সুস্থ থাকবে স্পর্শকাতর ত্বক
যাদের ত্বকের ধরণ স্পর্শকাতর (Sensitive) হয়ে থাকে, ত্বক সংক্রান্ত যেকোন বিষয়েই তাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
আবহাওয়ার সামান্যতম পরিবর্তন কিংবা প্রতিদিনের রুটিনের একটুও হেরফের হলেই বিভিন্ন ধরণের ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু করে। এমনকি মেকআপ পণ্যের ব্যবহার ও মেডিকেশনের প্রভাবেও এমনটা হতে পারে।
ত্বকের সমস্যার মাঝে ইনফ্ল্যামেশন, ইরিটেশন র্যাশ, লালচে ভাব, শুষ্কভাব ও ঘনঘন ব্রণের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়ে থাকে। বেশ কিছু চর্ম বিশেষজ্ঞ এটাও দাবী করেন যে, স্বাভাবিক ত্বকের চাইতে স্পর্শকাতর ত্বক তুলনামূলক বেশ পাতলাও হয়ে থাকে।। ফলে খুব সহজেই স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষতি হবার সম্ভবনা থাকে।
ত্বকের প্রতি যত্নশীল হওয়া প্রয়োজন সকলের। তবে স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে যত্নের সঙ্গে যোগ করতে হবে বাড়তি সচেতনতা।
১. ত্বকের জন্য আর্দ্রতা আবশ্যিক। তবে স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে কোনভাবেই ত্বকে আর্দ্রতার অভাব তৈরি করা যাবে না। সেক্ষেত্রে ত্বকে খুব দ্রুত শুষ্ক ও টানভাব তৈরি হবে এবং জ্বালাপোড়া শুরু হবে। তাই চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ গ্লাস পরিমাণ পানি পানের জন্য। এতে করে ত্বক ভেতর থেকে আর্দ্র থাকবে এবং ত্বকের pH এর মাত্রা সঠিক থাকবে। একইসাথে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের কথাও মাথায় রাখতে হবে। শুধু পানি পান কখনোই ত্বকের আর্দ্রতার জন্য যথেষ্ট নয়।
২. ত্বকে যেকোন ধরণের পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে চর্ম বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। স্বাভাবিক ত্বকের ক্ষেত্রে ত্বকের ধরণ বুঝে পণ্য ব্যবহার করলেই হয়। কিন্তু স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে সেটা অনুধাবন করা কঠিন। ব্যবহৃত পণ্যের যেকোন একটি উপাদান থেকেই অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন দেখা দিতে পারে। এটাই মূলত স্পর্শকাতর ত্বকের ধরণ। তাই ঝুঁকি না নিয়ে ত্বকের জন্য ব্যবহৃত পণ্যের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
৩. অনেকেই একই ফেসপাউডার কিংবা কনসিলার পাঁচ-ছয় বছর পর্যন্ত ব্যবহার করেন। স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এমনটা একেবারেই করা যাবে না। নয়তো ত্বকে প্রদাহ থেকে লালচে ও জ্বালাপোড়াভাব দেখা দিবে। এমনকি মেকআপ পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও মেয়াদ দেখে কিনতে হবে।
৪. অন্যের ব্যবহৃত প্রসাধনী ও মেকআপ কিট তথা- ব্রাশ, বিউটি ব্লেন্ডার, পাফ প্রভৃতি ব্যবহার করা যাবে না। সাধারণত সবার ক্ষেত্রেই এই নিয়মটি প্রযোজ্য। তবে অনেকেই এই নিয়মের তোয়াক্কা না করে একজনের ব্যবহৃত পণ্য অনেকে ব্যবহার করেন। এতে করে স্বাভাবিক ত্বকের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঘটনা খুব একটা দেখা না গেলেও, স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে বড় ধরণের সমস্যা তৈরি হবার সম্ভবনা থাকে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখবে পাঁচ নিয়ম
আরও পড়ুন: ত্বকের পরিচর্যায় প্রয়োজন সরিষার তেল