তৈরি তো ‘২০২০’ এর জন্য?
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই আগমন ঘটবে নতুন বছরের। স্বাভাবিকভাবেই নতুন বছরকে ঘিরে থাকে বহু উৎসাহ, উদ্দীপনা, পরিকল্পনা ও স্বপ্ন। পুরনো বছরের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং ভুল শুধরে আগত বছরকে স্বাগতম জানানো মধ্যে দিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয় পুরনো বছরকে বিদায় জানানোর।
অনেকের জন্য নতুন বছর শুধুই একটি সংখ্যার পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু চাইলে এই নতুন বছরে করা যেতে পারে বিগত বছরের অসমাপ্ত কাজগুলো। নিজেকে গুছিয়ে নেওয়া যেতে পারে আরও খানিকটা ভালভাবে।
নতুন বছরের জন্য খুব বড় ও একসাথে অনেকগুলো রেজুলিউশন নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং এমন কিছু কাজ করার প্রস্তুতি নিতে হবে, যা বিগত বছরগুলোতে করে ওঠা হয়নি।
এমন কাজের দিক থেকে প্রথমেই থাকবে সঞ্চয়। টাকা জমানো একদিক থেকে যেমন খুবই জরুরি, অন্যদিক থেকে তেমনই কঠিন। বিগত বছরে যদি এই অভ্যাসটি গড়ে তোলা না হয়, তবে নতুন বছরের শুরু থেকেই এ বিষয়ের প্রতি মনযোগী হতে হবে।
মনে রাখতে হবে- নিজেকে যদি সুস্থ রাখা সম্ভব না হয় তবে কোন কাজই সম্পূর্ণ করা হবে না। সুস্থতা বলতে শুধুই শারীরিক সুস্থতা নয়, মানসিক সুস্থতাকেও বোঝানো হয়। নিজের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উপর নজর দেয়ার ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না মোটেও।
সুস্থতার জন্য যে অভ্যাসগুলো গড়ে তোলা প্রয়োজন, তার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। ওজন কখনো একদিনে বা এক মাসে কমিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। তেমনভাবে একদিনেই কোন ভালো অভ্যাস রপ্ত করা হয়ে ওঠে না। ধীরে হলেও নিজেকে নতুন বছর স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের দিকে নিয়ে যেতে হবে। ৩০ দিনের চ্যালেঞ্জ বা ৩০ দিন শুধুমাত্র একটি কাজের নির্বাচন করলে এক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হবে।
একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমরা প্রায় সবসময় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। নিজের আশপাশ ও ঘরকে গুছিয়ে রাখা আমাদের ব্যক্তিত্ব ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর অনেক বড় প্রভাব ফেলে। নতুন বছরে চেষ্টা করতে হবে নিজের চারপাশকে যথাসম্ভব গুছিয়ে রাখার জন্য। অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ডিক্লাটার করতে হবে। প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোকে নির্বাচন করতে হবে। এতে করে সহজেই এলোমেলোভাব থেকে নিজেকে বের করে আনা সম্ভব হবে।
নতুন বছরে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ের দিকে খেয়াল করা প্রয়োজন। প্রিয় ও কাছের মানুষদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধি। ইচ্ছা বা অনিচ্ছায়, কাজের চাপে অনেক সময় তাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে ওঠে না। আসন্ন বছরটিতে এদিকে মনযোগী হওয়া প্রয়োজন।
নিজের ব্যক্তিগত সন্তুষ্টির মাঝে চেষ্টা করতে হবে দক্ষতা বাড়ানোর জন্য, নিজের পছন্দের কাজের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির জন্য।
সর্বোপরি নিজেকে প্রাধান্য দিয়ে, নিজের আনন্দ ও ভাললাগাকে সামনে রেখে, নতুন বছরে নতুনভাবে নিজেকে প্রকাশের জন্য চেষ্টা করতে হবে বছরের প্রথম দিনটি থেকেই। আপনি তৈরি তো নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য!
আরও পড়ুন: