পায়ের নখের যত্নে যা জানা প্রয়োজন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হাতের নখের দিকে সময়ে সময়ে নজর দেওয়া হলেও, পায়ের নখ যেন পায়ের মতোই অবহেলায় রয়ে যায়।

বিশেষত যাদের নিত্যদিন বাইরে চলাচল করা প্রয়োজন হয়, তাদের ক্ষেত্রে পায়ের নখের যত্ন নেওয়া বেশি জরুরী। বাইরে থেকে ফিরেই পা ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়ার সাথে নজর দিতে হবে পায়ের নখের দিকেও। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনগুলোতে নখে কাদা লেগে যায়, এছাড়া ধুলাবালি নখের ভেতর প্রবেশ করে প্রতিনিয়ত। দীর্ঘদিন পায়ের নখ অপরিষ্কার রাখা হলে নখে জীবাণু জমে ফাঙ্গাস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে নখ নষ্টও হয়ে যেতে পারে। তাই জেনে রাখা প্রয়োজন পায়ের নখের যত্নে কী করতে হবে।

১. পায়ের নখ ছোট রাখতে হবে। নেইলকাটার মেশিন দিয়ে সপ্তাহে অন্তত একদিন নখ কাটতে হবে। যদি নখ বড় হতে থাকে, তাহলে এর ভিতরে জীবাণু জমে নখ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও হাঁটতে গিয়ে নখে আঘাত পেলে নখ নষ্ট হয়ে যায় বা মরে যায়। নখ ছোট থাকলে নখে ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

২. প্রতিদিন জুতা বা ফ্লোর থেকে নখে ময়লা জমতে পারে। তাই প্রতিদিন গোসলের সময় ও ঘুমানোর পূর্বে নখ হালকাভাবে হলেও পরিষ্কার করতে হবে। একটি ছোট ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে, যা নখের স্বল্প গভীরের ময়লা পরিষ্কার করতে পারবে, এতে জীবাণু জমবে না ও নখে ইনফেকশন হবেনা।

৩. নখ কাটার সময় আঙ্গুলের সাথে মিল রেখে কাটতে হবে, আঙুলের মাংসের নিচে যেন না আসে এবং নখের কোণাগুলো গোল আকৃতি হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এতে নখ শক্ত থাকবে এবং কোনাগুলো ধারালো হবে না।

৪. নখ কাটার পরে নখের ধার কমাতে এমারি বোর্ড ব্যবহার করা হয়। এটি দিয়ে পায়ের নখ ঘষার সময় সামনের দিকে কোনার অংশ থেকে নমনীয়ভাবে ঘষতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, এটি বেশি পুরনো ও ধারহীন যেন না হয়। এতে নখের আকার নষ্ট হয়ে যাবে।

৫. পায়ে পানি লাগলে বা পা ধোয়ার পর দ্রুত শুকাতে হবে। কারণ ভেজা থাকলে নখ নরম হয়ে যায়। এতে সহজেই ভেঙ্গে যেতে পারে।

৬. পা পরিষ্কারের পরে লোশন জাতীয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও পা শুষ্ক হয়ে আসলে বা নখে ব্যথাভাব হলে লোশন ম্যাসাজ করতে হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/30/1564463098976.jpg

৭ জুতার সাথে মোজা ব্যবহার করা হলে, বাসায় এসে মোজা ধুয়ে দিতে হবে। একই মোজা পরপর পরা উচিত নয়। এতে মোজায় জমে থাকা জীবাণু বারবার নখে জমতে থাকবে। নিয়মিত মোজা ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় না থাকলে দুই-তিনটা মোজা রাখতে হবে।

৮. মাসে ২-৩ বার সময় করে একটি বড় পাত্রে বা বালতিতে গরম পানি নিয়ে কিছুক্ষণ পা চুবিয়ে বসে থাকতে পারেন। সাথে সামান্য শ্যাম্পু বা পরিষ্কারক লিকুইড মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে জমে থাকা ময়লাগুলো চলে যাবে।

৯. লেবু নখ পরিষ্কারের এবং নখ সাদা রাখতে ও জীবাণু থেকে রক্ষার জন্য খুব কার্যকরী। টুকরো লেবু নিয়ে নখের উপর এর রস ঘষে কিছুক্ষণ পা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

নখের ক্ষেত্রে এছাড়া যা করা উচিত নয়, সে সম্পর্কেও কিছুটা জেনে রাখা প্রয়োজন।

১. নখের পাশে থাকা বাড়তি চামড়া টেনে উঠানো উচিত নয়, এতে ইনফেকশন হবে ও আপনি ব্যাথাও পাবেন।

২. কোনোকিছু দিয়ে নখের খুব বেশি ভেতরে গুঁতানো যাবে না, এতে নখ ভেঙ্গে যেতে পারে ও ক্ষতি হতে পারে।

৩. নেইলপলিশ ও নেইল রিমুভার যথাসম্ভব কম ব্যবহার করতে হবে। কারণ এতে থাকা রাসায়নিক দ্রব্যে নখ নষ্ট হয়ে যায় ও অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যেতে পারে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/30/1564463120332.jpg

৪. জুতা পরার সময় খেয়াল রাখতে হবে, জুতা যেন বেশি আঁটসাঁট না হয়। এতে নখে চাপ পরে নখ ভেঙ্গে যেতে পারে। আবার রক্ত জমে নখ নিজে থেকে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

পায়ের নখের সমস্যা থাকলে বা নখের মধ্যে রক্ত জমাট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়াও নখের নিজে নিজে কোনো ধরণের ঔষধ লাগানো উচিত না। এতে নখের ইনফেকশন হতে পারে এবং এর ফলে পায়ের বড় ক্ষতি হতে পারে।

আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক তেলে পায়ের যত্ন

আরও পড়ুন: আর্দ্রতা ও সৌন্দর্য হারাচ্ছে পা?

   

যে খাদ্যাভ্যাসগুলো দূর করবে মানসিক চাপ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সুষম খাদ্য বনাম জাংক ফুড / ছবি: সংগৃহীত

সুষম খাদ্য বনাম জাংক ফুড / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনজীবনে নিত্য যেন এক অফুরন্ত ব্যস্ততা। দু’দন্ড যেন বিশ্রাম নেওয়ার সময় অবধি নেই। প্রতিদিনের একঘেয়ে ব্যস্ত রুটিন আর অনবরত কাজের কারণে মানসিক চাপ হওয়া, উদ্বিগ্নতা কিংবা স্নায়ুবিক অশান্তি অনুভব করা অসম্ভব কিছু নয়।

তবে এরকম অস্বাভাবিক অবস্থার সৃষ্টি হলে পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ার আগে নিজেকেই সামলে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। কাজের চাপের বাইরেও জীবন যাত্রার অনেক ব্যাপারও উদ্বেগ, মানসিক চাপ এবং ডিপ্রেশন বাড়াতে পারে। এসব কারণে আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে স্নায়ুতন্ত্র পরিবর্তন করা সম্ভব।

ভারতীয় পুষ্টিবিদ মেরিনা রাইট বলেন, স্নায়ুতন্ত্র এবং মানসিক চাপের উপর খাদ্য এবং পুষ্টির প্রভাবকে অবহেলা করে দেখা উচিত নয়। তিনি এইক্ষেত্রে আরও কিছু বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেন, যা এসব মানসিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে-

১. খাদ্যে আমিষ, আঁশসমৃদ্ধ, শর্করা এবং চর্বি উপাদানের ভারসাম্য থাকা উচিত। এতে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শর্করার মাত্রার তারতম্য হলে তার প্রভাব মেজাজে পড়ে।

২. প্রোবায়োটিক এবং প্রিবায়োটিক খাবার অন্ত্রের স্বাস্থ্যে ভূমিকা রাখে। এসব উপাদান খাদ্যতন্ত্রে মাইক্রোবায়োম গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটিও স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

মানসিক চাপে খাদ্যাভ্যাসের প্রভাব / ছবি: সংগৃহীত

৩. কোলিন, ভিটামিন বি১২, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোবায়োটিক এবং পলিফেনলের মতো পুষ্টি উপাদান শরীরের ভ্যাগাস নার্ভকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৪. অন্ত্রে কোনো কারণে ব্যথা বা অস্বস্তি হলে তা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রকে অস্বাভাবিক করতে পারে। খাদ্যগ্রহণ অভ্যাস তাই সুস্থতা নির্ধারণে এত বেশি প্রভাবশালী। পরিবর্তিত এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ অন্ত্রের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৫. খাবার চাবানো এবং গলাধঃকরণের উপরও পরিপাক অনেকটা নির্ভর করে। তাই প্রতিটি কামড়ের স্বাদ গ্রহণ রে, ধীরে ধীরে খাবার গিলে ফেলা উচিত। এই কাজগুলো মননশীল খাদ্যাভাসে অবদান রাখে।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

;

জেনে নিন, ফাইবার জাতীয় খাদ্য খেলে যা হয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফল, সবজি বা শাক জাতীয় খাবার পিষে নিলে এর মধ্য থেকে রস বের হয় । এই রস আলাদা করা হলে খাবারের যে শক্ত অংশ অবশিষ্ট থাকে এই উপাদান গুলো হলো ফাইবার বা সহজ বাংলা ভাষায় আঁশ। এই ফাইবার শরীরের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। খাদ্য পরিপাক, শরীরে শর্করা নিয়ন্ত্রণ, ক্যান্সার প্রতিরোধের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সরাসরিভাবে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। তবে কোনো ভালো জিনিসই অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ভালো নয়। তাই প্রয়োজনীয় এই ফাইবারও অতিরিক্ত খেলে হতে পারে নানারকম অসুবিধা।

ভারতীয় চিকিৎসকের জি সুষমা ব্যখ্যা করেছেন বেশি করে ফাইবার খেলে যা হয়। যখন অনেক বেশি করে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া হয়, তখন পাকস্থলিতে অতিরিক্ত ফাইবার জমা হয়ে পেট ভারি হয়ে যায়। এই কারণে একাধিক শারীরিক সমস্যার উদয় হয়। এর মধ্যে ৩ টি সমস্যার প্রবণতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নজরে পরে। এগুলো হলো ফোলাভাব, গ্যাস্ট্রিক এবং ডায়রিয়া।

ফাইবার মূলত পাচন কাজে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আঁশ বা ফাইবার খাবার হজমের সময় জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। কারণ এটি খাবারের সেই কটিন অংশ যা এনজাইমের কারণে পুরোপুরি ভেঙে যেতে পারে না। তাই এই অন্ত্রের মধ্য দিয়ে বর্জ্য পদার্থের সঙ্গে জমা হয়। এই প্রক্রিয়ার সময় অন্ত্র থেকে অপ্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান অপসারণ করা ফাইবারের কাজ। এছাড়া ফাইবারের দ্রবণীয় অংশ পানিকে আকর্ষণ করে এবং ধরে রাখে। সেই কারণে মল প্রক্রিয়াকালে তার কঠিনত্য হ্রাস পায়। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।  তবে অতিরিক্ত আঁশজাতীয় খাবারগুলো হজমের গতির সঙ্গে  পাল্লা দিয়ে বিপাক কাজ শেষ করতে পারে না। এই অতিরিক্ত ফাইবারগুলো পাচন তন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করে। এতে স্বাভাবিক মল ত্যাগে ব্যাঘাত ঘটে।      

বয়স, ক্যালরি গ্রহণমাত্রা এবং লিঙ্গভেদে ফাইবার গ্রহণের উপকারী মাত্রা নির্ভরে করে। যেমন, প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দৈনিক ফাইবার গ্রহণের আনুমানিক সাধারণ মাত্রা ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম। বয়স্ক বা শিশুদের পাচন ক্ষমতা তাদের চেয়ে ভিন্ন হয়, তাই গ্রহণ মাত্রাও ভিন্ন হবে। তাই সঠিক পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ সম্পর্কে অবগত হতে হবে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার / ছবি: সংগৃহীত 

ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহণ কেন জরুরি তাও জানতে হবে-

১. হজম: পাচন স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য ফাইবার অপরিহার্য খাদ্য উপাদান। অন্ত্রে খাদ্যকণার গতিবিধি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা নির্ণয় ও প্রতিরোধ করতে পারে এই উপাদান।

২. রক্তে সুগার: রক্তের চিনিজাতীয় পদার্থের শোষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে ফাইবার। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে অবাঞ্ছিত স্বাস্থ্য সমস্যা উদয় হয় না।

৩. কোলেস্টেরল: এলডিএল হলো এক প্রকার ক্ষতিকর কোলেস্টেরল। আঁশ জাতীয় খাবার এই এলডিএল এর পরিমাণ কমিয়ে আনে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

৪. ক্যান্সার: উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারে কিছু নির্দিষ্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করার ক্ষমতা থাকে। যেমন, কোলেস্টেরল ক্যান্সার।

৫. সন্তুষ্টি: খাবার খাওয়ায় তৃপ্তিলাভ একটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফাইবার খাবারের সে উপাদান যা খাওয়ার সময় তৃপ্তির অনুভূতি দেয়। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর ক্যালরি গ্রহণ এবং বাড়তি ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

তারকাদের ভিড়ে প্রতিভার উজ্জ্বলতায় জ্বলজ্বলে ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

ইনফ্লুয়েন্সার ন্যান্সি ত্যাগী

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সে চলছে ২০২৪ সালের ‘৭৭ তম কান’স ফিল্ম ফেস্টিভাল’। দেশটির দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে প্রতিবছরই চলচ্চিত্র দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ  এই উৎসবরে আয়োজন করা হয়। ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন কোণা থেকে অনেক সিনেমা সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা একত্রিত হন। মূলত ফিল্ম ফেস্টিভাল হলেও যেহেতু অভিনয়ের সঙ্গে ফ্যাশন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত তাই এখন ফ্যাশনের লোকজনও ক্যান’স এর অনুষ্ঠানে আসে।   

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে আসনা হাবিব ভাবনা কানস ফিল্ম ফেস্টিভালে উপস্থিত হয়েছেন। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতেরও অনেক বড় অভিনয় শিল্পী এবং ফ্যাশন ব্যক্তির পদচারণা ঘটে। তবে চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সাড়া পড়েছে ভারতীয় ইন্ফুয়েন্সার ন্যান্সী ত্যাগী।

কান’স ফিল্ম ফেস্টিভালের ইতিহাসে ন্যান্সিই প্রথম তারকা যিনি নিজেই নিজের পোশাক তৈরি করেছেন। কানের লাল গালিচায় পা রাখার সাথে সাথেই হৈ-চৈ ফেলে দেন ন্যান্সি। ৩০ দিনের মধ্যে তৈরি করা তার অসাধারণ পোশাকের কারণে দেশ জুড়ে হচ্ছে জয়জয়কার।

 ন্যান্সির বানানো পোশাক

উর্ফি জাভেদ, খুশা কাপিলা সহ বড় বড় তারকাও তার প্রশংসায় ভাসছেন। এই তালিকায় শীর্ষে আছেন বলিউডের ফ্যাশন আইকন সোনাম কাপুর। ১৮ তারিখের ইভেন্টে ন্যান্সী নিজের তৈরি করা পোশাক পরে প্রথম বার রেড কার্পেটে হাঁটেন। ১ হাজার মিটার কাপড়ে তৈরি করা গোলাপি গাউনটির ওজন ছিল ২০ কেজি।

দ্বিতীয় দিন একটি চকচকে ল্যাভেন্ডার শাড়ি পরে হাজির হন তিনি। এই পোশাকটিও নিজেই তৈরি করেছেন ন্যান্সী। প্রথম পোশাকের মতো দ্বিতীয় পোশাক দিয়েও সকলের নজর ও প্রশংসা কেড়েছেন এই উত্তর প্রদেশের এক ছোট শহরের মেয়ে। সোনাম কাপুরের মতে, এই পোশাকই কানে দেখা সেরা পোশাক। একই সঙ্গে সোনাম ন্যান্সীর কাছে অনুরোধ করেন, যেন তার জন্য ন্যান্সী কোনো পোশাক তৈরি করে দেন।

ন্যান্সির দ্বিতীয় দিনের পোশাক

ন্যান্সীর আরেকটি ব্যাপার নেটিজেনের নজর কাড়ে। কানের মতো বড় মঞ্চে ইংরেজি ভাষায় তার অপারগতা নিয়ে একদমই কুণ্ঠিত নন ন্যান্সী। বেশ সহজ ও সাবলীলভাবেই তার মাতৃভাষায় সহজেই মনোভাব ব্যক্ত করছেন। ভারতীয়দের মধ্যে হিন্দি ভাষায় কথা বলার ক্ষেত্রে কিছুটা জড়তা নজরে পড়ে বরাবরই। ন্যান্সীর ক্ষেত্রে যা ছিল অনুপস্থিত।  

  

;

মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে যেসব কারণে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

মাইগ্রেনের কারণে তীব্র মাথা-ব্যথা / ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাথাব্য়থা খুব অস্বাভাবিক কোনো সমস্যা নয়। ঋতু পরিবর্তন বা হালকা জ্বর হলেও মাথাব্যথা হতেই পারে। তবে মাইগ্রেন কোনো সাধারণ মাথা ব্যথার সমস্যা নয়। এই সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা তীব্র মাথাব্যথা সহ্য করেন। মাথায় নির্দিষ্ট স্থানে তীব্র কম্পন অনুভূত হয় এবং টন টন করে। এছাড়া চোখে আলো পড়লে বা তীব্র বাতাসে সংবেদনশীলতার কারণে অস্বস্তি, মাথাব্যথার তীব্রতা বেড়ে ওঠা বা বমি বমি ভাব হওয়াও মাইগ্রেনের উপসর্গ। এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টা থেকে একাধিক দিন অবধিও স্থায়ী হতে পারে।

মাইগ্রেনের সমস্যা সকলের মধ্যে দেখা যায় না। ধারণা করা হয়, এই সমস্যা বংশ পরম্পরায়ও স্থানান্তরিত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণত জেনেটিক এবং পরিবেশগত অবস্থার কারণে বিশ্বব্যাপী শতকরা ১০ ভাগ মানুষ মাইগ্রেনে ভোগেন। জেনেটিক সংক্রান্ত কারণে মাইগ্রেন আংশিকভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে পেরিফেরাল ট্রিগারের কারণেও মাইগ্রেন হতে পারে। পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগের তুলনামূলক বেশি ঝুঁকিতে থাকে।

যেসব কারণে মাইগ্রেন হতে পারে

১. লিঙ্গভেদ: নারী এবং পুরুষদের মধ্যে অনেক সাদৃশ্য থাকলেও ভিন্ন লিঙ্গের কারণে নানারকম হরমোনের তারতম্য দেখা যায়। নারীদের শরীরে থাকা হরমোনের ব্যবস্থাপনার কারণে মাইগ্রেনের সমস্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২. প্রভাবক: মানসিক চাপ, ঘুমের অভাব, আবহাওয়ার পরিবর্তন, তীব্র গন্ধসৃ্ষ্টিকারী অস্বস্তি কারণে মাইগ্রেনের ব্যথা প্রভাবিত হতে পারে। এই ঘটনাগুলো শনাক্ত করে এড়িয়ে চললে উপকার হতে পারে।  

৩. বংশ: অনেক সময়ের একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে মাইগ্রেন স্থানান্তরিত হয়। সাধারণত বাবা মায়ের থেকে মাইগ্রেনের জিন শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধে।

৪. চোখ: মাথার সঙ্গে চোখের বেশ গভীর যোগসূত্র রয়েছে। তাই অনেকে মাইগ্রেনের আগে চোখের ঠিক মতো দেখতে পান না। একে অরাস বলে।   

৫.খাদ্য: ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন১২, ভিটামিন ডি এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের মতো কিছু খাদ্য উপাদানের অভাবে মাইগ্রেনের সমস্যা বাড়তে পারে।

তথ্যসূত্র: নিউজ১৮

;