিশুকে অভুক্ত থাকতে না হয়।

৬.অর্থ: শিশুকে ছোট থেকেই টাকা পয়সা খরচ করার পদ্ধতি শেখান। পরিকল্পনা অনুযায়ী খরচ করা উচিত। যেন সীমিত অর্থেও গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ সম্পাদন করায় শিশু দক্ষ হয়।

৭.শিষ্টাচার: ছোট থেকেই শিষ্টাচার না শেখালে, শিশুরা বাজে আচরণ আয়ত্ত করে ফেলে। ‘অনুগ্রহ করে’, ‘দুঃখিত’, ‘ধন্যবাদ’ ইত্যাদি শব্দের ব্যবহার ছোট থেকেই শেখাবেন। এছাড়াও বড়দের সমীহ কথা বলা একটি বড় গুণ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ও উৎসাহ প্রদান-এসবের চর্চাই ছোট থেকে করা উচিত।

তথ্যসূত্র: সানশাইন হাউস