২০১৯’র ঈদের বাজার
চলছে কাবলি, ফরমালেও রয়েছে আকর্ষণ
ঈদের বাজার চাঙা হচ্ছে দিনে দিনে।
বাড়ছে ক্রেতা সমাগম। ইতোমধ্যেই পনের রমজান পার হয়ে যাওয়ায় ক্রেতারা আগ্রহী হয়ে উঠছেন পছন্দসই পোশাক কেনার প্রতি।
ঈদে ছেলেদের পোশাকে সবার আগে প্রাধান্য পায় পাঞ্জাবি। পছন্দসই পাঞ্জাবি না পাওয়া পর্যন্ত ঈদ যেন শুরুই হয় না। নানান ফ্যাশান হাউজ, বুটিক শপগুলো ঘুরে তবেই কেনা হয় কাঙ্ক্ষিত পাঞ্জাবিটি।
প্রতি বছরেই পাঞ্জাবির প্যাটার্ন ও কাটিংয়ে আসে নতুনত্ব ও ভিন্নতা। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পাঞ্জাবির বাজারে এসেছে ও বাজার মাতাচ্ছে ‘কাবলি’। কাবলি কাটিং পাঞ্জাবি দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বলেই জানায় বিভিন্ন ফ্যাশান হাউজগুলো। পনের রমজান পার হতেই ঈদ কালেকশনের কাবলির প্রথম সংগ্রহ শেষ হয়ে গেছে বেশিরভাগ হাইজেই। কাবলি কাটিং পাঞ্জাবির পাশাপাশি প্যান্টও পাওয়া যাচ্ছে একইসাথে।
কাবলি কেনার ক্ষেত্রে খুব বেশি চাকচিক্য ও রঙিন বর্ণের প্রতি না ঝুঁকে এক রঙা কাবলির খোঁজ করছেন ক্রেতারা। কালো ও ধূসর রঙ প্রাধান্য পাচ্ছে সবচেয়ে বেশি। সাথে চলছে ঘিয়া, সাদা ও হালকা রঙও।
প্লাস পয়েন্টের ম্যানেজার পারভেজ সাইফের সাথে কথোপকথনে বার্তা২৪ লাইফস্টাইলকে তিনি জানান, তরুণরা কাবলি স্টাইলটা খুব পছন্দ করছে। একদম ছিমছাম ডিজাইনের মাঝে নতুনত্ব থাকায় সহজেই কাবলি পাঞ্জাবিতে আকৃষ্ট হচ্ছেন তারা। তবে একটু বয়স্করা সাধারণ পাঞ্জাবির দিকেই ঝুঁকছেন কাবলি বাদ দিয়ে।
একই সুরে কথা বললেন এক্সটেসির সেলস পারসন শফিক তুহিন। জানালেন নিজের জন্য কিংবা ঈদ উপহারের জন্য কাবলি বিক্রি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। কাবলির চাহিদা বেশি থাকায় ক্রেতাদের পছন্দের ধরণ অনুয়ায়ি কাবলি বাজারে আনা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তবে জেন্টল পার্কের ট্রেইনি ম্যানেজার শাহাদাত রহমান জানালেন, কাবলির পাশাপাশি স্লিম ফিট পাঞ্জাবির প্রতি সমানভাবে আকর্ষণ রয়েছে ক্রেতাদের। যদিও তুলনামূলকভাবে তরুণরাই ঝুঁকছে কাবলির দিকে। তবে কাবলি কিংবা স্লিম ফিট পাঞ্জাবি, রঙের ক্ষেত্রে কালো, নেভি ব্লুয়ের মতো গাড় রঙগুলোই প্রাধান্য পাচ্ছে বেশি।
পাঞ্জাবি সাধারণ সুতির মাঝে পাওয়া গেলেও, কাটিং ও প্যাটার্নের জন্য কাবলিগুলোর তন্তু হবে সিল্কের। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ভেদে কাবলির দাম পড়বে ৩০০০ থেকে শুরু করে ৪৬০০ টাকা পর্যন্ত। কাবলি প্যান্টের মূল্য পড়বে ১২০০ থেকে ২০০০ পর্যন্ত।
এতো গেলো পাঞ্জাবি ও কাবলির আলোচনা, এবারে আসা যাক শার্ট ও টি-শার্টের দিকে।
এক্সটেসির শফিকের কাছে এবারে ঈদ বাজারে শার্টের চাহিদার বিষয়ে জানতে চাইলে জানালেন, চেক শার্ট কিংবা ফ্লাওয়ার ও ডিজাইন প্রিন্টেড ক্যাজুয়াল শার্টের চাহিদা এবারে বেশ পড়ন্ত। তবে এক রঙা ফরমাল শার্টের চাহিদা প্রচুর। তিনি জানান, মাঝে চেক শার্ট ও প্রিন্টেড শার্টের চল থাকলেও, আবারো ফরমালের দিকেই ঝুঁকছে সবাই। বর্ণিল এক রঙা ফরমালেই এই গরমে স্বাচ্ছন্দ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করেন তিনি। এছাড়া উপহার হিসেবেও ফরমাল শার্ট বেছে নিচ্ছে ক্রেতারা।
এদিকে প্লাস পয়েন্টের পারভেজ জানান, ফরমাল ও ক্যাজুয়াল দুই ধরনের শার্টের ক্ষেত্রেই ক্রেতাদের সারা পাওয়া যাচ্ছে ভালো। ক্যাজুয়ালের পাশাপাশি ফরমালেও সমান সাড়া পাওয়ার ক্ষেত্রে তিনি মনে করেন, এক রঙের ফরমালে গাম্ভীর্য ফুটে ওঠে, যার প্রতি আকৃষ্ট হয় অনেক ক্রেতাই।
ফ্যাশন হাউজ ভেদে ক্যাজুয়াল ও ফরমাল শার্টের মূল্য পড়বে ৪৮০-২৮০০ পর্যন্ত।
তবে ঈদের কেনাকাটায় পাঞ্জাবি ও শার্টের ভিড়ে টি-শার্ট বেশখানিকটা চাপা পড়ে গেছে বলেই জানালো ফ্যাশন হাউজগুলো। সাধারণত অন্যান্য সময়ে টি-শার্ট কেনা হয় বলে, ঈদে সবচেয়ে বেশি ঝোঁক পাঞ্জাবির দিকেই থাকে। এছাড়া কিছু সংখ্যক ক্রেতারা শার্ট কেনার প্রতিও আগ্রহী হন। তবে সকল বয়সী ক্রেতা ও ক্রেতাদের চাহিদার বিষয়তি মাথায় রেখে টি-শার্টও পাওয়া যাবে ঈদের বাজারে।
আরও পড়ুন: রোদচশমায় রংয়ের ছোঁয়া!
আরও পড়ুন: সাজ-পোশাকে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ‘দেবী’