গ্রিন টি পানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও জানুন!
গ্রিন টি নিয়ে কথা বলা মানেই তার উপকারিতা তুলে ধরা। কিন্তু প্রতিটি উপাদানেরই রয়েছে উপকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কোন কিছুই অতিরিক্ত গ্রহণ ইতিবাচক ফল আনে না। গ্রিন টি অবশ্যই উপকারী একটি পানীয় এবং উদ্ভিজ ভিত্তিক এই পানীয় পানের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। কিন্তু তাই বলে প্রতিদিন ৫-৬ কাপ গ্রিন টি পান করলে বিপদ। দৈনিক ২-৩ কাপের বেশি গ্রিন টি পানের ফলে উপকারিতার চেয়ে অপকারিতাই কাজ করবে বেশি। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া খুবই জরুরি। জেনে নিন অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের ফলে কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
গ্যাস্ট্রইনটেসটাইনাল সমস্যা
গ্রিন টিতে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ ক্যাফেইন ও পলিফেনল নামক এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পরিমাণ গ্রিন টি পানে এই দুইটি উপাদান থেকে অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়া গ্রিন টিতে থাকা ট্যানিন অ্যাসিডিটির সমস্যাসহ কোষ্ঠ্যকাঠিন্য ও পাকস্থলীর সমস্যা বৃদ্ধি করে। এ কারণে সবসময় খালি পেটে গ্রিন টি পান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া যাদের গ্যাস্ট্রিসাইটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের গ্রিন টি পান করা থেকে দূরে থাকাই উপযুক্ত, নতুন উপকারী এই পানীয় থেকেই বেড়ে যেতে পারে গ্যাসজনিত সমস্যা।
ব্যাঘাত ঘটায় ঘুমের প্যাটার্নে
ঘুমের সময়ের আশেপাশে গ্রিন টি পান করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। কারণ গ্রিন টিতে থাকা ক্যাফেইন ‘স্লিপ-ব্লকিং-এলিমেন্ট’ হিসেবে কাজ করে। যা মস্তিষ্ককে সজাগ রাখে ও কার্যকারিতা বাড়িয়ে দেয়, এতে করে সহজে ঘুম আসে না।
এ কারণে মাতৃদুগ্ধ পান করে এমন শিশুর মায়েদের গ্রিন টি খুব অল্প পরিমাণে ও ঘুমের সময়ের আশেপাশে পান করা উচিত হবে না। এতে করে মাতৃদুগ্ধ পানের ফলে শিশুর মাঝেও ক্যাফেইনের প্রভাব চলে যায় এবং ঘুমে সমস্যা।
দেখা দিতে পারে মাথাব্যথা
দীর্ঘ সময় ধরে প্রতিদিন বেশি পরিমাণ গ্রিন টি পান করা হলে মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। খুব স্বল্প মাত্রায় হলেও গ্রিন টিতেও ক্যাফেইন রয়েছে। যা লম্বা সময় পর শরীরে তার প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে।
আয়রন শোষণ ক্ষমতা হ্রাস করে
গ্রিন টি পানের অন্যতম একটি সমস্যা হলো, গ্রহণকৃত খাদ্য উপাদানের পুষ্টি শোষণে অন্তরায় সৃষ্টি করা। যার মাঝে আয়রন থাকে উপরের দিকে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে নিঃশ্বাসের সমস্যা, মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানোসহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ কারণে খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘন্টা আগে ও পড়ে গ্রিন টি পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং দৈনিক গ্রিন টি পান করা হলে কচু শাক ও কলিজা বেশি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
প্রভাব পড়ে হাড়ের উপর
উপরের পয়েন্টেই উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রিন টি পানে আয়রন শোষণ ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে হাড়ের সমস্যা দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি।
দেখা দিতে পারে অনিয়মিত হার্টবিট
যদিও গ্রিন টি পানের ক্ষেত্রে এটা খুবই বিরল সমস্যা, তবে কিছু ক্ষেত্রে এমন সমস্যাও দেখা যায়। অতিরিক্ত গ্রিন টি পানের ফলে রক্ত চাপ কিছুটা বেড়ে যাত, যা হার্টবিটকে বাড়িয়ে দেয়। বিশেষত যাদের হৃদরোগ জনিত সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এমনটা বেশি দেখা যায়।
আরও পড়ুন: