ত্বক সুন্দর করতে গ্লাইকোলিক এসিড
স্কিনকেয়ার পণ্যগুলোতে ব্যবহৃত জনপ্রিয় উপাদানের একটি হলো গ্লাইকোলিক এসিড। কারণ এই এসিড অসংখ্য উপকারিতা সম্পন্ন। গ্লাইকোলিক এসিড সংগ্রহ করা হয় আখ থেকে। ‘আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড’ বা এএইচএ-এর এক্সফোলিয়েটিং বৈশিষ্ট্যের জন্য এটি বেশ পরিচিত। ডাক্তার নাজনীন হোলিয়া জানিয়েছেন যেভাবে গ্লাইকোলিক এসিড ত্বকের উপকার করে-
১. গ্লাইকোলিক এসিড ত্বকের উপরিভাগ থেকে মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক মসৃণ হয়। এছাড়াও ত্বকের আবরণ সরে যাওয়ায় ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।
২. এই উপাদান ব্রন এর চিকিৎসা করতে পারে। ত্বক এক্সফোলিয়েট করতে এবং ত্বকের কূপগুলো পরিষ্কার করতে পারে গ্লাইকোলিক এসিড। এই কারণে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে। এতে ব্রনের প্রাদুর্ভাব কমে। তার সাথে চেহারার দাগ দূর করে উন্নত ত্বক লাভ করতেও সাহায্য করতে পারে।
৩. নিয়মিত এই এসিডের ব্যবহার কোলাজেন উৎপাদনকে প্রভাবিত করে। এতে ত্বকের সূক্ষ্ম দাগ এবং বলিরেখা কমবে।
৪. গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ত্বকের কোষের ক্ষতিপূরণ করাকে ত্বরান্বিত করে। চেহারার কালো দাগ, বয়সের দাগ এবং মেলাজমাকে কমাতে সাহায্য করতে পারে।
৫. ত্বকের কোষের বিন্যাসে উন্নত করতে সাহায্য করে। লোমকূপ ও ত্বকের পোরগুলো বড় হয়ে গেলে তার আকার ছোট করতে সাহায্য করে গ্লাইকোলিক। ফলে ত্বক নরম এবং মসৃণ হয়ে ওঠে।
৬. মৃত ত্বকের কোষের বাইরের স্তর সরিয়ে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড ত্বকে সৃষ্টি হওয়া পাতলা আবরণ সরিয়ে দেয়। তাই, ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা বেড়ে যায়। ফলে ত্বক আরও হাইড্রেটেড হয়।
৭. গ্লাইকোলিক ত্বকের গভীরে যাওয়ার বাধা অপসারণ করতে সাহায্য করে। ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা উপাদানগুলো সহজে প্রবেশ করতে পারে। তাই গভীর অবধি পুষ্টি প্রদান করতে পারে। তাই ত্বকের প্রতি এদের কার্যকর প্রতিক্রিয়া বেড়ে যায়।
তথ্যসূত্র: নিউজ১৮