বৈশাখ স্পেশাল রেসিপি
বছরের প্রথম দিনে ডিমের হালুয়ায় মিষ্টিমুখ
পহেলা বৈশাখের সকালে পেট ভরে পান্তা ভাত খাওয়ার সঙ্গে মিষ্টিমুখও করা চাই।
এদিনে বাসায় অতিথি আপ্যায়ন কিংবা দোকানের হালখাতার আয়োজনে প্রয়োজন হয় মুখরোচক মিষ্টির। দোকান থেকে হরেক রকম মিষ্টি কিনে নেওয়া যায় চাইলেই।
কিন্তু দোকানের মিষ্টির সাথে ঘরে নিজ হাতে তৈরি মিষ্টি খাবারের তুলনা চলে না একেবারেই। পরিবার ও প্রিয়জনেদের জন্য বৈশাখের প্রথম প্রহরে মাছ-ভর্তা নিজ হাতে প্রস্তুত করার মাঝে চট করেই তৈরি করে নেওয়া যাবে ডিমের হালুয়া। ছিমছাম পরিবেশনে যা পুরো বৈশাখের আয়োজনে যোগ করবে বাড়তি যত্নের ছোঁয়া।
ডিমের হালুয়া তৈরির জন্য যা লাগবে
১. ৬টি ডিম।
বিজ্ঞাপন২. ১ লিটার ফুল ক্রিম দুধ।
৩. ২০-২২টি কিশমিশ।
৪. ১০-১৫টি কাঠবাদাম।
৫. ১০-১৫টি কাজুবাদাম।
৬. ২/৩ বিশুদ্ধ ঘি।
৭. ১ কাপ পাউডার সুগার।
৮. ৪টি এলাচের গুঁড়া।
৯. কয়েকটি জাফরান।
১০. ফুড কালার (হলুদ অথবা কমলা)।
ডিমের হালুয়া যেভাবে তৈরি করতে হবে
১. বড় একটি পাত্রে ডিমগুলো নিয়ে পাউডার চিনির সঙ্গে ভালোভাবে বিট করতে হবে। বিটার থাকলে ভালো, না হলে কাঁটাচামচের সাহায্যে বিট করতে হবে। যতক্ষণ না ডিমে ক্রিমি টেক্সচার আসছে, বিট করে যেতে হবে। ডিমে কয়েক ফোঁটা ফুড কালার যোগ করে পুনরায় বিট করে মেশাতে হবে।
২. জাফরানের সঙ্গে এক টেবিল চামচ গরম দুধ মিশিয়ে রং ছাড়ার জন্য রেখে দিতে হবে।
৩. এক লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে কমিয়ে দুই-তৃতিয়াংশে আনতে হবে। দুধ টেনে ঘন হয়ে এলে এতে ডিমের মিশ্রণটি দিয়ে দিতে হবে।
৪. এখন এতে ঘি, কিশমিশ, কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, জাফরানের দুধ ও এলাচের গুঁড়া দিয়ে নাড়তে হবে অল্প আঁচে রেখে।
৫. যতক্ষণ পর্যন্ত হালুয়া থেকে পানি শুকিয়ে যাচ্ছে এবং হালুয়া থেকে তেল ছাড়ছে, এভাবে ধীরে নাড়তে হবে।
পানি শুকিয়ে এনে ও তেল ছাড়লে চুলার আঁচ বন্ধ করে হালুয়া নামিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: রকমারি মাছের কারি: ফিশ ফিঙ্গার
আরও পড়ুন: বৈশাখের পাতে নোনা ইলিশের ভর্তা