প্রাকৃতিক উপাদানে কমবে ব্রণের দাগ
ত্বকের প্রতি খেয়াল রাখা হলেও আবহাওয়ার বদলে কিংবা অনিচ্ছাকৃত অনিয়মে ব্রণ দেখা দিতে পারে। যা খুবই স্বাভাবিক। এতে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় ব্রণের দাগ ত্বকে থেকে গেলে। বেশিরভাগ ব্রণ ভালো হওয়ার সাথে ত্বক থেকে দাগ মিলিয়ে যায়। কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম হয়। এছাড়া ভুলবশত ব্রণ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটার দাগ ত্বক রয়ে যায়।
সাধারণত ব্রণের দাগ সহজে দূর হতে চায় না। এক্ষেত্রে কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার দৃশ্যমান দাগকে হালকা করে দেয় অনেকখানি। এমন কিছু উপাদানের ব্যবহার সম্পর্কে জানানো হল।
কমলালেবুর খোসা গুঁড়া
কমলালেবু খোসা গুঁড়া ব্যবহারের জন্য এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ কমলালেবুর খোসা গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি ত্বকের দাগযুক্ত স্থানের উপরে প্রলেপ লাগিয়ে অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। বায়োঅ্যাকটিভ সমৃদ্ধ কমলালেবু খোসার গুঁড়া ত্বকের লালচে ভাব ও দাগকে হালকা করে।
টি ট্রি অয়েল
এই এসেনশিয়াল অয়েলটি সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যাবে না। টি ট্রি অয়েল ব্যবহারের জন্য ৫ ফোঁটা আমন্ড অয়েলের সাথে ৫ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে প্রলেপ লাগিয়ে এক ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলতে হবে। টি ট্রি অয়েলে থাকা অ্যান্টিব্যকটেরিয়াল উপাদান ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করার পাশাপাশি ত্বকের প্রদাহকেও কমায়। এতে করে ত্বকের দাগ ও ক্ষত কমে যায় অনেকখানি।
আলুর রস
আলুর রস তৈরির জন্য একটি মাঝারি আকৃতির আলু ভালোভাবে ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে গ্রেট করে রেখে দিতে হবে। আলু ছেঁকে রস বের করে তুলার বলের সাহায্যে এই রস ত্বকের দাগযুক্ত স্থানে ম্যাসাজ করতে হবে এবং শুকাতে হবে। শুকিয়ে গেলে পানিতে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে। ফাইটোকেমিক্যাল সমৃদ্ধ আলুর রস স্কিন ক্লিনজিং উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং পিগমেন্টেশন কমিয়ে ফেলে। এতে করে ত্বক পরিষ্কার হওয়ার সঙ্গে ত্বকের দৃশ্যমান দাগ কমে যায়।
অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের যেকোন ধরনের সমস্যাতেই প্রাকৃতিক এই পাতার ব্যবহার চমকপ্রদ। ব্রণের দাগ ও ক্ষত সারাতে অর্ধেকটি অ্যালোভেরা পাতার জেল তুলে চামচের সাহায্যে মসৃণ করে নিতে হবে। এতে এক চা চামচ পরিমাণ মধু মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে সারারাতের জন্য রেখে দিতে হবে। যাদের ঠাণ্ডার সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে দুই ঘন্টা রাখলেও কাজ হবে। এরপর পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। অ্যালোভেরাতে থাকা পলিস্যাকারাইডস ও বায়োঅ্যাকটিভ কম্পাউন্ড সমূহ ত্বকের দাগকে হালকা করে ফেলতে কাজ করে। এছাড়া অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ত্বকের সমস্যাকে কমিয়ে আনে।