ফিরে আসুক তামার পাত্রের ব্যবহার



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
তামার পাত্রের ব্যবহারে উপকারিতা অনেক

তামার পাত্রের ব্যবহারে উপকারিতা অনেক

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরনো সময়ে দেখা যেত তামা কিংবা পিতল-কাঁসার পাত্রে খাবার খেতে, পানি পান করতে।

চকচকে ও ভারি ধাতুতে তৈরি এই পাত্রগুলো তখনকার সময়ে দারুণ আকর্ষণীয় দেখালেও, নতুন নকশায় তৈরি সহজলভ্য ও সস্তা মেলামাইন কিংবা প্লাস্টিকের জিনিস গ্রাস করে নেয় ধাতুর তৈরি পাত্রের স্থান।

অথচ তামার পাত্রের ব্যবহার সুস্বাস্থ্যে এতো অবদান রাখতে পারে, যা রীতিমত বিস্ময়কর। সময়ের পরিবর্তনে এখন কিন্তু পুরনো আমলের জিনিসপত্রের চল আবারো ফিরে আসছে। মাটি কিংবা পাটের তৈরি জিনিসের প্রতি ঝুঁকছে সকলে। ঠিক একইভাবে প্রতিদিনের ব্যবহারে খাবার ও পানি গ্রহণের জন্য অন্য যেকোন উপাদানের বাসনের পরিবর্তে তামায় তৈরি বাসন ব্যবহারের চল ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। যা একইসাথে আভিজাত্যভাব আনবে এবং সুস্বাস্থ্য রক্ষার্থেও ভূমিকা রাখবে।

তামার পাত্র ব্যবহারের উপকারিতাগুলো কী?

তামার পাত্রে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পানি ধারণ, সংরক্ষণ ও পানি পানের উপকারিতা চমকে দেওয়ার মতো। এখানে বিশেষ ছয়টি উপকারিতা তুলে ধরা হলো।

তামার পাত্র

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ধর্ম

তামার পাত্রে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ১৬ ঘন্টা পর্যন্ত পানি সংরক্ষণ করা হলে তামার মাইক্রোবিয়াল ধর্ম পানিতে থাকা ক্ষতিকর মাইক্রোবসমূহকে মেরে ফেলে। এতে করে উক্ত পানি পানে রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় অনেকখানি। ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ ক্যারোলিনের তথ্যানুসারে তামাতে রয়েছে পানি বিশুদ্ধিকরণ ধর্ম। যার ফলে এই ধাতু পানিতে থাকা প্রায় ৯৭ শতাংশ জীবাণু, ব্যাকটেরিয়া ও মাইক্রোবসমূহকে নির্মূল করতে পারে।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে

আমাদের মস্তিষ্ক এক নিউরন থেকে অন্য নিউরনে সিন্যাপসিসের সাহায্যে সিগন্যাল পাঠিয়ে থাকে। কপার তথা তামা ফসফোলিপিড (Phospholipids) তৈরি করে যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে ম্যালিন শিথস (Myelin Sheaths) এর উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপকারী

ওজনকে যারা নিয়ন্ত্রণের ঘরে রাখতে চেষ্টা করছেন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনছে, তারা একইসাথে পানি ধারণের ও পানি পানের পাত্রও বদলে ফেলুন। বেশিরভাগ বাড়িতেই প্লাস্টিকের জগে পানি ধারণ করা হয়। এই প্লাস্টিক পার্টিকেল পানির সাহায্যে খুব স্বল্প পরিমাণে শরীরে প্রবেশ করে ভয়ানক ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে।

অন্যদিকে তামার পাত্রে পানি রাখা হলে পানিতে তামার উপকারিতার অনেকটা যোগ হবে। দেখা গেছে, তামার পাত্রে পানি ধারণের ফলে এবং পানি পান করা হলে, পাকস্থলিস্থ খাদ্য দ্রুত ও ভালোভাবে পরিপাক হয় এবং ফ্যাট শরীর থেকে বের করে দিতে কাজ করে। ফলে শরীরে বাড়তি ফ্যাট জমতে পারে না।

তামার পাত্র

বয়স বৃদ্ধির হার স্লথ করে

তামাকে বলা হয়ে থাকে বলিরেখা দূরীকরণের প্রাকৃতিক উপাদান। বয়সজনিত ও অনিয়মজনিত কারণে ত্বকে বয়সের ছাপকে ধীরে ধীরে মুছে ফেলতে তামার পাত্রে ধারণ করা পানি পানের দিকে নজর দিতে হবে। গবেষণার তথ্য জানাচ্ছে, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এই ধাতু থেকে পাওয়া যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে কাজ করবে। এছাড়া এই ধাতু ক্ষতিকর রেডিক্যাল মুক্ত হওয়ায় ত্বক তো বটেই, স্বাস্থ্যের উপরেও কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারবে না।

হাড়ের ব্যথায় উপকারী তামা

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানের পাশাপাশি তামা একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি তথা প্রদাহবিরোধী উপাদানও। ফলে শরীরের যেকোন অংশের প্রদাহজনিত ব্যথার পাশাপাশি আর্থ্রাইটিসজনিত হাড়ের ব্যথাতেও তামার পাত্রে ধারণ করা পানি উপকারী উপাদান হিসেবে বিবেচ্য হবে। বিশেষত হাড়ের ব্যথা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে প্রতিদিন সকালে তামার পাত্র থেকে পানি পান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে

একদিকে মেলামাইন ও প্লাস্টিকের পাত্র ক্যানসারকে ডেকে আনে, অন্যদিকে তামার পাত্র ক্যানসার থেকে শরীরকে প্রতিরোধে কাজ করে। বিশেষত এই ধাতুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-কারসেনোজেনিক ধর্ম শরীরে ফ্রি রেডিক্যালের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ফলে ক্যানসার বাসা বাঁধার ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং যাদের শরীরে ক্যানসারের সমস্যা দেখা দিয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ক্যানসার বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে।

কোথায় ও কত দামে পাওয়া যাবে তামার পাত্র?

প্লাস্টিক, মেলামাইন কিংবা কাঁচের পাত্রের ভিড়ে তামার পাত্রের খোঁজ পাওয়াই যায় না। তবে পুরান ঢাকার বাংলাবাজার, গুলশান-১ এর ডিসিসি মার্কেট ও আড়ং এ তামার পাত্রের খোঁজ পাওয়া যাবে। পণ্যের ধরণ (গ্লাস, জগ, প্লেট, বাটি) ভেদে তামার এক একটি পাত্রের দাম পড়বে সর্বনিম্ন ৩৫০ টাকা থেকে ৫০০০ পর্যন্ত।

আরও পড়ুন: রোদ কিংবা বৃষ্টি, ছাতা হোক সঙ্গী

আরও পড়ুন: পাঁচ উপকারিতায় ল্যাভেন্ডার অয়েল

   

দুধ ছাড়াও হাড় ভালো থাকবে যে সব খাবারে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ প্রয়োজন। এটি আমাদের হাড়কে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে। হাড়কে শক্তিশালী এবং সুস্থ রাখতে আমাদের খাদ্যের ওপর নির্ভর করতে হয়। জেনে নিন দুধ ছাড়াও যেসব খাবার হাড়কে করে শক্তিশালী। 


চর্বিযুক্ত মাছ

ম্যাকরেল, স্যামন এবং সার্ডিন জাতীয় মাছ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার। যা হাড় এবং পেশীগুলিতে ভিটামিন সরবরাহ করে। এই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার হাড়কে ভালো রাখে এবং সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।


মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে থাকে নির্দিষ্ট মাত্রার ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। হাড়ের জন্য প্রয়োজন হয় পটাসিয়ামেরও। ম্যাগনেসিয়াম প্রধানত ভিটামিন ডি স্তরকে ভারসাম্য করে, যেখানে মিষ্টি আলু কার্যকর থাকে। 


গাঢ় সবুজ শাক

গাঢ় সবুজ শাক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। যেমন- পালং শাক, কালে, কলার্ড। এছাড়াও অনেক ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সবজি প্রতিদিন খাওয়া উচিত।


বাদাম এবং বীজ

বাদাম ও বীজ পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ। আপনার ডায়েটে বাদাম চিয়া, বীজ, তিলের বীজ এবং পোস্ত অন্তর্ভুক্ত করুন। কারণ এগুলি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। তাই প্রায় প্রতিদিনই এসব খাবার খাওয়া উচিত।


সাইট্রাস ফল

কোলাজেন হল এক ধরনের প্রোটিন, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি। সুতরাং, স্ট্রবেরি, পেঁপে, গোলমরিচ এবং আরও অনেক কিছু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।


কমলা সবজি

ভিটামিন এ আমাদের হাড়ের কোষগুলিকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিনযুক্ত সবজি সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। যেমন- আম, গাজর এবং ক্যানটালুপ আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।


মটরশুটি

মটরশুটি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। অতএব, আপনার সাদা মটরশুটি খাওয়া উচিত যা আপনাকে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারে সাহায্য করবে।


শুকনো ডুমুর

শুকনো ফল ভিটামিনের একটি ভালো উৎস। যা আমাদের হাড় এবং পেশী শক্তিশালী করে। প্রতেকেরই ডুমুর প্রতিদিন খাওয়া উচিত।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

 

;

তীব্র গরমে এসি ছাড়াই ঘর ঠান্ডা রাখার উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গ্রীষ্মের তাপদাহে যাদের ঘরে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি নেই তাদের অবস্থা খুবই শোচনীয়।

এই গরমে কীভাবে নিজের ঘর এসি ছাড়াই ঠান্ডা রাখা যায় চলুন জেনে নেয়া যাক উপায়গুলো-

সূর্যের তাপ:

ঘর গরম হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে সূর্যালোক। এজন্য গরমে জানালা খোলা রাখলেও পর্দা টেনে রাখতে হবে, যাতে করে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল করলেও সূর্যের তাপ কম আসে। 

দেয়ালে হালকা রঙের ব্যবহার:

রঙ যত গাঢ় হয়, তত আলো শোষিত হয় এবং যত হালকা হয়, তত আলো বেশি প্রতিফলিত হয়। ঘরে যত বেশি আলো শোষিত হয়, তত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই ঘরের ভেতর যতটা সম্ভব হালকা রঙ ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। এতে করে দিনের বেলা ঘর তাপ ধরে রাখবে না। ফলে আলো চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘর ঠান্ডা হতে শুরু করবে।

গরম বাতাস বের করে দেয়া:

‘এক্সস্ট ফ্যান’ ঘরের গরম বাতাস বের করে দেয়। বাথরুম বা রান্না ঘরে এটা ব্যবহারে গরম ভাব কমায়। রাতে জানালা খোলা রাখার পাশাপাশি এক্সস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখলে ঘর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে।

আর্দ্র বাতাস:

ঘর ঠান্ডা রাখতে ফ্যানের পেছনে ভেজা কাপড়, ঠান্ডা বস্তু, এক বাটি বরফ বা ঠান্ডা পানির বোতল রাখলে ঠান্ডা বাতাস ছড়ায়, ফলে ঘর ঠান্ডা থাকে। এক্ষেত্রে টেবিল ফ্যান ব্যবহার করতে হবে।

ঘরে গাছ রাখুন:

ঘরের ভেতর ছোট্ট একটি গাছ, যেমন ঘরের সৌন্দর্য বাড়ায়, তেমনি তাপমাত্রা কমাতেও সাহায্য করে। গাছ ঘরের ভেতর জমা হওয়া কার্বন ডাই-অক্সাইড শুষে নেয়, ফলে ঘরের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। মানিপ্ল্যান্ট, অ্যালোভেরা, অ্যারিকা পাম-জাতীয় গাছ ঘরের সৌন্দর্যবর্ধন ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, উভয় কাজেই বেশ উপকারী।

অপ্রয়োজনীয় যন্ত্র বন্ধ রাখা:

ডিসওয়াশার, ওয়াশিং মেশিং, ড্রায়ার এমনকি মোবাইল চার্জার ইত্যাদি ছোটখাট যন্ত্রও ঘরের তাপ মাত্রা বাড়ায়। তাই এসব যন্ত্র ব্যবহার হয়ে গেলে তা বন্ধ করে রাখা উচিত।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দা টেনে রাখুন। এসময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে, তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় এবং ঠান্ডা হয়ে আসে।

চুলা বন্ধ রাখা:

চুলা গরম ঘরকে আরও উষ্ণ করে তোলে। তাই কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত চুলা বন্ধ করে দেয়া ভালো। এতে ঘর বাড়তি গরম হবে না।

তাপমাত্রা কমে গেলে জানালা খোলা:

দিনের বেলায় জানালার পর্দার টেনে রাখুন। এই সময় বাতাস সবচেয়ে বেশি গরম থাকে। কিন্তু যখন বাইরের তাপমাত্রা ভেতরের বাতাসের চেয়ে কম থাকে তখন জানালার পর্দা সরিয়ে দিলে ঘরে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হয় ও ঠান্ডা হয়ে আসে।

সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার

;

এসিও চলছে, পাল্লা দিয়ে সর্দি কাশিও বাড়ছে! জেনে নিন ঘরোয়া উপায়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড তাপপ্রবাহে অতিষ্ট হয়ে উঠছে জনজীবন। এই গরমে শীতল হাওয়ার ছোঁয়া পেতে অনেকেই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসি ব্যবহার করেন। কিন্তু বাইরে প্রচন্ড গরমে ঘাম আবার অফিসে এসির ঠান্ডায় সর্দি কাশি পিছু ছাড়ে না। ওষুধ, কফ সিরাপ, অ্যান্টিবায়োটিকসহ সব রকম ভাবে চেষ্টা চালিয়েও কাশি থামছে না কিছুতেই। কাশি এক বার শুরু হলে, তা সহজে সারতে চায় না।

এদিকে কাশি হচ্ছে বলে এসি বন্ধ করে পুরো অফিসের লোকজনকে ঘামতেও বলা যায় না। আশপাশে যারা বসছেন, তাদেরও অস্বস্তি হচ্ছে। এ অবস্থায় কাশি কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় রয়েছে। সেগুলো মেনে চললে উপকার পেতে পারেন।

১) লবণ পানিতে গার্গল:

কাশির দাপট নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে ভাল উপায় হল গরম পানিতে সামান্য লবণ দিয়ে গার্গল করা। সকালে ঘুম থেকে উঠে এবং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে দুইবার গার্গল করতেই হবে। প্রয়োজনে আরও বেশি বার করা যেতে পারে।

২) মধু, তুলসীপাতা এবং গোলমরিচ:

প্রতি দিন এক চামচ করে এমনি মধু খেতে পারেন। আবার এক চামচ মধুর সঙ্গে তুলসীপাতার রস এবং এক চিমটি গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন। গলায় কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা সেরে যাবে এই উপায়ে।


৩) হলুদ এবং দুধ:

রান্নাঘরের অপরিহার্য উপকরণ হল হলুদ। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। বিশেষ করে গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তোলে। প্রতি দিন রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে ঠান্ডা লাগা এবং সর্দি-কাশির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই মিলতে পারে।

৪) গরম পানির ভাপ:

ঠান্ডা লাগলে চিকিৎসকেরা প্রথমেই ভাপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। গলায় জমে থাকা মিউকাস তাপের সংস্পর্শে বাইরে বেরিয়ে আসে। তবে শুধু গরম পানিতে ভাপ না নিয়ে তার মধ্যে লবঙ্গ কিংবা ইউক্যালিপটাস অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা, জেনে নিন গরম থেকে রক্ষার উপায়!

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের শুরু থেকেই আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে এবার তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভাঙবে। ইতোমধ্যেই তাঁর প্রভাব দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরমে দেশবাসীর বেহাল দশা। কোন না কোন কাজে সকলকেই বাড়ির বাইরে যেতেই হচ্ছে। তাই বাইরের গেলে নিজেকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।  জেনে নিই, যেভাবে এই গরমেও নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করবেন-

পানি: নিজেকে সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। রোগ থেকে বাঁচতে হোক অথবা নিজেকে সুস্থ রাখতে, সবসময় পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। প্রচণ্ড তাপে নিজেকে রক্ষা করতে চাইলে কোন ভাবেই পানি পান করা বাদ দেওয়া যাবে না। তেষ্টা না পেলেও পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত ৮ গ্লাস বা তারও বেশি পানি পান করুন।

এছাড়াও, প্রতিবার বাইরে যাওয়ার সময় অবশ্যই পানি সাথে রাখা প্রয়োজন। বিকল্প হিসেবে পানিসমৃদ্ধ ফল বা সবজি খেতে পারেন। যেমন- আপেল, তরমুজ, শসা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাাদি।

পোশাক: বাইরে গেলে রোদের সরাসরি সংস্পর্শে আসার কারণে গরম অনেক বেশি লাগে। তাই বাইরে যাওয়ার সময় ঢিলাঢালা পোশাক পরা উচিত। এছাড়াও,কম ওজনের কাপড় ব্যবহার ক্রুন। যেমন, সুতি বা লিনেন। এছাড়াও, হাল্কা রঙের পোশাক বাছাই করা উচিত। কেননা, গাঢ় রঙ তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গরম বেশি লাগে।

রোদ আড়াল করা: যখন বাইরে যাবেন, নিজেকে যথাসম্ভব ছায়ায় রাখুন। সঙ্গে ছাতা রাখুন, যেন ত্বক রোদের সংস্পর্শে না আসে। 

গোসল: গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে হবে। এতে ফ্রেশ লাগে, তাছাড়া অনেক্ষ্ণ শরীর থাকে।

গাছ: বাড়িতে থাকলে তুলনামূলকভাবে গরম কম লাগে। তবে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা রাখতে চাইলে বাড়িতে বেশি করে গাছ লাগান। গাছ থাকলে পরিবেষ প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয়।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;