গাড়িতে অবস্থানকালে যে কাজগুলো করা বারণ
নিজস্ব হোক কিংবা উবারের ভাড়া করা গাড়িই হোক না কেন, গাড়িতে ভ্রমণ করার সময় কিছু কাজ করা থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকা প্রয়োজন।
নিজে গাড়ি চালানো হোক কিংবা গাড়িতে যাত্রা করা হোক, রাস্তায় যখন একটি গাড়ি চলমান অবস্থায় থাকে তখন নিজেকে সকল অবস্থাতেই সতর্ক রাখতে হবে।
সিটবেল্ট পরিধান করা ও গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি আরও কিছু বিষয়ের প্রতিও খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
গাড়িতে বসে খাবার খাওয়া
এই কাজটি কম কিংবা বেশি সকলেই করেন। কফি কিংবা কোমল পানীয় পান করার ক্ষেত্রে খুব একটা ঝামেলা না থাকলেও, খাবার খাওয়ার ব্যাপারে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। গাড়িতে বসে খাবার খাওয়া কখনোই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। খাবার খাওয়ার সময় গাড়িতে খাবারের অংশবিশেষ ছড়িয়ে পড়ে, যা ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এছাড়া আপনি যদি গাড়ি চালনার দায়িত্বে থাকেন, তবে কোনভাবে খাবার খাওয়ার দিকে মনোযোগ দেওয়া যাবে না।
জানালার গ্লাস নামিয়ে জোরে গান বাজানো
এই কাজটির প্রবণতা উঠতি বয়সী ছেলেমেয়েদের মাঝেই বেশি দেখা যায়। যা নিজের কাছে উপভোগ্য মনে হলেও, আশেপাশের মানুষের কাছে যথেষ্ট বিরক্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক। এছাড়া নিজে গাড়ি চালানোর সময় কখনোই গাড়িতে গান বাজানো উচিৎ নয়। এতে করে কিছুটা হলেও মনোযোগ গানের দিকে থাকে এবং এই কারণে যে কোন সময়েই দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থেকে যায়।
ধূমপান করা
ধূমপান কতটা অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস সেটা নিশ্চয় আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন নেই। অস্বাস্থ্যকর এই কাজটি যখন গাড়িতে বসে করা হয়, তখন তার ক্ষতিকর প্রভাব বেড়ে যায় ও দীর্ঘায়িত হয় অনেকখানি। বিশেষত গাড়িতে অবস্থান করা মানুষজনের কাছে ধূমপানের ধোঁয়া পৌঁছায় অতিরিক্ত মাত্রায়। এতে করে মুখ, গলা ও ফুসফুসের ক্যান্সার দেখা দেওয়ার সম্ভবনা বৃদ্ধি পায়।
নাক খোঁটানো
কোন অবস্থাতেই নাক খোঁটানোর অভ্যাসটি গ্রহণযোগ্য নয়। এমনকি যখন আপনি গাড়ির ভেতরে আছেন তখনও না। ইউরোপিয়ান রেসপাইরেটরি জার্নাল জানায়, গাড়ির ভেতর অবস্থানকালে নাক খোঁটানোর ফলে খুব দ্রুত নিউমোনিয়া তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া গাড়ি চলাকালীন সময়ে নাক খোঁটানোর ফলে ঘটতে পারে ছোট ধরণের কোন দুর্ঘটনা। ফলে নাক থেকে রক্তপাত হবার সম্ভবনা থাকে।
তর্ক করা
গাড়িতে অবস্থানকালে কারোর সাথে তর্ক করার মুহূর্ত উপস্থিত হলেও নিজেকে সংযত করুন যথাসম্ভব। কারণ কথা কাটাকাটি ও তর্কের ফলে গাড়ি চালকের মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটে খুব সূক্ষ্মভাবে। এতে করে গাড়ি দুর্ঘটনার সম্ভবনা বেড়ে যায় অনেকটাই। অন্যমনস্কতা গাড়ি চালকের জন্য হুমকি স্বরূপ। এই বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
পাশপাশি গাড়ি যদি নিজে চালনা করেন তবে কোন অবস্থাতেই গাড়িতে থাকা কারোর সঙ্গে তর্ক করা যাবে না। মাথার ভেতর অনেক ধরণের চিন্তাভাবনা ও কথাবার্তা ঘুরপাক খেতে থাকলে গাড়ি চালানোর দিকে পুরিপূর্ণভাবে মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হবে না।
আরও পড়ুন: ঘরের পরিবেশ থাকুক দূষণমুক্ত