অ্যারোমাথেরাপিকে উপস্থাপন করতে দেশে আসছেন কেয়া শেঠ
সৌন্দর্য বিকাশের পাশাপাশি এ বিষয়ক নানাবিধ রোগের সমস্যার সমাধান নিয়েও কাজ করেন ভারতের প্রখ্যাত সৌন্দর্য ও অ্যারোমা বিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ।
প্রাকৃতিক ও জৈব উপাদানে নির্ভর করে অনিদ্রা, মাইগ্রেন, অ্যাসিডিটি ও আর্থ্রারাইটিসের মতো সিরিয়াস অসুখ নিরাময়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করে অ্যারোমাথেরাপিকে নতুন আঙ্গিকে হাজির করেছেন তিনি। এসব উদ্ভাবন নিয়ে তিনি ঢাকায় উপস্থিত হচ্ছেন আগামী ১২ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি বসুদ্ধরা বিমস্টেক আয়ুষ ট্রাডিশনাল হেলথ কেয়ার প্রাকৃতিক ও জৈব পণ্য এক্সপো ২০২০-এ।
রাজধানীর বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এ এক্সপোর তিনদিনের প্রতিদিনই কেয়া শেঠ উপস্থিত থাকবেন ১০১ ও ১০২ নাম্বার স্টলে। এসব তথ্য জানাতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কেয়া শেঠের প্রতিষ্ঠান ‘কেয়া শেঠ অ্যারোমাথেরাপি (বিডি) প্রাইভেট লিমিটেড’।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে নিজের উদ্ভাবিত বিভিন্ন পণ্যের বিস্তারিত তুলে ধরে কেয়া শেঠ বলেন, ‘আমার উদ্ভাবিত পণ্য আগে আমরা নিজেরাই ব্যবহার করি। নিজেদের ওপর প্রয়োগ করি। তারপর ভারত সরকারের ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে তবেই সাধারন মানুষের জন্য প্রকাশ করি। সারাবছর ধরে আমার গবেষণাগারে প্রতিটি বিষয়কে আরও উন্নত করার গবেষণা চলছে। বস্তুত এ কারণে আমার প্রতিটি পণ্যের মডেল আমি বা আমার ছেলে-মেয়েরা। আসলে আমি নিজে যা উপলদ্ধি করি, অনুভব করি তাই প্রকাশ করি।’
এই সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘আমার অ্যারোমা পণ্যের চাহিদা বাংলাদেশে বাড়ছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেছি আমি। তার অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। এরই মধ্যে চট্টগ্রামে আমাদের কারখানা স্থাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে আমাদের পণ্য যেমন বাংলাদেশে সুলভ হবে তেমনি সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানও। এছাড়া কোম্পানী নথিভুক্ত করে ঢাকায় অফিস খুলে এই চিকিৎসাকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছানোর কাজ ইতোমধ্যে শুরু করেছি।’
দেশীয় ঘরানার এই চিকিৎসাকে আরও বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছাতে এদিন ঢাকায় সাংবাদিকদের কাছে সাহায্য ও পরামর্শ চেয়েছেন ভারতীয় এই সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞ। পাশাপাশি বাংলাদেশ নিয়ে নিজের উপলদ্ধির কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে কেয়া শেঠ বলেন, ‘আমার জন্ম কলকাতায় বাঙালি পরিবারে, বাঙালি হিসেবেই আমার গর্ব। বিশেষ করে যে দেশের মানুষ মাতৃভাষার জন্য প্রাণ দেন, রাষ্ট্রসংঘে লড়াই করে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ছিনিয়ে আনেন, তাদের আমি কুর্ণিশ করি, শ্রদ্ধা জানাই। তাই বলতে দ্বিধা নেই, আমার হৃদয়ে বাংলাদেশের জন্য রয়েছে অশেষ শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। বস্তুত এ কারণে এশিয়া মহাদেশের পুরনো চিকিৎসা পদ্ধতি অ্যারেমাথেরাপিকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে আরও পৌঁছে দিতে আপনাদের কাছে এসেছি।’
কেয়া শেঠের এই আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান। তিনিও এই সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞের বিভিন্ন পণ্যের গুণাবলী মনোযোগ শোনেন ও কেয়া শেঠের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
প্রসঙ্গত, কেয়া শেঠ বর্তমানে অ্যারোমা থেরাপি বিষয়ক ২৪০টি বিভিন্ন অসুখের পণ্য ও সৌন্দর্য বিকাশের পণ্য বাজারজাত করছে। পাশাপাশি লাইফস্টাইল নিয়ে প্রকাশিত ‘অদ্বিতীয়া’ নামে একটি ম্যাগাজিনেরও সম্পাদক তিনি। ভারতে তিনি দু’বার জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও রয়েছে তার অর্জনে।