নারীরা ওজন কমাতে হলে এই ৬টি খাবার খান

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন কমাতে সাহায্য করবে এসব খাবার

ওজন কমাতে সাহায্য করবে এসব খাবার

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে একেক জনের অভিজ্ঞতা একেক রকম হয়। তবে সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পর, নারীদের ওজন কমাতে কাঠ-খর পোড়াতে হয়। কারণ এই বয়সে স্বাস্থ্যে শুধু ক্যালরির পরিমাণ নয়, খাদ্যের গুণমানের প্রভাবও পড়ে। তাই, ব্যায়ামের পাশাপাশি খাদ্যের নিয়ন্ত্রণ ও সুব্যবস্থা করতে হয়।

একাধিক বিবৃতি থেকে জানা যায়, উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। তাই ওজন কমাতে আগ্রহী নারীদের এধরণের খাবার খাওয়া উচিত। এরা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। যার ফলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগ প্রতিরোধে অবদান রাখে এবং প্রদাহ দূর করে।  

বিজ্ঞাপন

১. বেরি: ফল হিসেবে বেরি খুব সুস্বাদু হয়। শুধু তাই নয়, ওজন কমানোর যাত্রায় এরা সঙ্গ দেয়। এতে ফ্লাভোনয়েডস নামের এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এই ফল খেলে ইনফ্লেমেশন  নিয়ন্ত্রণ করা এবং মেটাবলিজমের মাত্রা বাড়ানো সম্ভব।  ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি- এগুলো রঙিন হওয়ায় পুষ্টিতে পরিপূর্ণ।   

২. বাদাম: স্বাস্থ্যকর খাবারের তালকায় বাদাম সবসময় থাকে। এরা শরীরে গুড কোলেস্টেরল(উপকারী স্নেহ) এবং ক্যালোরি প্রদান করে। এরা ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাই ওজন কমাতে এরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিজ্ঞাপন

৩. সবজির নির্যাস: তাজা সবজিতে উন্নত ফাইবার এবং উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই সবজির জুস খেলে অনেকক্ষণ অবধি পেট ভরা থাকে। ওজন কমানোর যাত্রায় সবচেয়ে বড় বাঁধা, ক্ষুধা। ফাইবার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

৪. গ্রিণটি: ক্যাফেইনজাতীয় পানীয় ত্যাগ করে প্রতিদিন গ্রিণ-টি সেবন করুন। ক্যাটেচিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অনেক ভালো উৎস গ্রিণটি। দুপুর বা রাতে ভারী খাবারের পর গরম পানিতে গ্রিণ-টি বানিয়ে খেতে পারেন। এতে চর্বি কমবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।   

৫. শিম ও মটরশুটি জাতীয় খাবার: এইসব খাবার স্বাস্থ্যকর উপকরণে পরিপূর্ণ। এতে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। শিমের ক্যাম্ফেরল ক্যান্সার এবং প্রদাহকারী রোগ থেকে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা দেয়। এছাড়া মটরশুটি অন্ত্রের কার্যক্রমকে সচল রাখে, হজমেও সহায়তা করে। এসব কাজকেও ওজন কমাতে কার্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।     

৬. ব্ল্যাকটি: গ্রিণটি এবং ব্ল্যাকটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে ব্ল্যাকটি অক্সিডেশন প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখে। খাওয়ার পর হজমে সাহায্য করতে পারে ব্ল্যাকটি। যা সমগ্র হজমপ্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে তোলে।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া.কম