ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল খাওয়ার প্রতিক্রিয়া

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ড্রাই ফ্রুটস / ছবি: বিং এআই

ড্রাই ফ্রুটস / ছবি: বিং এআই

কাঠ বাদাম, কাজু বাদাম, চিনা বাদাম, পেস্তা বাদাম, কিশমিশ, খেজুর, আখরোট- এসব খাবার মূলত ‘ড্রাই ফ্রুটস’ নামে পরিচিত। মূলত নানারকম ফল টুকরো করে কেটে রোদে শুকিয়ে দীর্ঘদিন খাওয়ার জন্য সংরক্ষণ করা থেকে ড্রাই ফ্রুটস নামকরণ হয়।

ড্রাই ফ্রুটস খুব মজাদার একটি খাবার। স্বাদের পাশাপাশি পুষ্টিতেও পরিপূর্ণ থাকে এগুলো। খনিজ এবং উন্নত নিউট্রিয়েন্টসের সমাহার থাকে এসবে। তাই চিকিৎসকরাও পুষিষ্টকর খাদ্য হিসেবে ড্রাই পুটস খাওয়ার পরামর্শ দেন। বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে অথবা শুধু ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার বেশ প্রবণতা দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

অনেকেরই অভ্যাস সকালে খালি পেটে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার। সকালে ভিজিয়ে রাখা কাঠ-বাদাম এবং শুকনো ফল, যেমন- খেজুর, স্বাস্থ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ড্রাই ফ্রুটসের নানারকম উপকারী দিক থাকলেও; খালি পেটে ড্রাই ফ্রুটস খাওয়ার ফলাফল সম্পর্কে জেনে, তবেই খাওয়া উচিত।

অতিরিক্ত কোনো জিনিসই উপকারের বদলে ক্ষতিকর হয়ে যেতে পারে। এসব খাবার অনেক বেশি খাওয়া হলে অনাকাঙ্ক্ষিত রোগ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন এসব খাবারে স্নেহ এবং ক্যালরি বেশি থাকে। এসবের আধিক্য শরীরের জন্য ভালো নয়। তবে,  শরীরের জন্য উপকারী খনিজ পদার্থের ভালো এক উৎস ড্রাই ফ্রুটস। খনিজ, ভিটামিন, পটাশিয়ামে পরিপূর্ণ থাকে এগুলো। পাশাপাশি, এতে সালফারের পরিমাণ বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।   

বিজ্ঞাপন

খেজুর: কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ভেজানো খেজুর খাওয়ার ফলে অ্যালার্জির সমস্যা দূর হতে দেখা দেয়। সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই খেজুর খেলে অ্যালার্জি কমতে দেখো যায়।

কিশমিশ: কিশমিশেও ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম ও আয়রন রয়েছে। ভিজিয়ে রাখা কিসমিস খেলে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি এবং বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা কমে।

চিনাবাদাম: চিনাবাদাম ভিটামিন, ফাইবার, চর্বি এবং খনিজ সমৃদ্ধ। এই খাবার রক্ত সঞ্চালন এবং চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।      

পরিমিত ড্রাই ফ্রুটস বা শুকনো ফল খাওয়া অবশ্যই উপকারী। কারণ এতে, শরীরে ক্যালোরি এবং প্রাকৃতিক শর্করা বাড়ে। তবে, অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে আবার ওজন বৃদ্ধির মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে। আবার কারো কারো নির্দিষ্ট কিছু ড্রাই প্রুটে অ্যালার্জি হতে পারে। তাই সতর্ক হওয়া  উচিত। শরীরে কোনো উদ্বেগ বা অস্বস্তি হলে দ্রুত চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।