মেনোপজ এবং পেরিমেনোপজের সময় সুস্থতা নিশ্চিত করবেন যেভাবে

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মেনোপজ এবং পেরিমেনোপজের সময়কাল

মেনোপজ এবং পেরিমেনোপজের সময়কাল

নারীদের জীবনব্যাপী পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে হয়। কয়েক ধাপে নারীদের শরীর পরিবর্তিত হয়। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধাপও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো মেনোপোজ। বয়ঃসন্ধিকাল থেকে নারীদের ঋতুস্রাব হয়। প্রতি মাসেই এই চক্র শুরু হয়। তবে, এই প্রক্রিয়া আমৃত্যুকাল পর্যন্ত ঘটে না। সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সে নারীদের ঋতুস্রাব চক্র বন্ধ হয়। টানা এক বছরের বেশি ঋতুস্রাব বন্ধ থাকলে সেই সময় টাকে মেনোপজ বলে। মনোপোজে যাওয়ার পূর্ববর্তী প্রক্রিয়াকে বলে পেরিমেনোপজ।   

স্বাভাবিক ভাবেই শরীরের একটি বিশেষ পরিবর্তনের সময় এই পেরিমেনোপজ এবং মেনোপজ। এই সময় শারীরিক বা মানসিক বা উভয় ধরনেরই নানারকম চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। যার সম্মুকীনন হওয়া কারো কারো জন্য কঠিন হতে পারে। সেই পরিবর্তনশীল সময়ের মধ্যে কাজ এবং জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। সেই জন্য ইচ্ছাশক্তির সাহায্যে প্রচেষ্টা করতে হয় এবং নিজেকেই সমর্থন করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

ডাক্তার তেজল কানওয়ার একজন ভারতীয় ঋতুস্রাব স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থাপক গাইনোকোলজিস্ট। তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে, মেনোপজ এবং পেরিমেনোপজের সময় শরীরে নানারকম অস্বস্তিজনিত উপসর্গ নজরে পড়তে পারে।  যেমন- বেশি গরম অনুভব করা, মেজাজ পরিবর্তন, ঘুমে ব্যাঘাত, হাড়ের সমস্যা, ওজন বৃদ্ধি, যোনিপথে শুষ্কতা অনুভব করা, ক্লান্তি, স্মৃতিলোপ পাওয়ার সমস্যা এবং অনিয়মিত পিরিয়ড। এই লক্ষণগুলো যেকোনো কারো স্বাভাবিক জীবন এবং সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ডাক্তার মিনি সালুনখে জানান, বিভিন্ন পদ্ধতির মধ্যে এরকম পরিবর্তন সত্ত্বেও সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখা সম্ভব। সুষম খাদ্য, ব্যায়াম, এবং মানসিক সুস্থতার অনুশীলন- এই অভ্যাসগুলো সামগ্রিক স্বাস্থ্যসুরক্ষায় অবদান রাখতে পারে।

উভয় চিকিৎসকই মেনোপজের সময় কাজ এবং জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাকে গুরুত্ব দিয়েছেন-

শারীরিক ক্রিয়াকলাপ: নিয়মিত ব্যায়াম সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।

সুষম খাদ্য: হাড়ের সুরক্ষার জন্য ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন।

চিকিৎসা: চিকিৎসা গ্রহণ করার সময়ে হরমোন থেরাপি নেওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন।

ঘুম: একটি ঘুমানোর রুটিন তৈরি করুন। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম পূরণ করাকে অগ্রাধিকার দিন।

আর্দ্রতা: গরমে অস্থির হওয়ার লক্ষণ উপশম করতে প্রচুর পানি পান করুন এবং হাইড্রেটেড থাকুন।

যোনি স্বাস্থ্য: যোনি শুষ্কতার সমস্যা এড়াতে পানিসমৃদ্ধ লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস