মস্তিষ্কের সুস্থতায় চার জুস

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন ধরনের জুস

বিভিন্ন ধরনের জুস

আলাদাভাবে শরীরের প্রতি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্যে উপকারী খাদ্য উপাদান গ্রহণ করা প্রয়োজন। কারণ ভিন্ন ভিন্ন খাদ্য উপাদানের উপকারিতা ভিন্ন হয়ে থাকে, শরীরে তার প্রভাব ও কার্যকারিতাতেও থাকে পার্থক্য। হৃদযন্ত্র, কিডনির জন্য যেমন রয়েছে বিশেষ কিছু উপকারী খাদ্য উপাদানের তালিকা, মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্যেও রয়েছে এমন বিশেষ কিছু খাদ্য উপাদান। তবে আজকের ফিচারে তুলে ধরা হয়েছে মস্তিষ্কের জন্য উপকারী চার উপকারী খাদ্য উপাদানে তৈরি জুসের নাম।

বিটরুটের জুস

juice

পুষ্টির পাওয়ারহাউজ খ্যাত বিটরুটের তৈরি জুস শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপরেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে কাজ করে। মূলত এই সবজির জুস জ্ঞানীয় কার্যকারিতায় উন্নতি আনে। প্রতিদিন বিটরুটের জুস পান করা সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এই সবজির জুস পান করার চেষ্টা করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

আনারের জুস

juice

ফলের মাঝে ডালিম বা আনারের উপকারিতা তুলনামূলক বেশি এতে থাকা উচ্চ মাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জন্য, যা মস্তিষ্কের কোষকে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজ থেকে রক্ষা করতে অবদান রাখে। এছাড়া এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্ত প্রবাহের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রিত রেখে হৃদযন্ত্রকে সুস্থতা প্রদান করে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রাকে গ্রিন টিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সাথে তুলনা করা হয়। প্রতিদিন মাত্র আধা কাপ পরিমাণ আনারের জুস পান করলেও উপকার পাওয়া যাবে।

গাজরের জুস

juice

চোখের জন্য উপকারী উপাদানের জন্য গাজর বেশ পরিচিত একটি সবজি। তবে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু গবেষণা জানাছে, চোখের পাশাপাশি মস্তিষ্কের জন্যেও সমানভাবে উপকারী এই সবজির জুস। অন্যান্য উপকারী সবজির মতো এতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার পাশাপাশি আরও আছে বেটা-ক্যারোটিন। যা মস্তিষ্কের কোষের প্রদাহকে রোধ করে এবং স্মৃতিশক্তিকে অক্ষুণ্ণ রাখে।

বিজ্ঞাপন

কোকোয়া

ফল ও সবজির জুসের কথা পড়ে যাদের বিরক্তি কাজ করছে তাদের জন্যে এবারে একটু সুখবর। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণার তথ্যানুসারে, নিয়মিত কোকোয়া পানে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধির সাথে বাড়ে স্মৃতিশক্তিও। কোকোয়াতে থাকা ফ্ল্যাভনল সমূহ (Flavanols) রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে এবং রক্তনালীকার চাপকে প্রশমিত করে। এছাড়া কোকোয়াতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মস্তিষ্কের কোষকে ফ্রি রেডিক্যাল ড্যামেজের হাত থেকে রক্ষা করতে কাজ করে।