কাশির রোগীর ক্ষেত্রে ভাতের প্রভাব
এই রোদ, এই বৃষ্টি! স্যাঁতস্যাতে ঠান্ডা আবহাওয়া, কিংবা রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ মেঘের গর্জন তুলে ঝুম বৃষ্টি। সাথে কাদা জমাট আর বদ্ধ হয়ে যাওয়া পানি। বর্ষামানেই এ যেন নিত্যদৃশ্য। এমন বৈরি আবহাওয়ায় জ্বর, ঠান্ডা বা কাশি হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এছাড়াও, বর্ষার সময় রোগ-জীবাণু অণেক প্রভাবশালীও হয়ে ওঠে।
বর্ষার এই মৌসুমে তাই ঠান্ডাজাতীয় খাবার খাওয়া খুবই বিপজ্জনক। যেমন- দই, আইসক্রিম বা ঠান্ডাপানি ইত্যাদি কাশি বাড়ার জন্য দায়ী হতে পারে। চিকিৎসকরা কাশির রোগীর জন্য ভাত খাওয়ার পরামর্শ দেন। ভারতীয় চিকিৎসক নীতি শর্মা বলেন, কাশির হলে নরম করে রান্না করা গরম ভাত খাওয়া উচিত। কারণ, ভাত এমনিই উপকারী খাবার, যা শরীরে তৃপ্তি এবং শক্তিলাভে সহায়তা করে। তাছাড়া গরম ভাত গলায় আরামভাব আনে।
ভাত, শ্বেতসার জাতীয় এই খাবার ছাড়া বাঙালি জীবন অসম্পূর্ণ। প্রবাদেই আছে, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’। প্রতিটি বাঙালির ঘরে অন্তত দু’বেলা করে ভাত খাওয়া হয়। অনেকে তো, ভাত না খেলে তৃপ্তিই পান না। অনেকের অবশ্য গম খেলে অ্যালার্জি জাতীয় সমস্যা দেখা দেয়, ভাতের ক্ষেত্রে এরকম সমস্যার বালাই নেই। নিঃসন্দেহে ভাত বেশ শক্তি উৎপন্নকারী একটি খাদ্য উপাদান। তবে, আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, আমরা প্রতিদিন খাই অথচ সেই ভাতও নাকি কিছুক্ষেত্রে কাশির বাড়ার কারণে পরিণত হতে পারে।
ভারতীয় চিকিৎসক শ্বেতা বানসাল বলেন, ‘এটা অনেকেই জানেন না যে, কাশি হওয়ার এবং বাড়ার ক্ষেত্রে ভাত ভূমিকা রাখতে পারে। ভাত সরাসরি কাশি হওয়ার কারণ হয় না। তবে, ভুলভাবে রান্না করা হলে ভাত দূষিত হয়ে কাশি এবং গলা ব্যথা হওয়ার কারণ পারে। ভাত রান্নার সময় ছোট ছোট অংশ উৎপন্ন হলে তা খাওয়ার সময় নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় গলায় বা শ্বাসনালীতে আটকে তৎক্ষণাৎ কাশি শুরু হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুব দ্রুত ভাত খাওয়ার সময়ও দেখা যায় ভাত গলায় আটকে গিয়ে কাশি শুরু হয়। যদিও এগুলো খুবই অনিশ্চিত দুর্ঘটনা। ভাত এমনিতে সর্বাধিক মানুষের জন্য পুষ্টিকর হিসেবেই বিবেচিত হয়।’
এই প্রসঙ্গে ডা. শর্মা বলেন,‘ঠান্ডা-কাশি হওয়ার সঙ্গে ভাতের সম্পৃক্ততা নেই। তবে আপনার যদি এমনিতেই কাশি থাকে, তাহলে গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করুন।’
তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস