হলুদ ব্যবহারে ব্রণ থেকে নিস্তার
ব্রণের সমস্যাটি বহু কারণেই দেখা দিতে পারে।
তবে এই সমস্যাটি থেকে নিস্তার পাবার নানাবিধ উপায়ের মাঝে হলুদ গুঁড়া ব্যবহার অন্যতম একটি। কারকিউমিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলী সমৃদ্ধ হলুদ গুঁড়া ব্রণ তৈরিকারী জীবাণুকে ধ্বংস করতে কাজ করবে। ফলে ব্রণের সমস্যাটি অল্প সময়ের মাঝেই কমে যাবে। এই ফিচার থেকে জেনে নিন হলুদ গুঁড়া ব্যবহারের চারটি ভিন্ন পদ্ধতি।
মধু ও হলুদের মিশ্রণ
এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া ও আধা চা চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্ট পুরো মুখে সমানভাবে ম্যাসাজ করে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিয়ে এরপর পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
ভালো ফলাফল পেতে একদিন অন্তর এই মিশ্রণটি ব্যবহার করতে হবে। তবে পূর্বে হলুদ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা না থাকলে অল্প পরিমাণ মিশ্রণ মুখের একটি অংশে ব্যবহার করে দেখতে হবে কোন প্রতিক্রিয়া হয় কিনা।
টকদই ও হলুদের মিশ্রণ
এই মিশ্রণ তৈরিতে দুই টেবিল চামচ টকদইয়ের সাথে আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি পুরো মুখে ম্যাসাজ করে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যবহারেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। তবে যাদের দুগ্ধজাত উপাদানে অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের এই মিশ্রণটি এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
নিম পাতা ও হলুদের মিশ্রণ
এই মিশ্রণ তৈরিতে প্রয়োজন হবে ১০-১২টি ফ্রেশ নিমপাতা ও ১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়া। প্রথমে নিমপাতা অল্প পানিতে সিদ্ধ করে বেটে নিতে হবে। এতে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট রাখতে হবে। এরপর ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। ব্রণের সমস্যা যদি খুব বেশি হয় তবে সপ্তাহে দুই দিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে এবং ব্রণের সমস্যা অল্প হলে সপ্তাহে একদিন ব্যবহারই যথেষ্ট।
বেসন ও হলুদের মিশ্রণ
এই মিশ্রণের জন্য প্রয়োজন হবে এক চা চামচ হলুদ, দুই চা চামচ বেসন ও ২-৩ চা চামচ গোলাপজল অথবা টকদই। এই তিনটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে ১৫-২০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে এবং সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।