সর্ষে ভাপা চিংড়িমাছ
চিংড়িমাছ মানেই মজাদার খাবার। চিংড়ির মালাইকারি হোক কিংবা চিংড়ি ভর্তা, চিংড়িমাছ থাকলেই খাবার খাওয়া যায় ভরপেট। চিংড়িমাছের চিরাচরিত রেসিপিতে বৈচিত্র আনতে তৈরি করে নিতে পারেন সর্ষে ভাপা চিংড়িমাছ। সরিষার ঝাঁজ ও ভাপা চিংড়ির সুঘ্রাণ এই রান্নাকে লোভনীয় করে তোলে সহজেই।
সর্ষে ভাপা চিংড়িমাছ তৈরিতে যা লাগবে
১. ১৫-২০টি মাঝারি আকৃতির চিংড়িমাছ।
বিজ্ঞাপন২. দুই টেবিল চামচ কালো সরিষাদানা।
৩. দুই টেবিল চামচ সাদা সরিষাদানা।
বিজ্ঞাপন৪. দুই টেবিল চামচ গ্রেট করা নারিকেল।
৫. দুই টেবিল চামচ পোস্তদানা।
৬. দুই চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
৭. দুই টেবিল চামচ টকদই।
৮. তিন টেবিল চামচ সরিষা তেল।
৯. ৫-৬টি কাঁচামরিচ।
১০. প্রয়োজন মাফিক পানি।
১১. স্বাদমতো লবণ ও চিনি।
সর্ষে ভাপা চিংড়িমাছ যেভাবে তৈরি করতে হবে
১. প্রথমে একটি বাটিতে কালো, সাদা সরিষাদানা ও পোস্তদানা পানিতে এক ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। এক ঘন্টা পর এর সাথে গ্রেট করা নারিকেল, একটি কাঁচামরিচ ও সামান্য লবণ একসাথে মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করার সময় অল্প পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. তৈরিকৃত পেস্ট একটি স্টিলের পাত্রে ঢেলে পেস্টের সাথে টকদই, হলুদ গুঁড়া, অল্প চিনি ও লবণ দিয়ে পুনরায় ভালোভাবে মেশাতে হবে। স্টিলের পাত্রটির সাথে অবশ্যই ঢাকনা থাকতে হবে।
৩. এখন এতে চিংড়িমাছ, বাকি কাঁচামরিচ ফালি ও সরিষা তেল মেশাতে হবে এবং এক ঘন্টার জন্য পাত্রটির মুখ বন্ধ করে রেখে দিতে হবে।
৪. এবারে কড়াইতে পানি ফুটাতে হবে। পানি ফুটে উঠলে মসলা মিশ্রিত মাছের স্টিলের পাত্রটি কড়াইয়ের পানিতে বসিয়ে দিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, স্টিলের পাত্রের অর্ধেক অংশ পর্যন্ত যেন পানির নিচে থাকে।
৫. এ অবস্থায় কড়াইয়ের মুখ ঢাকনার সাহায্যে ঢেকে দিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে কড়াই থেকে স্টিলের পাত্রটি বের করে আরও ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর স্টিলের পাত্রের মুখ খুলে সর্ষে ভাপা চিংড়ি পরিবেশন করতে হবে।